Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নাসিরনগরে হামলা আদালত পরিদর্শকের কাছে অভিযোগপত্র জমা

| প্রকাশের সময় : ১১ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা সদরে হিন্দুদের মন্দির ও ঘর-বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়ের হওয়ার আট মামলার মধ্যে একটি মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশীট) জেলা আদালত পুলিশের পরিদর্শকের (ইন্সপেক্টর) কাছে জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। ২২৮ জনকে অভিযুক্ত করে গতকাল রোববার দুপুরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও নাসিরনগর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ শওকত হোসেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) মাহবুবুর রহমানের কাছে অভিযোগ পত্রটি জমা দেন। অভিযুক্তদের মধ্যে নাসিরনগর উপজেলার হরিপুরইউনিয়নের বহিস্কৃত চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতা দেওয়ান আতিকুর আঁখি, সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান উপজেলা আ’লীগ নেতা আবুল হাসেম, হরিপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি (বহিস্কারের সুপারিশকৃত) ফারুক মিয়া, চাপরতলা ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি (বহিস্কারের সুপারিশকৃত) সুরুজ আলী, উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আব্দুল হান্নান, হরিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. জামাল, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিরুল হোসেন চকদার উল্লেখ্যযোগ্য।
তবে অভিযোগ পত্রটি আজ সোমবার আদালতের বিচারকের কাছে দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) মাহবুবুর রহমান। তিনি জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গৌর মন্দির ভাঙচুর মামলার অভিযোগপত্রটি আমার কাছে জমা দিয়েছেন। কোনো ত্রæটি-বিচ্যুতি আছে কিনা সেটি মূল নথির সাথে যাচাই-বাছাই করে সোমবার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দাখিল করা হবে। নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জাফর অভিযোগপত্রটি দাখিলের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নাসিরনগর থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৩০ অক্টোবর নাসিরনগর উপজেলা সদরের গৌর মন্দিরে হামলা ভাঙচুর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নির্মল চৌধুরী বাদী হয়ে দুই থেকে আড়াই হাজার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদেও আসামি মামলা দায়ের করা হয়।
উল্লেখ্য, হরিণবেড় ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের রসরাজ দাস নামক এক যুবক নিজস্ব ফেসবুক আইডি থেকে পবিত্র কাবা শরীফের উপর শিব মূর্তি স্থাপন করে ছবি পোাস্ট দেয়। এই অভিযোগ তুলে গত বছরের ৩০ অক্টোবর নাসিরনগর উপজেলা সদরে হিন্দুদের মন্দির ও বাড়ি ঘরে হামলা হয়। পরে আরো কয়েক দফা একাধিক বাড়িতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এ সব ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থরা আটটি মামলা করে নাসিরনগর থানায়। এ সব ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থদের দায়ের করা মামলায় প্রায় ৩০০০ হাজার লোককে আসামি করা হয়।

লোহাগাড়ায় ৮ বসতঘরে আগুন
ক্ষয়ক্ষতি ৩০ লাখ টাকা
লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা ইউনিয়নের মাওলানা পাড়ায় ৮ বাড়ীতে আগুন লেগে ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গত শনিবার দিবাগত রাত ২ টায় এই ঘটনা ঘটে। আগুনে পুড়ে যাওয়া একটি বাড়ীর মালিক রুহুল আমিন বলেন, বৈদ্যুতিক তার হতে অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত হয়েছে। আগুনে তার বাড়ীসহ শহীদুল আলম, ফরিদুল আলম,আইয়ুব আলী,আব্দুল শুক্কুর, নাছির উদ্দীন,নুরুল আবচারের বাড়ী পুড়ে ছাই হয়েগেছে। আগুনের উত্তাপ বেশী হওয়ায় স্থানীয়রা কয়েকঘন্টা চেষ্টা করেও আগুন নেভাতে পারেনি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ