বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সরকারের গৃহায়ন তহবিল থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধ করছে না ১৭৬ এনজিও। দেশের ৪৫টি জেলায় ১৭৬টি বেসরকারি সেবা সংস্থা (এনজিও) এরই মধ্যে ঋণখেলাপি হয়ে পড়েছে। খেলাপিদের মধ্যে রাজধানী ঢাকাতেই আছে ৩৭টি প্রতিষ্ঠান। বাকিগুলো বিভিন্ন জেলায়। ইতিমধ্যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এনজিওবিষয়ক ব্যুরো সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বেসরকারি এসব প্রতিষ্ঠান কোন খাতে কত টাকা খরচ করছে, সে ব্যাপারে নজরদারি বাড়াতে হবে। অন্যথায় বেসরকারি সেবা সংস্থাগুলোর অনিয়ম রোধ করা যাবে না।
এনজিও ব্যুরো সূত্রে জানা গেছে, ১৭৬টি প্রতিষ্ঠানের মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা। এর মধ্যে ঢাকাতে ৩৭টি প্রতিষ্ঠান খেলাপি হয়ে পড়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের ঋণের পরিমাণ তিন কোটি ৭৫ লাখ টাকা। খেলাপি সংস্থাগুলোর মধ্যে ৮ বছরেও কিস্তি পরিশোধ করেনি ঝালকাঠির হিলফুল ফুযুল সমাজ কল্যাণ সংস্থা। বর্তমানে সংস্থাটির কাছে ব্যাংকের পাওনা এক কোটি ৪৩ লাখ টাকা।
সূত্র জানায়, দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর বসতঘর বানানোর জন্য ১৯৯৭ সালে তহবিল গঠন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে স্টিয়ারিং কমিটি এ তহবিলের তদারকি করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে বিভিন্ন এনজিওকে ঋণ বিতরণের জন্য টাকা দেয়া হয়। শুরুতে তহবিলের আকার ছিল ৫০ কোটি টাকা। এ পর্যন্ত সরকার এ খাতে ৩শ’ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এর মধ্যে ১৬২ কোটি টাকা ছাড় করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এনজিওগুলো দুই শতাংশ সুদে তহবিল পায়। গ্রাহক পর্যায়ে তারা ছয় শতাংশ সুদে ঋণ দেয়। ২২০ থেকে ৩০০ বর্গফুটের একটি ঘর বানানোর জন্য একজন গ্রাহককে সর্বোচ্চ ৭০ হাজার টাকা ঋণ দেয়া হয়। ১০ বছর মেয়াদে ঋণ পরিশোধ করার কথা। এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ঋণ নিয়ে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান উধাও হয়ে গেছে। ১০ বছরে ১ টাকাও পরিশোধ করেনি। আবার কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব প্রতিষ্ঠান মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) মাধ্যমে লাইসেন্স নিয়ে কাজ করছিল। এনজিও ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, গত ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত এই তহবিল থেকে বেসরকারি সেবা সংস্থাগুলোকে ১৮৮ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। যার মাধ্যমে সারা দেশে ৬৪ হাজার ১৬৯টি গৃহনির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে দেশের ৫১৪টি এনজিও এই তহবিলের ঋণ বিতরণ করে আসছে। এছাড়া আরও ১০২টি এনজিও তহবিলে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।