রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মিরসরাইয়ের করেরহাট ইউনিয়নের হাছিনা, ফাতেমা, ময়ুরের নেছা, আমির হোসেনরা এখন আর ভিক্ষা করেন না। স্টেশনারির দোকান, বাঁশের তৈরি চাটাই বিক্রি ও আয়বর্ধনমূলক কাজের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে তারা এখন ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে দিয়েছে। নতুন করে শামছুন নেহার, কালো ত্রিপুরা ও তাদেও পুরোনো পেশা ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে নতুন করে ব্যবসা শুরু করছেন। ২০১৬ সালে করেরহাট ইউনিয়নকে ভিক্ষুকমুক্ত ইউনিয়ন ঘোষণার পর থেকে পর্যায়ক্রমে প্রতিজন ভিক্ষুককে এক লাখ করে অনুদান প্রদান করে তাদের ব্যবসাসহ বিভিন্ন আয়বর্ধনমূলক কাজে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। এর ধারবাহিকতায় ঘেড়ামারা এলাকার হাছিনা আক্তার, আমির হোসেন, দক্ষিণ অলিনগর এলাকার ফাতেমা আক্তার, ময়ুরের নেছা তাদের নিজ এলাকায় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান দিয়েছেন। ব্যবসা থেকে যে আয় হয় লাভের কিছু অংশ দিয়ে সংসার পরিচালনা করে, বাকি টাকা দিয়ে ব্যবসার মূলধন বৃদ্ধি করছে তারা। ভিক্ষাবৃত্তি থেকে সরে এসে সম্মানজনক পেশায় নিজেদের নিয়োজিত করতে পেরে তারা নিজেরা যেমন খুশি এলাকায় ও ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্ঠি হয়েছে।
উন্নয়ন সংস্থা অপকা দাতাসংস্থা পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় সমৃদ্ধি কর্মসূচির আওতায় ভিক্ষুকদের এসব সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। করেরহাট ইউনিয়নের ঘেড়ামারা এলাকার হাছিনা আক্তার বলেন, তার স্বামী মোখলেছ তিন বছর আগে তার প্রতিবন্ধী ছেলেকে ফেলে চলে যায়। সেই থেকে ছেলেকে নিয়ে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয় ভিক্ষা করতেন তিনি। এক বছর আগে অপকা তাকে এক লাখ টাকা অনুদান দেয়। সেই টাকায় তিনি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান দেন। দোকানের বিক্রি থেকে যে টাকা আয় হয় সেই টাকায় তিনি স্বাচ্ছন্দে সংসার চালাতে পারেন।
একই এলাকার আমির হোসেন (৭৭) বলেন, তিন বছর ধরে তিনি ভিক্ষাবৃত্তির সাথে জড়িত ছিলেন। অপকা থেকে অনুদানের টাকা পেয়ে তিনি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান দিয়েছেন। লাভের টাকার একটি অংশ দিয়ে সংসার চালান, বাকি অংশ দিয়ে দোকানের মূলধন বৃদ্ধি করেন। ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে দেয়ায় তিনি সম্মান বোধ করছেন। সম্প্রতি ভিক্ষুক পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদে আরো দুজন শামছুন নেহার, কালো ত্রিপুরাকেও দুলাখ টাকা অনুদান প্রদান করা হয়। এই টাকা দিয়ে তারা দোকান দেবেন বলে জানান। অপকা’র নির্বাহী পরিচালক মো. আলমগীর বলেন, অপকা সমৃদ্ধি কর্মসূচির আওতায় ইতোমধ্যে ছয়জন ভিক্ষুককে ছয় লাখ টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে করেরহাট এলাকার সকল ভিক্ষুককে ভিক্ষাবৃত্তি থেকে সরে আসার জন্য অনুদান প্রদান করা হবে। করেরহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন বলেন, অনুদানের টাকা দিয়ে দোকান ও অন্যান্য আয়বৃদ্ধিমূলক কাজের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে ভিক্ষুকরা পুনর্বাসিত হয়েছে। অপকা’র উদ্যোগকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, উন্নয়ন সংগঠনের পাশাপাশি বিত্তবানরা এগিয়ে এলে ভিক্ষাবৃত্তির সাথে জড়িতদের পুনর্বাসন করা সম্ভব হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।