Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রেমিকাকে গণধর্ষণ মামলা প্রধান আসামি সিরাজুল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু

| প্রকাশের সময় : ১১ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বরিশাল ব্যুরো : বরিশাল নগরীর বেসরকারী বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব হেলথ এন্ড টেকনোলজির ৭ম পর্বের ছাত্রী সাদিয়া আক্তারকে (২১) গণ ধর্ষণের পর হত্যা মামলার প্রধান আসামী সিরাজুল ইসলাম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। গত শনিবার রাত দেড়টার বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হাসপাতালের প্রিজন সেলে তার মৃত্যু ঘটে। গত মঙ্গলবার পুলিশ সিরাজুলকে পিরোজপুরের মঠবাড়ীয়া থেকে গ্রেফতার করেছিল।
গত শুক্রবার রাতে সিরাজুলকে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শেবাচিম হাসপাতালের চিকিৎসকরা সাংবাদিকদের বলেছেন, মৃত সিরাজুলের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। সিরাজুল পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার খেজুরবাড়িয়া গ্রামের ইব্রাহিম হাওলাদারের ছেলে। গ্রেফতারের পর থেকে ইব্রাহিম হাওলাদার সহ তার পরিবার পলাতক রয়েছে। সিরাজুলের ভগ্নিপতি মাওলানা মাহমুদ খান মুঠোফোনে জানান, সিরাজুলের কোন শারীরিক অসুস্থতা ছিলনা। গ্রেফতারের পর পুলিশের অমানুষিক নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আইনের আশ্রয় নেবেন কি-না জানতে চাইলে মাহমুদ খান বলেন, “আমরা গরীব, পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করে লড়াই করার মতো সামর্থ্য নেই”। শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. মুস্তাফিজুর রহমান জানান, সিরাজুলকে অসুস্থ অবস্থায় গত শুক্রবার রাত ৮টা ১০ মিনিটে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার রাত ১টা ৩০মিনিটে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর প্রমাণপত্রে “ফিজিক্যাল অ্যাসাল্ট” শব্দটি উল্লেখ রয়েছে। হত্যা ও ধর্ষণ মামলার আসামী সিরাজুল গত মঙ্গলবার আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী দেবার পর তাকে সুস্থ অবস্থায় কারাগারে পাঠানো হয়েছিল বলে দাবী করেছেন বরিশাল কোতয়ালী থানার ওসি মো. আওলাদ হোসেন জানান। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হতে পারে বলে ওসি ধারনা করছেন। তবে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. বদরুদৌজা সাংবাদিকদের জানান, শরীরে ফুলা জখম অবস্থায় সিরাজুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। শুক্রবার তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেবাচিম হাসপাতালে নেওয়া হয়। সিরাজের ভগ্নিপতি মাহমুদ জানান, তার শ্বশুর ইব্রাহিম হাওলাদার হতদরিদ্র। তার ২ ছেলে ২ মেয়ে। সিরাজুলের বড় ভাই মিরাজ নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। মাহমুদ খান জানান, গত ৩ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় মঠবাড়িয়ার বড় মাছুয়া বাজার থেকে সিরাজুলকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এরপর তারা জানতে পারেন, সিরাজ এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেম অভিনয় করে বন্ধুদের নিয়ে ওই ছাত্রীকে গণধর্ষন ও হত্যা করেছে। মাহমুদ খান দাবী করেন, সিরাজুল নীরিহ প্রকৃতির ছিল। তার বিরুদ্ধে এর আগে থানায় কোন মামলা ছিলনা। মঠবাড়িয়া থানা পুলিশের মাধ্যমে সিরাজুলের মৃতুর খবর জানার পর তার লাশ গ্রহণের জন্য ভগ্নিপতি মাহমুদ খান বরিশালে আসছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ