রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) থেকে মুহাম্মদ আতিকুল্লাহ : গফরগাঁও উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে আমন ধান কাটা ধুম পড়েছে। তবে সর্বত্র কৃষি শ্রমিকের অভাব দেখা দিয়েছে। ফলে ধান কাটতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অন্যান্য বারের তুলনায় এবার আমন ফলন মোটামুটি ভালো হয়ে থাকলে ও ধানের দাম বিগত সময়ের চেয়ে এবারে বেশি বলে কৃষকের মুখে এখন হাসি ফোটেছে। অবিরাম বৃষ্টি ও পোকার আক্রমনের ফলে আমন আগাম ফলনের কম হয়েছে। তার পরে ও কৃষি শ্রমিকের মূল্য খুবই চড়া। দৈনিক দু-বেলা খাবার দিয়ে ও ৪০০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা দিয়ে ও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এতে করে নির্ধারিত সময়ে ধান কেটে ঘরে এনে পুনরায় আবার বোরোর জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। এখন পরো দমে ধান কাটার মৌসুম চলছে শেষ পর্যায়ে। এখন কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। গফরগাঁও উপজেলা কৃষি অফিসার এস এস ফারহানা হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে আমন আবাদ হয়েছে ২২ হাজার ৭৬০ হেক্টর। এতে করে মোট ৫৫ হাজার ৯৯২ মে.টন চাল উৎপাদন হয়েছে। অন্যন্যা বারের চেয়ে এ বারে কৃষকদের মধ্যে গুটি ইউরিয়া ব্যবহার আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে কোনোরকম। বিশেষ করে বোরো আবাদ রোপণের জন্য কৃষকরা এখন পুরোদমে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে আমন ধান কাটার জন্য। ধান ঘরে তোলা নিয়ে কৃষককুল ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। গফরগাঁও বাজারের চালের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. মুজিবর রহমান খান জানান, বিভিন্ন হাটবাজারে নতুন ধান উঠলে ও বেচাকেনা খুবই কম। চিকন ধান প্রতি মণ এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মোটা ধান প্রতিমণ ৯৫০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ৪ নং সালটিয়া ইউনিয়নের রৌহা (কালিরহাট নিকটস্থ) গ্রামের কৃষক মো. চাঁনমিয়া জানান, আমন ফসল করে ছিলাম। কিন্তু এবারে আমরা ভালো দাম পেয়েছি। এ ফসল করতে প্রচুর টাকা ব্যয় হয়েছে। আমন ফসল করতে যে টাকা খরচ করেছি, তা উঠবে বলে আশাকরি। ধানের দাম আরো বৃদ্ধি পেলে আগামীতে অনেকেই বোরো ফসল করতে আগ্রহী হবে।
চলতি আমন মৌসুমে কৃষকরা ইউরিয়াসহ বিভিন্ন সার বেশি দামে কিনে দিয়েছিল। তার পরে আবার বেশি দামে মজুরি দিয়ে ধান রোপণসহ বিভিন্ন ধরনের পরিযর্যা করা হয়। বিভিন্ন এলাকা সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কৃষিশ্রমিকের অভাবে ধান কাটা যাচ্ছে না। শ্রমিকের অভাবের কারণ হচ্ছে যে, অনেকেই রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে কর্মস্থানে চলে গেছে। আবার কেউ কেউ বিদেশে চলে গেছে। এক সময়ে গফরগাঁও রেল স্টেশনে বিভিন্ন স্থান থেকে শত শত শ্রমিক আসতো কৃষি কাজ করার জন্য। কিন্তু ভাগ্য নির্মম পরিহাস, কালের বিবর্তণের সে দৃশ্য এখন আর চোখে পড়ে না। দিন বদল পালার সাথে সাথে সব কিছু পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। গফরগাঁও আনিশা হোটেলের মালিক মো. এমদাদুল হক (ইন্তু) জানান, গত প্রায় এক বছর ধরে কৃষকরা বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে গত বোরোসহ অন্যান্য ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশি। বিশেষ করে এবারে বোরো ফসল বাম্পার ফলন হলে তা কেটে যেতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।