বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
লক্ষ্মীপুর জেলা সংবাদদাতা : আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ শহরে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় গ্রুপের ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। সোমবার রাত ১০টার দিকে পৌরসভা কার্যালয়ের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে। পরে উত্তেজিত নেতাকর্মীরা পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল চৌকিয়ার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
দলীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সম্প্রতি রামগঞ্জ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন নিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এমরান হোসেন বাচ্চু ও পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল চৌকিয়ার নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে । নির্বাচনের পর দুই গ্রুপের মধ্যে কয়েকবার সংঘর্ষ, হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনাও ঘটে। সোমবার রাতে পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে সোহেল গ্রুপের অনুসারী পৌর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান রুবেলকে মারধর করে এমরান হোসেন বাচ্চুর লোকজন। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে সংঘর্ষে ১০ নেতাকর্মী আহত হন।
ছাত্রলীগ নেতা সোহেল চৌকিয়া বলেন, পরিকল্পিতভাবে এমরান হোসেন বাচ্চুর আমার নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। পরে পুলিশের এসআই একেএম ছায়েদুর রহমানের নেতৃত্বে প্রতিপক্ষের লোকজন আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও মালামাল তছনছ করেছে।
পাল্টা অভিযোগ করে এমরান হোসেন বাচ্চু বলেন বলেন, এ ঘটনার জন্য দায়ী সোহেল ও তার লোকজন। তারাই আমার লোকজনের উপর হামলা চালিয়ে বেশ কয়েক জনকে পিটিয়ে আহত করেছে। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসায় আমরা প্রাণে রক্ষা পাই।
রামগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সোলায়মান চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। পুলিশের বিরুদ্ধে হামলায় সহযোগিতার অভিযোগ সঠিক নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।