পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অনেক নাটকের পর অবশেষে প্রশাসনে অতিরিক্ত সচিব করা হয়েছে ১২৮জন কর্মকর্তাকে। স্থায়ী পদের ব্যাপক ঘাটতি থাকলেও জনপ্রশাসনের আরও ১২৮ কর্মকর্তাকে যুগ্ম-সচিব থেকে পদোন্নতি দিয়ে অতিরিক্ত সচিব করেছে সরকার। বর্তমান সরকারের মেয়াদে পঞ্চম দফায় জনপ্রশাসনের কর্মকর্তারা বড় ধরনের পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। বেশিরভাগ কর্মকর্তাকেই আগের পদেই পদায়ন (ইন সি টু) করা হয়েছে। এছাড়া তিন জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
আগামী কয়েক দিনের মধ্যে যুগ্ম-সচিব ও উপসচিব পদেও পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। এবার অতিরিক্ত সচিব পদে নবম ও দশম ব্যাচের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ১৯৮২, ১৯৮৪, ১৯৮৫ ও ১৯৮৬ ব্যাচের বাদপড়া কয়েকজনও পদোন্নতি পেয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, অতিরিক্ত সচিবের স্থায়ী পদের সংখ্যা ১১১টি এবং যুগ্ম-সচিবের স্থায়ী পদ আছে ৪৩০টি। বর্তমানে অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্ম-সচিবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৫৬০ জন ও ৬৫৩ জনে। স্থায়ী পদের চেয়ে বেশি সংখ্যক কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে পদোন্নতি দেওয়ায় সবাইকে পদায়ন করা সম্ভব হবে না জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তারা। তিনি বলছেন, বেশিরভাগ কর্মকর্তাকেই আগের পদেই পদায়ন (ইন সি টু) করা হবে।
যুগ্ম-সচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পাওয়া কর্মকতারা হলেন, জনপ্রশাসনের যুগ্ম-সচিব মীর খুরশিদ আনোয়ারকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দেয়া হয়। তথ্য মন্ত্রণালয়ের মো: মহিবুল হোসেন. বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের পরিচালক মোস্তফা কামাল. বিওআই এর প্রকল্প পরিচালক আবু সাঈদ মো: খুরশীদুল আলম, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আব্দুল হালিম, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মো: রেজাউল কাদের, দুযোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের রাশিদা বেগম,বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস কপোরেশনের পরিচালক পি এস এম শহীদুল হারুণ,জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিদ্দিক জোবায়ের, বাধ্যতামুলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ ইউনিটের পরিচালক সাইফুল্লাহ মকবুল মুশের্দ,সমাজ সেবা অধিদপ্তরের পরিচালক আবু মোহাম্মদ ইউসুফ,জনপ্রশাসনের ওএসডি মো: আব্দুল্লা হেল বাকী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ফাতেমা বেগম, জনপ্রশাসনের ওএসডি কর্মকর্তা অমৃত বাডৈ,ক্লিন এয়ার অ্যাড সাসটেইননেবল এনভাইরণমেন্ট প্রকল্পের পরিচালক ড. এস এম মঞ্জুরুল হান্নান খান, বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের রুহিদাস জদ্দার, ঢাকা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মুনীর হোসেন,শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক উৎপল কুমার দাস, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের পরিচালক আকবার হোসেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওএসডি কর্মকর্তা ড. মো, আতিকুর রহমান, ডিজিটাল ল্যাড ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের পরিচালক মো. আহসান হাবীব তালুকতার, বাংলাদেশ পর্যটক করপোরেশনের পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন, বাংলাদেশ বিনিযোগ উন্নয়ন কর্তপক্ষের পরিচালক মো. জাহিদুর রহমান,জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউডের পরিচালক শেখ মফিদুল ইসলাম, ওএসডি কর্মকর্তা খোন্দকার মোস্তান হোসেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এস এম জাহিদুল করিমসহ ১২৮জন কর্মকতা। এছাড়া পিরোজপুর, পাবনা ও পঞ্চগড়ে নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এই নিয়োগ দিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবু আহমেদ সিদ্দিকী পিরোজপুর ডিসি ,স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব জসিম উদ্দিনকে পাবনা ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জহিরুল ইসলাম পঞ্চগড়ের ডিসি নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা ইনকিলাবকে বলেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের (এসএসবি) বেশ কয়েকটি সভার পর গত মাসে কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়ার তালিকা চূড়ান্ত করে অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়। ওই তালিকা অনুমোদন না দিয়ে প্রধানমন্ত্রী কিছু পর্যবেক্ষণসহ তা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠান। পরে আরও এসএসবির সভার মধ্য দিয়ে ওই তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। গত রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতিপ্রাপ্তদের তালিকা অনুমোদন দিয়েছেন। তা সেই দিনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আসে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এপিডি (অ্যাপয়নমেন্ট, পোস্টিং অ্যান্ড ডেপুটেশন) শেখ ইউসুফ হারুন ইনকিলাবকে বলেন, নতুন করে নবম ব্যাচের কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এর আগে বাদপড়া ব্যাচের কর্মকর্তারাও পদোন্নতি দেয়া পেয়েছেন। যুগ্ম-সচিব ও উপ-সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়ার কাজ চলছে জানিয়ে এপিডি বলেন, যারা পদোন্নতি পাননি তাদের কেউ বলতে পারেন বঞ্চিত হয়েছেন, কিন্তু এখানে বঞ্চিতের কোনো বিয়ষ নেই। যারা পদোন্নতির শর্ত অর্জন করেছেন তারাই পদোন্নতি পেয়েছেন। অনেকে বলবেন যোগ্য ছিলাম পদোন্নতি পাইনি। কিন্তু দেখা যাবে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা আছে, এসিআর-এ নম্বর কম, অনেকের প্রতিবেদনও খারাপ। পদোন্নতি পাওয়া বেশিরভাগ কর্মকর্তাকে আগেই পদের পদায়ন করা হবে। ইউসুফ হারুন বলেন, সবাইকে পদায়ন করা যাবে না। যারা শিগগিরই পিআরএলে যাবেন তাদেরও পদায়ন করা হবে না।
সবশেষ গত ২৩ এপ্রিল ২৬৭ জন জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিবকে উপসচিব পদে পদোন্নতি দেয়া হয়।২০১৬ সালের ২৭ নভেম্বর অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম-সচিব ও উপসচিবের তিন স্তরে পদোন্নতি পান ৫৩৬ জন কর্মকর্তা। ২০১৬ সালের মে মাসে অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম-সচিব ও উপসচিব পদে ২১৭ কর্মকর্তা এবং ২০১৫ সালের জুনে উপ-সচিব, যুগ্ম-সচিব এবং অতিরিক্ত সচিব পদে আরও ৮৭৩ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়া হয়। ২০০৯-২০১৩ মেয়াদে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার বিভিন্ন ধাপে জনপ্রশাসনের ২ হাজার ৫২৮ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়েছিল। গত সরকারের আমলে পদোন্নতি পাওয়া দুই হাজার ৫২৮ কর্মকর্তার মধ্যে সচিব পদে ৭৮ জন, অতিরিক্ত সচিব পদে ২৯৩ জন, যুগ্ম-সচিব পদে এক হাজার ৯১ জন এবং উপ-সচিব হিসাবে ১ হাজার ৬৬ জন পদোন্নতি পান। সরকারের উপসচিব, যুগ্মসচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদে পদোন্নতি বিধিমালা, ২০০২-এ বলা হয়েছে, অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির ক্ষত্রে ৭০ শতাংশ প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের ও ৩০ শতাংশ অন্যান্য ক্যাডারের যুগ্মসচিব পদে কর্মরতদের বিবেচনায় নিতে হবে। বিধিমালা অনুযায়ী, যুগ্মসচিব পদে কমপক্ষে তিন বছর চাকরিসহ ২০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা বা যুগ্মসচিব পদে কমপক্ষে দুই বছরের চাকরিসহ ২২।
##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।