বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফয়সাল আমীন : প্রায় ৩০ কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ পালবাড়িতে বিদ্যুতের গ্রীড লাইনে ট্রান্সফর্মারে আগুনের ঘটনার বিষয়টি তদন্তে ৪সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে ঢাকাস্থ বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী (সঞ্চালন-১) এমদাদুল ইসলামকে। কমিটির অন্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন পরিচালক পদবীধারী আরো ৩ জন। দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটি সদস্যরা গতকাল মঙ্গলবার বিকেল থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, তদন্ত কাজ অব্যাহত থাকবে বলে সূত্র জানিয়েছে।
সোমবার বেলা ১১টায় ফেঞ্চুগঞ্জ পালবাড়িতে বিদ্যুতের গ্রীড লাইনে ৩০০ এমপিএ (১৩২/২৩০) ট্রান্সফর্মারে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হয়। নিমিষেই আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়লে জাতীয় গ্রীড লাইন বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও কুমিল্লার কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিটের সমন্বিত চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়। একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, আগুনে পুড়ে যাওয়া ট্রান্সিমিটারের তেল ধারণ ক্ষমতা ছিল ৪ হাজার ক্যালোর। এই ট্রান্সফর্মারের মাধ্যমে ১৩২ কেভি ইর্ম্পোট ও ২৩০ কেভি আউটপোর্ট তথা বিদ্যুৎ সরবরাহ ক্ষমতা সম্পন্ন ছিল।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আগুন লাগার ঘটনায় অন্তত ৩০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এরমধ্যে শুধু ট্রান্সফর্মারের মূল্যই ছিল অনুমানিক ১২কোটি। এটি দেশের বাইরে থেকে আনতে ব্যয় হয়েছে কমপক্ষে আরো ৬ কোটি টাকা। দেশে এরকম মানসম্পন্ন মাত্র ৩টি টান্সফর্মার রয়েছে, এর মধ্যে ফেঞ্জুগঞ্জে একটি। এছাড়া অন্যান্য যন্ত্রপাতি পুড়ে ক্ষয়ক্ষতি ৩০ কোটি টাকায় গিয়ে দাঁড়াবে। উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ট্রান্সফর্মারে আগুন লাগতে হলে ১৬০ ডিগ্রী উত্তপ্ত বা হাইটেনশন হতে হয়। অথবা ৩শ’ সেন্টিগ্রেড হাইটেনশন উত্তপ্ত হলে তেলেই আগুন তৈরী হয়। সেখানে মাত্র ১২০ ডিগ্রী উত্তপ্ত হওয়ায় আগুন লাগার কথা ছিল না। আগুনের নেপথ্যে কারণ হিসেবে প্রাথমিকভাবে নির্ণয় হয়েছে এইচডি বুশ ফেল করা। এতো দামি ট্রান্সমিটারে ব্যবহার করা হয়েছে কম-দামি মান-হীন বুশ। ফলে বুশ ফেল করার কারণে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। গ্রীড স্টেশনের এক কর্মকর্তা বলেন, ট্রান্সফর্মারে আগুন ধরার ঘটনায় বিদ্যুৎ বিহীন এলাকায় এদিন বিকালে শ্রীমঙ্গল গ্রীড লাইন থেকে বিকল্প হিসেবে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়। আর আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ অপর গ্রীড লাইন বন্ধ আছে জানান এক কর্মকর্তা। কিন্তু বিকল্প এই গ্রীড লাইন ক্ষতিগ্রস্থ হলে বিপর্যস্ত হবে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। এতে কয়েকটা জেলার গ্রাহকরা বিদ্যুৎহীন থাকতে হবে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাতে অগ্নিসংযোগকৃতস্থল এখনো ঝুঁকিমুক্ত নয়। ফলে আশপাশের এলাকার লোকজন বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ দুরত্বে চলে গেছেন। সোমবার সকাল সোয়া ১০ টায় সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ পালবাড়িতে বিদ্যুতের গ্রীড লাইনে ৩০০ এমপিএ ট্রান্সফর্মারে আগুন লাগে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সিলেট, মৌলভীবাজার, শাহজালাল সারকারখানা, ফেঞ্চুগঞ্জ বিদ্যুৎ উপ কেন্দ্রের, গ্রীড স্টেশন ও উপজেলা দমকল বাহিনীর ৫টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।