বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, সাতক্ষীরা থেকে : সাতক্ষীরায় অবাধে চলছে অতিথি পাখি শিকার। এক শ্রেণির শিকারী পাখিদের অবাধ বিচরণে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। একনলা বা দো-নলা বন্দুক এবং এয়ারগান দিয়ে নির্বিচারে এসব অতিথি পাখিকে হত্যা করা হচ্ছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, প্রতি বছর শীতের আগমনের সাথে সাথে সাতক্ষীরার বিভিন্ন অঞ্চলে অতিথি পাখিদেরও আগমন ঘটে। শীত মওসুম জুড়েই দেখা যায় বক, বাদিহাস, সারস, পানকৌড়িসহ অসংখ্য প্রজাতির নানান রঙ এর দেশি-বিদেশি পাখি। খাল-বিল তথা জলাশয়গুলোতে চিংড়ি, পুটি, খলসেসহ ছোট ছোট মাছ খাওয়ার লোভেই নানান প্রজাতির এসব অতিথি পাখি ঝাকে ঝাকে আসে সাতক্ষীরায়। জেলার তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের পাখি মারা, আমতলার বিল, খেশরার বিল, সোনা কুড়ির বিল, জেলের চক, রাজাপুর বিল, আবাদের বিল, চোরাডাঙ্গীর বিল, দেবহাটা উপজেলার নোড়ার আবাদ, সখিপুর, ভাতশালা, টাউনশ্রীপুর, কলারোয়ার জয়নগর, সরসকাটিসহ বিভিন্ন উপজেলার একাধিক জায়গায় এরা আশ্রয় নেয়। পাখিগুলো এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় পাখামেলে উড়ে বেড়ানোয় প্রকৃতি যেনো সাজে অপরুপ সাজে। কিন্তু একশ্রেণির স্বার্থান্বেষী চোরা শিকারীরা পাখির এমন অবাধ বিচরণে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রত্যুষে যখন পাখিরা খাবারের উদ্দেশ্যে এ সব স্থানে এসে বসে তখন চোরা শিকারীরা বন্দুকের গুলি ছুড়ে এদের হত্যা করছে। শুধু খালে-বিলে মাঠে নয়, গাছে আশ্রয় নেয়া পাখিদের রাতের বেলায় টর্চ লাইট জ্বালিয়ে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় কয়েকজন জন প্রতিনিধি বলেন, শীতের আগমনে এসব আগত অতিথি পাখি আমাদের জীববৈচিত্রের অংশ। বছরের পর বছর চোরা শিকারীরা নির্বিবিচারে পাখি শিকার করলেও এটা রোধে কার্যত কোন আইনি ব্যবস্থার প্রয়োগ হচ্ছে না। তারা বলেন, এভাবে পাখি শিকার চললে এক সময়ে সাতক্ষীরায় অতিথি পাখি আসা বন্ধ হয়ে যাবে।
এলাকার সুধীজন ও পাখি প্রেমিরা চোরা শিকারীদের হাত থেকে এসব পরিযায়ী পাখিদের নির্বিচারে হত্যা বন্ধে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।