পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হস্তান্তরের শর্ত ভঙ্গ করায় চট্টগ্রামের সুলতানা জুট মিলস্ লিমিটেড আবারো সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিজেএমসি এর দেখভাল করবে। দায়দেনা পরিশোধ করতে না পারায় প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃত্ব বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় নিয়েছে বলে গতকাল শুক্রবার মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানায়।
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈকত চন্দ্র হালদার ইনকিলাবকে জানান, চট্টগ্রামের সুলতানা জুট মিলস ১৯৮২ সালের শিল্পনীতির শর্ত অনুযায়ী মিলের যাবতীয় দায়দেনা পরিশোধ এবং মিলটি পুনরায় চালু করার শর্তে বর্তমান কর্তৃপক্ষের কাছে মিলটি হস্তান্তর করে। তারা শর্ত মেনে মিলের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব গ্রহণ করে। এজন্য সরকারের সঙ্গে বর্তমান মিল কর্তৃপক্ষের একাধিক চুক্তিও রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রীনা পারভিন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। হালদার জানান, বর্তমান কর্তৃপক্ষ মিলটি বুঝে নেয়ার পর মিলটি আর চালু করতে পারেনি। চুক্তি ভঙ্গ করে সরকার, বিজেএমসি ও অন্যান্য সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়দেনা-পাওনাও পরিশোধ করেনি। মিল ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে প্রতিষ্ঠানটির কাছে সরকারের পাওনা পরিশোধের জন্য ১৯৯৫, ১৯৯৬, ১৯৯৭, ২০০২ এবং ২০১৬ সালে সর্বশেষ তাগিদপত্র দেয়া হয়। কিন্তু তারপরও তারা সরকারি পাওনা পরিশোধ করেনি। বরং মিলের যাবতীয় মেশিনারিজ একপাশে স্তূপ করে ফেলে রেখে সরকারের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি ভঙ্গ করে। জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন যাবৎমিল বন্ধ রেখে হাজার হাজার শ্রমিক-কর্মচারীকে বেকারত্বের দিকে ঠেলে দিয়েছে। তাদের কারণে অসংখ্য শ্রমিক-কর্মচারী, পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এসব কারণে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় হস্তান্তরের সব চুক্তি বাতিল করে সুলতানা জুট মিলসের দায়িত্ব আবারো গ্রহণ করে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সুলতানা জুটস মিলস লিমিটেড, বাঁশবাড়িয়া, সীতাকুন্ড, চট্টগ্রাম কারখানাটিসহ ওই কোম্পানির যাবতীয় শেয়ার, স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ও স্বত্ব সরকার কর্তৃক ৭ ডিসেম্বর পুন:গ্রহণ (টেক-ব্যাক) করা হলো এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মিলটি ব্যবস্থাপনার নিমিত্ত এ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিজেএমসির নিয়ন্ত্রণে ন্যস্ত করা হলো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।