Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

‘ইকোনমিক জোনে’ সউদী ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ৭ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশের ইকনোমিক জোনে সউদী উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশে ১০০টি ইকনোমিক জোন স্থাপনের পদক্ষেপ নিয়েছে। সউদী ব্যবসায়ীরা চাইলে এর যে কোনোটিতে ‘বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ প্রতিষ্ঠা করে সম্ভাবনাময় খাতে বিনিয়োগ করতে পারবেন। গতকাল বুধবার ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) আয়োজিত বাংলাদেশ-সউদী আরব বিজনেস মিটিংয়ে এ আহ্বান জানান তিনি। এফবিসিসিআই সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে স্থানীয় এক হোটেলে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় এফবিসিসিআইর প্রথম সহ-সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, সহ-সভাপতি মো. মুনতাকিম আশরাফসহ অন্যান্য পরিচালক এবং বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও দেশের শীর্ষস্থানীয় বিনিয়োগকারী ও আমদানি-রপ্তানিকারকরা উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে সউদী আরবের ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট গ্রুপের সভাপতি মোসাবাব আব্দুল্লাহ আলকাহতানির নেতৃত্বে দেশটির ২১ সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের ব্যবসায়ি প্রতিনিধিদল সভায় অংশ নেন। বৈঠকে সউদী আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসি, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজি এম. আমিনুল ইসলাম এবং এফবিসিসিআইর প্রথম সহ-সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিমও সেমিনারে বক্তব্য রাখেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত আকর্ষণীয় বিনিয়োগ সুবিধা গ্রহণ করে সউদী বিনিয়োগকারীরা ‘বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে’ সম্ভাবনাময় খাতগুলোতে বিনিয়োগে আসতে পারেন। তিনি বলেন, ‘সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি)’ সফলভাবে অর্জনের পর বাংলাদেশ ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের পথে অত্যন্ত কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। কৃষিনির্ভর অর্থনীতি থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে বাংলাদেশ ‘শিল্প ও সেবা নির্ভর’ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিকে স্থানান্তরিত হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, সউদী আরবে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, হালকা প্রকৌশল পণ্য, আসবাব পত্র, প্লাস্টিক প্লাস্টিক ও সিরামিক সামগ্রী, হিমায়িত মাছ, হালাল খাদ্য এবং পাদুকা ও পাটজাত পণ্যের বিপুল বাজার রয়েছে। সউদী প্রতিনিধিদলের এ সফরের মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য সহযোগিতার স্বর্ণদুয়ার উন্মোচিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। সভার উদ্বোধনী পর্ব শেষে দু’দেশের ব্যবসায়ীরা ‘বিজনেস টু বিজনেস’ সভা করেন। এ সময় উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে জ্বালানি, তেল ও গ্যাস, অবকাঠামো নির্মাণ, বস্ত্র ও অ্যাপারেল, ব্যাংকিং ও ফাইনান্স, তথ্য প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য ও ওষুধ খাত, হিমায়িত খাদ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ইলেকট্রনিক্স ও টেলিযোগাযোগ, পাট, পর্যটন, কৃষি এবং খাদ্য ও পানীয় খাতের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাণিজ্যমন্ত্রীর


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ