Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজশাহীতে নারী ও শিশু নির্যাতন বাড়ছে

| প্রকাশের সময় : ২ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম


রাজশাহী ব্যুরো : রাজশাহীতে নারী ও শিশু নির্যাতন পরিস্থিতি বিভিন্ন মাত্রায় অবনতি ঘটছে। যৌতুক ও পরকিয়ার কারণে অধিকাংশ নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। অনেক ক্ষেত্রে বিদেশী কিছু টিভি সিরিয়াল পরকিয়াকে উৎসাহিত করছে। এছাড়া পারিবারিক কলহ ও প্রেম ঘটিত কারনে হত্যা আত্মহত্যা ও অমানবিক নির্যাতনের মতো ঘটনা ঘটছে। বিষয়গুলো কারও জন্য সুখকর নয়। উন্নয়ন সংস্থা লেডিস অর্গানাইজেশন ফর সোসাল ওয়েলফেয়ার (লফস) রাজশাহীতে দীর্ঘদিন যাবৎ নারী ও শিশুর উন্নয়ন কাজ করছে। সংস্থার ডকুমেন্টেশন সেল থেকে রাজশাহীর প্রচারিত দৈনিক পত্রিকার সংবাদের ভিক্তিতে নিয়মিত নারী ও শিশু নির্যাতনের পরিস্থিতি প্রকাশ করে। লফস মনে করে অত্র অঞ্চলে নারী ও শিশু নির্যাতন পরিস্থিতি বিভিন্ন মাত্রায় অবনতি ঘটছে। নভেম্বর মাসে অমানবিক কিছু ঘটে যাওয়া ঘটনার চিত্র- মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় নগরীর রাজপাড়া থানার দাসপুকুর এলাকার মাবিয়া কাতুন নামের এক নারীকে ট্রেনের নীচে ফেলে হত্যা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের সামনে থেকে অপহরন হয় শোভা নামের এক শিক্ষার্থী, গোদাগাড়ী উপজেলার মোহনপুর বাঙধারা গ্রামের তানিয়া খাতুন নামের এক গৃহবধু নিখোজ, বাগমারা পারমচমইল গ্রামের আঞ্জুয়ারা বেগম নামের গৃহবধূর বিষপাণে আত্মহত্যা, নগরীতে এক কলেজছাত্রী (২০) ধর্ষণের শিকার, নগরীর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় এক নবজাতকের মৃত্যু, বাঘা উপজেলায় আড়ানী মনোমহনী উচ্চ বিদ্যালয়ের এক জেএসসি পরীক্ষার্থী নিখোজ, তানোর উপজেলার বনগা চকরহমতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সেপটিক ট্যাংকে পড়ে ম্যায়তি হেব্রম নামে শিশু নিহত ও দুই শিশু আহত হয়, বাঘায় এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদে ছাত্রকে মারপিট, বাগমারা উপজেলায় জেসমিন আরার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার অভিযোগ ঘটনাগুলো সকলের জন্য উদ্বেগজনক। লফস এর নির্বাহী পরিচালক শাহানাজ পারভিন বলেন সংবাদপত্রে প্রকাশিত ঘটনার বাইরেও অনেক ঘটনা ঘটে যা প্রকাশিত হয়না বা কোন তথ্য জানা যায় না এমন বাস্তবতায়। রাজশাহীতে নারী ও শিশু নির্যাতনের প্রকাশিত তথ্য হতাশাজনক। রাজশাহী অঞ্চলে নারী শিশু নির্যাতনসহ সার্বিক ঘটনাগুলোর সুষ্ঠ তদন্ত ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা না গেলে ক্রমশই অপরাধীরা উৎসাহিত হবে এবং অপরাধের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। এ সকল নারী-শিশু নির্যাতন ঘটনাগুলোর সুষ্ঠ তদন্ত স্বাপেক্ষে অপরাধীর কঠোর শাস্তির দাবি জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ