পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু (ভৈরব) ও শহীদ ময়েজ উদ্দিন সেতু (ঘোড়াশাল) টোল আদায়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বাছাইয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সরকারের ৩৫ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির মুখে ফেলে ‘কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম’ (সিএনএস) নামের প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে সব প্রক্রিয়া চুড়ান্ত করেছে সড়ক ও জনপদ বিভাগের সংশ্লিষ্টরা। তবে অনিয়মের কথা তুলে ধরে বিষয়টি নতুন করে মূল্যায়ের আবেদন করেছে দু’টি প্রতিষ্ঠান। জানা যায়, ভৈরব সেতু ও ঘোড়াশাল সেতুর টোল আদায়ে গত ১০ অক্টোবর আগ্রহী প্রতিষ্ঠানদের কাছে থেকে ৫ বছরের জন্য দরপত্র প্রস্তাব আহŸান করে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী দুই সেতুর টোল আদায়ে আগ্রহী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রস্তাবনা জমা দেয়। জমা পড়া প্রস্তাবনা থেকে সংশ্লিষ্ট মূল্যায়ন কমিটি একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করে। সেখানে ভৈরব সেতুর জন্য ৭টি ও ঘোড়াশাল সেতুর জন্য ৭টি প্রতিষ্ঠানকে রাখা হয়। এর মধ্যে ৫টি প্রতিষ্ঠান দু’টি সেতুর জন্যই প্রস্তাব জমা দেয়। সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৯টি।
অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রস্তাব জমা দেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ভৈরব সেতুর টোল আদায়ের জন্য আদায়কৃত টোলের ১৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ (সর্বোচ্চ) কমিশন প্রস্তাব করে সিএনএস। বাকী সব প্রতিষ্ঠান সিএনএসের চেয়ে কম প্রস্তাব করে। সর্বনিম্ম দর দেয় ‘এনসিই-এটিটি’ নামক একটি প্রতিষ্ঠান। তারা মাত্র ৭ দশমিক ৭০ শতাংশ কমিশনের প্রস্তাব দেয়। আর এমএম বিল্ডার্স নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠান ৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ কমিশন প্রস্তাব করে। অন্যদিকে ঘোড়াশাল সেতুর জন্যও ১৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ কমিশন প্রস্তাব করে সিএনএস। বাকী সবপ্রতিষ্ঠানই সিএনএসের চেয়ে কম কমিশন প্রস্তাব করে। এখানে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ কমিশন প্রস্তাব করে ‘এনসিই-এটিটি’ নামক প্রতিষ্ঠান। এখানেও ১০ শতাংশ কমিশনের প্রস্তাব দিয়ে সর্বনি¤œ দ্বিতীয় দরদাতা হয় এমএম বিল্ডার্স। দু’টি দরপত্রেই কমিশন প্রস্তাবনার হিসেবে ৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সিএনএসের অবস্থান সবার নিচে। এমনকি সিএনএসের অর্ধেক দরে একাধিক প্রতিষ্ঠান টোল আদায়ের দায়িত্ব নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু টেকনিক্যাল কমিটি ওয়েট মূল্যায়নের সময় সব প্রতিষ্ঠানকে কম নম্বর দিয়ে সিএনএসের নম্বর অস্বাভাবিকভাবে বেশি দেয়। টেকনিক্যাল কমিটি ওয়েট মূল্যায়নে অন্য সব প্রতিষ্ঠানকে ৮০ নম্বরের নিচে রাখে। বিপরীতে সিএনএসকে ৯৬ দশমিক ৫ করে নম্বর দেয়। টেকনিক্যাল কমিটি সিএনএসকে এভাবে বেশি নম্বর দিয়ে গড় মূল্যায়নে দু’টি দরপত্রেই সিএনএসেকে প্রথম অবস্থানে আনা হয়। অন্যদিকে, ভৈরব সেতুর জন্য সর্বনি¤œ দরদাতা চলে যায় তৃতীয় অবস্থানে আর ঘোড়াশালের সর্বনি¤œ দরদাতা চলে যায় দ্বিতীয় অবস্থানে। এতে করে দুই সেতুর টোল আদায়ের জন্য সিএনএসের সঙ্গে চুক্তি প্রায় চুড়ান্ত করেছে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ। এ বিষয়ে টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান সড়ক ও মাহসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুস সবুর বলেন, এখানে কে কি দর দিয়েছে তা মূখ্য নয়। কমিটির নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মূল্যয়ন করে। সেভাবেই করা হয়েছে। সার্বিক মূল্যায়নে যে প্রতিষ্ঠান প্রথম হয় সেই কাজ পায়। এখানে কোনো ধরণের অনিয়ম হয়নি। এদিকে অন্যান্য দরদাতা প্রতিষ্ঠানের দরের গড় হিসাব করলে দেখা যায়, সিএনএস নামক প্রতিষ্ঠানকে এ কাজ দিলে আদায়কৃত সরকারি রাজস্ব থেকে সিএনএস অতিরিক্ত প্রায় ৩৫ কোটি নিয়ে যাবে। এর মধ্যে ভৈরব সেতু থেকে ২৪ কোটি ১০ লাখ ৪৩ হাজার টাকা এবং ঘোড়াশাল সেতু থেকে নিবে ৯ কোটি ১২ লাখ ১৪ হাজার টাকা। অন্যদিকে, দরপত্রে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে জিএসআইসি এবং ইউডিসি নামক দুটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বিষয়টির পূণর্মূল্যায়নের আবেদন করা হয়েছে। জিএসআইসি আবেদনপত্রে বলা হয়েছে, ভৈরব সেতুর জন্য ওয়েট মূল্যায়নে যাদের নম্বর ৮০ নিচে রাখা হয়েছে তারাই ইতিপূর্বে একই মূল্যায়নে এর চেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছিল। এর মধ্যে পাকশী সেতুর জন্য প্রস্তাবনায় জিএসআইসি পেয়েছিল ৯০ দশমিক ৯৫, আত্রাই সেতুর জন্য পেয়েছিল ৯২ দশমিক ৩৫ এবং কর্ণফূলি সেতুর জন্য পেয়েছিল ৯৭ দশমিট ৭৭ নম্বর। সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুস সবুর বরাবর করা ওই আবেদনপত্রের অনুলিপি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী বরাবরও দেয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।