বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দক্ষিণাঞ্চলে আয়কর জমাদানে ব্যাপক সাড়া
দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আয়কর আহরণে আশাব্যঞ্জক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ২০০১-০২ কর বর্ষে বরিশাল কর অঞ্চলে মাত্র ২৩ কোটি টাকা আয়কর আদায় হলেও সদ্য সমাপ্ত অর্থ বছরে ৩শ’ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে বরিশাল অঞ্চলে ৩২২ কোটি কোটি টাকা আয়কর আদায় সম্ভব হয়েছে। চলতি অর্থ বছরে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে লক্ষমাত্রা আরো ১শ’ কোটি টাকারও বেশী বর্ধিত করে ৪৩৫কোটি টাকা আয়কর আদায়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হলেও বাস্তবে তা ৫শ’ কোটি টাকা অতিক্রম করতে পারে বলে মনে করছেন দায়িত্বশীল মহল।
এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে, গত অর্থবছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সাধারণ রিটার্ণ ও সার্বজনীন স্বনির্ধারনী মোট রিটার্ণের সংখ্যা ছিল ৩১ হাজার ২৫২টি। সেখানে চলতি অর্থ বছরের একই সময় পর্যন্ত তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৪৪ হাজারেরও বেশী। কর মেলা সহ কর সপ্তাহে দক্ষিণাঞ্চলেও ব্যাপক সারা মিলেছে। করদাতাদের কাছে ‘আয়কর ভীতি’ ইতোমধ্যেই অনেকটা লাঘব হয়েছে বলেও মনে করছেন কর বিভাগের দায়িত্বশীল মহল। কর মেলার ব্যপক সাফল্যের পর গত নভেম্বর মাসে বরিশাল কর অঞ্চলে ১৮ কোটি ৫ লাখ টাকার মত আয়কর জমা হয়েছে সরকারি কোষাগারে। এরমধ্যে ১ থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত ৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকার মত আয়কর জমা হলেও নভেম্বরের শেষভাগে কর সপ্তাহেই প্রায় ৯ কোটি টাকা আয়কর জমা দিয়েছেন করদাতাগণ। গতবছর নভেম্বরে আয়কর জমার পরিমাণ ছিল সাড়ে ১৭ কোটি টাকার মত।
গত অর্থবছরের তুলনায় এবার ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত রিটার্ন দাখিলকারীর সংখ্যাও প্রায় ১৩ হাজার বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা গেছে। গত অর্থ বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত যেখানে ৩১ হাজার ২৫২ জন আয়কর রিটার্ণ দাখিল করেছিল, সেখানে চলতি অর্থবছরে তা ৪৪ হাজার ৬৪-তে উন্নীত হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন কারণে রিটার্ণ জমাদানে সময় বৃদ্ধির প্রার্থনা করেছেন আরো ১৪ হাজার ৬শ’ জনের মত করদাতা।
বরিশাল কর অঞ্চলের কমিশনার জাহিদ হাসানের মতে, ‘সারাদেশের মত দক্ষিণাঞ্চলের সাধারণ মানুষের মধ্যেও করভীতি অনেকটাই দূর হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি আয়কর নিয়ে সাধারণ মানুষের যেকোন ধরনের অস্বস্তি দূর করতে’। তার মতে, কর মেলা ও কর সপ্তাহে যেভাবে সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে অংশ নিচ্ছে, তা সত্যিই উৎসাহব্যঞ্জক। কর কমিশনার বলেন, বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ দিন দিন যেভাবে কর প্রদানে এগিয়ে আসছেন, তাতে অদূর ভবিষ্যতেই এ কর অঞ্চল দেশের একটি অন্যতম সমৃদ্ধ কর অঞ্চলে পরিণত হবে। তিনি বলেন, আয়কর প্রদান নিয়ে করদাতাদের যেকোন ধরনের সহায়তা প্রদানে কর বিভাগ সব সময়ই প্রস্তুত রয়েছে। কর দাতাদের হয়রানীর অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এধরনের যেকোন অভিযোগ আমরা দ্রুত তদন্ত করে তা নিস্পত্তি করে থাকি। করদাতা সহ রিটার্ণ দাখিলকারীদের কোন ধরনের হয়রানী করলে তার বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নিয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের কথাও জনান কর কমিশনার জাহিদ হাসান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।