Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির গেজেট প্রকাশ -আইনমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নিন্ম আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ বিধির বহু আলোচিত গেজেটটি প্রকাশ হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। গতকাল সোমবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন প্রমোটিং ইকোয়ালিটি, জাস্টিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস শীর্ষক অনুষ্ঠানে আসার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে গেজেট প্রকাশের তথ্য জানান।
আইন মন্ত্রী বলেন, শৃঙ্খলা বিধির গেজেটে হয়ে গেছে। কিছুক্ষণ আগে প্রকাশ শুরু হয়ে গেছে। আমার মনে হয়, আর ৪৫ মিনিটের মধ্যে পাবলিশড হয়ে যাবে। এই বিধিমালায় আপত্তি জানিয়ে তা ফেরত পাঠিয়েছিলেন পদত্যাগী প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। তার ঘটনাবহুল পদত্যাগের পর দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার সঙ্গে আইনমন্ত্রীর আলোচনার পর বিধিমালা চূড়ান্ত হয়। আনিসুল হক বলেন, সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ কিন্তু অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হচ্ছে। তাদের সাথে একটা ঐকমত্যে পৌছে এই শৃঙ্খলা বিধির গেজেট আজ প্রকাশ করা হচ্ছে। বিচারপতি এস কে সিনহা এই বিধিমালা চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে অন্তরায় হিসেবে কাজ করেছিলেন বলে দাবি করেন আইনমন্ত্রী। এই শৃঙ্খলা বিধি নিয়ে অনেক নাটক হয়েছিল। আমি আজ আপনাদের বলব, বিচার বিভাগের সঙ্গে নির্বাহী বিভাগের কোনো দ্বন্দ্ব ছিল না।
একজন ব্যক্তি এটাকে রাজনীতিকরণ করার চেষ্টার কারণে এটা বিলম্বিত হয়েছিল। সেটা যখনই রিমুভড হয়ে হয়ে গেছে, আমরা কিন্তু বিচার বিভাগ এবং নির্বাহী বিভাগের ঐকমত্যে প্রেসিডেন্ট সম্মতিতে আজকে গেজেট করতে পেরেছি। আনিসুল হক বলেন, কিছু কিছু প্রতিকূলতা আছে। এই প্রতিকূলতাগুলো কিন্তু আমরা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছি। একটু সময় হলে আমি মনে করি অনেক প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠতে পারব। আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধান বিচারপতিকে নিয়োগ দেয়ার একমাত্র এখতিয়ার প্রসিডেন্ট। তিনি কখন নিয়োগ দেবেন, সেটা তো তিনি আমাকে বলবেন না।
মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পর ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা হয়ে বিচার বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়। গত বছরের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালার একটি খসড়া প্রস্তুত করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠায়। সরকারের খসড়াটি ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারী বিধিমালার অনুরূপ হওয়ায় তা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থি বলে গতবছর ২৮ আগাস্ট শুনানিতে জানায় আপিল বিভাগ। এরপর ওই খসড়া সংশোধন করে সুপ্রিম কোর্ট আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। সেইসঙ্গে তা চূড়ান্ত করে প্রতিবেদন আকারে আদালতে উপস্থাপন করতে বলা হয় আইন মন্ত্রণালয়কে। এরপর দফায় দফায় সময় দেয়া হলেও সরকারের সঙ্গে আদালতের মতপার্থক্যের কারণে ওই বিধিমালা গেজেট প্রকাশের বিষয়টি ঝুলে থাকে। গত ৩০ জুলাই তা গ্রহণ না করে কয়েকটি শব্দ ও বিধি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তখনকার প্রধান বিচারপতি সিনহা। শৃঙ্খলাবিধির সেই খসড়া নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে ক্ষমতাসীনদের সমালোচনার মুখে বিচারপতি সিনহা ছুটি নিয়ে গত ১৩ অক্টোবর দেশ ছাড়ার পর ছুটি শেষে ১০ নভেম্বর পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আইনমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ