Inqilab Logo

সোমবার ১১ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ কার্তিক ১৪৩১, ০৯ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রসুন চাষে ব্যস্ত লালপুরের কৃষক

| প্রকাশের সময় : ৫ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নাটোর জেলা সংবাদদাতা : নাটোরের লালপুরে বইছে শীতের আমেজ। এই শীতে উপজেলার ১০ ইউনিয়ন ও ১ পৌরসভার প্রতিটি গ্রামে রবি শস্য চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে এ অঞ্চলের কৃষক। শীতকালিন ফসল চাষ ঘিরে গ্রামীণ জীবন যাত্রায় প্রচন্ড প্রভাব পড়েছে। শীতকাল মানেই যেন সকালে উঠে মাঠে যাওয়া আর ফসল লাগানো। আর এই শীতকালীন ফসল চাষে শুধু পুরুষরাই নয় নারীরাও পুরুষের পাশাপাশি ভোর থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠে কাজ করছে।
সরেজমিনে লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া গ্রামে কৃষকের বাড়ি ও মাঠ ঘুরে দেখা যায় পুরুষের পাশাপাশি মহিলারা মাঠে রসুন লাগানোর জন্য কৃষকের বাড়িতে রসুনের কোয়া ছাড়াচ্ছে। কেউবা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সেই রসুন মাঠে সারিবদ্ধভাবে লাগাচ্ছেন সব মিলিয়ে তাদের যেন দম ফেলার সময় নেই। কৃষক লতিফ, ময়না, মুকুল, মুনিফা, আদালিসহ আরো অনেকের সঙ্গে কথা হলে তার বলেন, এখন আমাদের দম ফেলার সময় নেই ভোর থেকে সারাদিন কৃষকের বাড়ি আর মাঠে রসুন লাগানো আর কোয়া ছাড়ানোর কাজে ব্যস্ত। সারাদিন কাজ করে প্রায় তিনশত টাকা পাই তাই দিয়ে সংসার চলে। গত ৪ বছর যাবত একইভাবে শীতের সময় এই রসুন লাগানোর কাজ করছি। বছরের অন্য সময় তেমন কাজ হয় না।
রসুন চাষী সোহেল রানা, কাউছার আহম্মেদ, মোস্তফা, হাবিবুর রহমান বলেন এ অঞ্চলে আগে রসুনের চাষ হতোনা গত ৫ বছর ধরে আমরা এ ফসলের চাষ করছি। বর্ষা মৌসুমের রোপা আমন ধান কাটাশেষে বিনা চাষে জমিতে রসুনের কোয়া লাগাই তাতে জমি চাষের প্রয়োজন হয়না, পানি সেচ ও সার অন্যান্য ফসলের তুলনায় অনেক কম লাগে, লাভ ভালো হওয়ায় এ অঞ্চলের কৃষক অন্য ফসলের চাষ বাদ দিয়ে রসুনচাষ বেশী করছে। রসুন চাষের জন্য জমি চাষের প্রয়োজন পড়েনা। ধান কেটে শুধু জমি পরিস্কার করে তাতে রসুনের বীজ/কোয়া রোপণ করে উপরে খরকুটো দিয়ে ঢেকে দিলেই রসুনচাষ হয়ে যায়। রসুনচাষ লাভজনক আবাদ হওয়ায় এ বছর আমাদের এলাকার প্রায় কৃষকই রসুন আবদ করছে। তবে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। অনেক সময় মজুরি বেশি দিয়েও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। তারা আরো বলেন শীতকালীন ফসল হিসেবে আগে চাষ হতো গম, মসুর খেসাড়ি, মুগ, মটর কিন্তু গত ৪ বছর ধরে বড়াইগ্রাম উপজেলার অন্যতম ফসল রসুনচাষ এ অঞ্চলের কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলায় রসুনচাষ বেশী হচ্ছে। তবে রসুনের সঠিক বাজার দর ও সরকারিভাবে পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ অঞ্চলে রসুনচাষ আরো বৃদ্ধি পাবে।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুল ইসলাম খাঁন বলেন, কয়েক বছর থেকে উপজেলায় রসুনচাষ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। গত বছর এ উপজেলায় ৮ শ’ হেক্টর জমিতে রসুনচাষ হয়েছিলো। এ বছরে ১৬শ হেক্টর জমিতে রসুনচাষ হবে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হলেও এর চেয়ে বেশি হতে পারে। তবে উপজেলায় রসুন ছাড়া গম, মসুর, সরিষা, খেসাড়িসহ অন্যান্য রবিশস্য ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ