নাছিম উল আলম : নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের উপক‚লভাগ সহ দক্ষিণাঞ্চলের আবহাওয়ায় গতকাল দুপুর থেকে কিছুটা বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার রাত থেকে গতকাল সকাল পর্যন্ত নদ-নদী অববাহিকা সহ দক্ষিণাঞ্চলের বেশীরভাগ এলাকা হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশায় ঢেকে গেলেও দুপুর থেকে দিগন্ত জুড়ে মেঘলা আকাশ পরিস্থিতি বদলে দেয়। এসময়ের মেঘলা আকাশ উঠতি আমন সহ বোরো বীজতলা এবং রবি ফসলের জন্য নুতন করে ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় উপক‚লভাগ সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টিপাতের সম্ভবনার কথাও জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের কোন নদী বন্দরের জন্য সতর্ক সঙ্কেত না থাকলেও পায়রা সহ সবগুলো সমুদ্র বন্দরে দূরবর্তী ১ নম্বর সতর্ক সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে। নিম্নচাপটি গতকাল সন্ধ্যায় পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে প্রায় ১১শ’ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

আবহাওয়া বিভাগের মতে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভ‚ত ও নিম্নচাপে পরিণত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরো জোরদার হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪০ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ৪০ কিলোমিটার। যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী সাগর উত্তাল রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছধরা ট্রলার ও নৌকাসমূহকে সবাধানে চলাচল করা সহ গভীর সমুদ্রে যেতে বারন করেছে আবহাওয়া বিভাগ।
গত ১৫ ও ১৬ নভেম্বর নিম্নচাপজনিত হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণে দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান দানাদার খাদ্য ফসল আমন-এর জন্য যথষ্ঠ ঝুঁকি বাড়ায়। মাত্র কুড়ি দিনের মাথায় আবার অসময়ের বৃষ্টিপাত মাঠের পাকা ধান সহ সাথী ফসল খেশারীর জন্য যথেষ্ঠ নাজুক পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে। এখনো দক্ষিণাঞ্চলের মাঠে প্রায় ৫৫ ভাগ আমন ধান কর্তনের অপেক্ষায়। এছাড়া এসময়ে বর্ষন অপেক্ষাকৃত নিচু দক্ষিণাঞ্চলে বোরো বীজতলা তৈরী সহ মাঠে থাকা গোল আলু, খেশারী সহ বিভিন্ন তেল বীজ ও গমের আবাদকেও বিলম্বিত করতে পারে।