রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
চট্টগ্রামের কৃষি প্রধান জনপদ মীরসরাই উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ধানের হাট জমে উঠেছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকারি ব্যবসায়ীরা মীরসরাই-সীতাকুন্ড উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় ধানের হাট মিঠাছরা ও জোরারগঞ্জ বাজারে ধান ক্রয় করছেন। প্রতি মণ ধান মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৯০০ থেকে ২০০০ টাকায়। তবে চালের দাম কম হওয়ায় এই দামে সন্তুষ্ট নন কৃষক ও পাইকাররা। প্রত্যাশিত দাম না পেয়ে হতাশ তারা।
মিরসরাই উপজেলার কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে উৎপাদিত ধান কাটার শেষ পর্যায়ে কৃষকেরা বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে আসছেন। চট্টগ্রামের পাহাড়াতলী, বাঁশবাড়িয়া,বাড়বকুন্ড, ফেনী ও নোয়াখালীর চৌমুহানীসহ বিভিন্ন বাজার থেকে প্রতি হাটবারে শত শত পাইকার ধান কিনতে মিরসরাইয়ের বাজারগুলোতে ছুটে আসেন। তার মধ্যে সব চেয়ে বড় হাট বসে জোরারগঞ্জে। এছাড়াও আবুতোরাব, বড় দারোগারহাট, আবুরহাট ও বারইয়ারহাটে বসে ধানের হাট।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন যানবাহনে করে কৃষকেরা বস্তাভর্তি ধান আনছেন বাজারে বিক্রি করতে। প্রতি আড়ি (১৬ কেজি) ধান বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা হারে। প্রতি বস্তা মোটা ধানের মধ্যে বিআর-১১, বিআর-২২, বিআর-৪৯, হরি ধান, এরিশাইল, জিরা বালাম বিক্রি হচ্ছে ১৭০০-১৮০০টাকা, হচ্ছে স্বর্ণা, বিআর-৪৯ সহ চিকন ধান বিক্রি হচ্ছে ১৯০০-২০০০ টাকা।
জোরারগঞ্জ বাজার রবি ও বুধবার এবং বারইয়ারহাট ও বড় দারোগারহাটে ধান বিক্রি হয় সোম ও বৃহস্পতিবার ভোর ৫ টা থেকে দুপুর পর্যন্ত। উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের দেওয়ানপুর গ্রামের কৃষক লিটন মজুমদার ও জীবন নাথ জানান, এবার বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবিলা করে উৎপাদন ভালো হলেও চাষের খরচ বেড়ে যাওয়ায় এবং চালের দাম কম হওয়ার কারণে বিক্রি করেও তেমন লাভের মুখ দেখছি না। জোরারগঞ্জ বাজারে বাঁশবাড়িয়া থেকে ধান কিনতে আসা ব্যবসায়ী নীহার, কীর্তিলাল, শ্রীরাম চন্দ্র বলেন, এবার প্রতি মণ ধান ১৯০০-২০০০ টাকায় কিনে প্রক্রিয়াজাত করে বাজারে চাল বিক্রয় করছি। তবে চালের দাম কমে যাওয়ায় লাভ তেমন না হওয়ায় হতাশ বলেও জানান তারা।
জোরারগঞ্জ ধানের হাটের টোল আদায়কারী মো. দুলাল জানান, প্রতি হাটে প্রায় ১৫ শ বস্তা (প্রতি বস্তায় ৮৫ কেজি করে) ধান বিক্রি হয় এবং এই বাজারে লেনদেন হয় প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ জানান, এবার উপজেলার ২০ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে উচ্চফলনশীল ও হাইব্রিড জাতের আমন ধানের আবাদ হয়েছে। এবার উপজেলায় আমন ধান উৎপাদন হয়েছে ৫৪ হাজার ১৯০ মেট্রিক টন। মীরসরাইয়ে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি আমন ধান উৎপাদন হয়েছে বলেও তিনি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।