পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা ও গোলাকান্দাইল এলাকার ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও এশিয়ান হাইওয়ে (বাইপাস) সড়কে যানজট যেন এখন নিত্য দিনের সঙ্গী। গতকাল রোববার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই দুই সড়কে যানজট থাকার কারণে যাত্রীদের যেন ভোগান্তির শেষ নেই। অপেক্ষা করতে হচ্ছে ঘন্টার পর ঘন্টা। যেখানে যেতে সময় লাগার কথা ২০ মিনিট, সেখানে যেতে সময় লাগছে ২ থেকে ৩ ঘন্টা।
এ দীর্ঘ যানজটের প্রধান কারণ হিসেবে জানা গেছে, ভুলতা ফ্লাইওভার ও রাস্তার নির্মান কাজ, যেখানে সেখানে যাত্রী উঠানামা, চালকরা নিয়ম না মেনে গাড়ি চালানো, হাটবাজারে লোড-আনলোড, অবৈধ ফুটপাট, হাইওয়ে পুলিশের বেপরোয়া চাঁদাবাজি। নিত্য দিনের এ যানজটের কারণে স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রী, ব্যবসায়ী, চাকুরিজীবি থেকে শুরু করে সকল শ্রেনি পেশার মানুষকে পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। পরিবহন চালক, যাত্রী ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার গোলাকান্দাইল চৌরাস্তা এলাকা দিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও এশিয়ান হাইওয়ে (বাইপাস) সড়ক ক্রস করেছে।
এছাড়া ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হলে এশিয়ান হাইওয়ে (বাইপাস) সড়কে যানাবাহন চলাচল বন্ধ রাখতে হয়। আবার এশিয়ান হাইওয়ে (বাইপাস) সড়কে যানাবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখতে হয়। দুটি সড়কেই যানবাহনের চাপ অনেক বেশি। তাই দুটি সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে গিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে হিমশিম খেতে হয় এবং যানজট সৃষ্টি হয়ে যায়। এছাড়া ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক মোটামুটি প্রসস্থ্য হলেও এশিয়ান হাইওয়ে (বাইপাস) সড়কটি প্রসস্থ্য অনেকটা কম। যার ফলে এশিয়ান হাইওয়ে (বাইপাস) সড়কে কোন প্রকার যানবাহন বিকল হয়ে পড়লেই তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ভুলতা ফ্লাইওভারের কাজ ধীর গতিতে এগিয়ে চলছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে কিনা তা নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। গাউসিয়া মার্কেটকে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ পাইকারী কাপড়ের মার্কেট হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ মার্কেটে পাইকারী ও খুচরাসহ প্রায় সাড়ে ৩ হাজার দোকান রয়েছে। মালামাল আনা নেওয়ার জন্য এখানে প্রতিদিন কয়েক শত প্রায়গাড়ী এখানে রাখা হয়। গাউসিয়া মার্কেটের কোন নিজস্ব পার্কিং ব্যবস্থা নেওয়া না থাকার কারণে বাধ্য হয়েই চালকদেরকে গাড়ী রাস্তায় রাখতে হচ্ছে। রাস্তায় গাড়ী রাখার ফলে রাস্তা অর্ধেকটা দখল হয়ে যাওয়ায় অন্যান্য গাড়ী চলাচল করতে পারছে না। এতে করে সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানযটের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
এছাড়া দেখা গেছে, গাউসিয়া মার্কেটের সামনে কয়েক হাজার ফুটপাতের দোকান রয়েছে। ফুটপাতে দোকান থাকার কারণে সাধারণ মানুষকে রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে অনেক সময় যাত্রীদেরকে দূর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে। অনেকেই অভিযোগ করেন, মোটা অংকের চাঁদার বিনিময়ে ফুটপাতে দোকান বসিয়েছে স্থানীয় নেতারা। রাস্তার মাঝে গাড়ি থামিয়ে পুলিশের চাঁদাবাজিতে এ দীর্ঘ যানযটের অন্যতম কারণ হিসেবে অভিযোগ করেছেন চালকরা। নাম না প্রকাশ শর্তে বেশ কয়েকজন চালক অভিযোগ করে জানান, তাদের গাড়ীর কাগজপত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্স সঠিক থাকার পরও পুলিশকে টাকা না দিলে গাড়ী ছাড়া হয় না।
আজগর আলী নামে বাস চালক জানান, ভুলতা ফ্লাইওভার ও রাস্তার নির্মানের কাজ চলার কারণেই ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দীর্ঘ যানযটের সৃষ্টি হয় বলে তিনি মনে করেন। এ যানযটের কারণে তাদেরকে অনেক লোকসানের গুনতে হচ্ছে।
ভুলতা স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও গোলাকান্দাইল মজিবুর রহমান ভুইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রতিদিনের এ দীর্ঘ যানজটের ফলে প্রতিদিনই তাদেরকে স্কুলে যেতে অতিরিক্ত সময় লাগছে। সময় মত স্কুলে না পৌছাতে পারলে তাদেরকে স্যারদের কাছে জবাব দিহি করতে হয়। যেখানে তাদের যেতে সময় লাগতো ২০ মিনিট কিন্তু দীর্ঘ যানযটের ফলে এখন সময় লাগে ২ থেকে ৩ ঘন্টা। যানযটের কারণে কখনো শিক্ষার্থীদের স্কুলের ক্লাসের সময় পার হয়ে যায়। এতে করে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় ব্যাপকভাবে খারাপ প্রভাব পড়ছে।
এক চাকুরিজীবি জানান, তিনি স্বল্প বেতনে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন। এ দীর্ঘ যানযটের কারণে তাকে প্রতিদিনই দেরি করে অফিসে পৌছাতে হচ্ছে। দীর্ঘ যানযট থাকার কারণে প্রতিদিন তাকে ১ থেকে ২ ঘন্টা দেরী করে অফিসে যেতে হচ্ছে। দেরি করে অফিসে যাওয়ায় তাকে উপর মহলের কর্মকর্তাদের কাছে জবাবদিহি করতে হয়।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, ভুলতা ফ্লাইওভার ও রাস্তার নির্মান কাজ চলার কারণেই এ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ট্রাফিক পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি রূপগঞ্জ থানা পুলিশও যানজট নিরসনে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।