রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) থেকে খলিল সিকদার : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সরকারি হিসাবে ৩০টি ইটভাটাসহ বেসরকারি হিসাবে ৬৫টি ইটভাটা রয়েছে। এসব ভাটায় ইট প্রস্তুতে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার হয় মাটি। আর রূপগঞ্জে খাল-বিল, বসতভিটা ছাড়িয়ে আবাসন কোম্পানির দৌরাত্ম্যে বালু আর বালুতে তলিয়ে গেছে মাটি। যেসব মাটি আছে, তাতে রয়েছে বসতভিটা আর ফসলি জমি। ফলে ভাটামালিকরা মাটি সঙ্কটে ভুগছেন বলে জানা গেছে।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার দাউদপুরের বেলদি, দেবই, শিমুলিয়া, কাজিরবাগ, খৈসাইর, আসলিপাড়া, রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ইছাপুরার ভোলানাথপুর, বাড়িয়া ছনি, ভোলাব ইউনিয়নের আতলাপুর, কাঞ্চন পৌরসভার বিরাব, হাটাব গোলাকান্দাইলের সাওঘাট, কান্দাইল, তারাবো পৌরসভার মৈকুলি, বরপাসহ বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে অর্ধশতাধিক ইটভাটা। এসব ইটভাটায় এতদিন স্থানীয় ফসলি জমির টপসয়েল, টেক টিলার মাটি ক্রয় করে ব্যবহার করে এলেও সম্প্রতি আবাসন কোম্পানির নামে বালু দিয়ে ভরাট করায় মাটি সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ফলে এসব ভাটামালিকরা দূরের জেলা থেকে মাটি কিনে আনতে বাধ্য হচ্ছেন। তাতে পরিবহন খরচ হাতের নাগালের বাইরে চলে যাওয়ায় ইটের দাম বৃদ্ধি পাবে বলে জানান ভাটাসংশ্লিষ্টরা।
সূত্র জানায়, সম্প্রতি কয়লা সঙ্কট দেখা দিলে ভারত থেকে কয়লা আমদানি করায় কয়েক দফা ইটের দাম বাড়ানো হয়েছে। তার রেষ না কাটতেই রূপগঞ্জের ভাটা মালিকদের মাটি পরিবহনে বেশি টাকা গুনতে হচ্ছে। তাতে ইটের দাম আগের তুলনায় না বাড়ালে লোকসান গুনবেন তারা। এ বিষয়ে দাউদপুরের থ্রি সেভেন স্টারের মালিকর মজিবুর রহমান জানান, আগে যখন ১০ টন ওজনের এক ট্রলার মাটি ক্রয়ে মাত্র পাঁচ হাজার টাকা গুনতে হতো, এখন একই পরিমাণ মাটি দূর থেকে ক্রয় করায় শ্রমিক খরচসহ পরিবহনেই আরো তিন হাজার টাকা বেশি খরচ হচ্ছে। আর এ খরচ তুলতে ইটের দাম না বাড়ালে লোকসান গুনতে হবে বলে জানান তিনি। মধুখালী এলাকার মাহবুব আলম জানান, রূপগঞ্জে পূর্বাচল উপশহর হওয়ার পর থেকেই আবাসন কোম্পানিগুলো বালু ফেলে বিলসহ নিচু এলাকা ভরাট করে ফেলেছে। ফলে স্থানীয়দের মাটি বিক্রির পরিবেশ নেই। ফলে ভাটামালিকরা মাটি ক্রয়েই বড় অঙ্কের পুঁজি বিনিয়োগ করতে বাধ্য হচ্ছেন। এদিকে টপসয়েল কাটা নিষিদ্ধ থাকায় মাটি পেতে সমস্যায় পড়ছেন তারা। এ বিষয়ে চায়না তারাবো ব্রিক ফিল্ডের মালিক কলামিস্ট মীর আবদুল আলীম বলেন, নদীপাড়ের ভাটা মালিকরা যদিও ট্রলারযোগে অনেকটা কম খরচে মাটি পান। কিন্তু স্থলপথে দিগুণ ভাড়ায় মাটি ক্রয় করতে হচ্ছে। অবাধে বালু ফেলে বিল ভরাট করায় এ সঙ্কট তৈরি হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।