বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার : মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের রাজানগর ইউনিয়নের রাজানগর বাজার হতে মীরাপারা সড়ক হয়ে মটখোলা পর্যন্ত ৪ কি.মি. কাচা রাস্তাটি যেন এখন এ ইউনিয়নের পাঁচ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘ এক যুগেরও বেশী সময় ধরে সড়কটি সংস্কারের জোরালো দাবি করে আসছেন ইউনিয়নগুলোর ভুক্তভোগী মানুষ। কিন্তু সড়ক সংস্কার কাজের এলাবাসীর দাবি সংশ্লিষ্টদের কর্ণপাত করাতে না পারায় অবহেলায় পড়ে আছে রাজানগর মীরাপারা সড়ক।
বর্ষা এলেই কাচা এই সড়কটি পরিণত হয় মরণ ফাঁদে। বর্ষায় বৃষ্টির পানি জমে সড়কগুলো হয়ে উঠে ভয়াবহ। প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে এ সড়কে। পাঁচ গ্রামের স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থী, চাকরিজীবি ও সাধারণ মানুষের চলাচলের প্রধান রাস্তা এটি। দীর্ঘদিন ধরে কাচা এ সড়ক দিয়ে পাঁচ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে আসছে। ভুক্তভোগীরা নিয়মিত সড়ক সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসলেও বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। ফলে খানাখন্দে ভরপুর সড়ক দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে এলাকার মানুষ। রাস্তাটি ভাঙ্গা-চোরার কারণে যানবাহন ভাড়াও অধিক হারে গুনতে হয় যাত্রীদের।
মিরাপারা গ্রামের বাসিন্দা সৈয়দ বাদশা ও রমজান আলী জানান, বহুবছর আগে থেকেই সড়কের এ অবস্থা দেখে আসছি। নির্বাচন এলে বিভিন্ন প্রতিশ্রæতি মিললেও দেখা মেলে না এর বাস্তাবায়ন। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ কাচা সড়কেরই বাজারে ও স্কুল-কলেজে যেতে হয় স্থানীয়দের।
অটো চালক মো: আরব আলী জানান, দীর্ঘদিন ধরে তারা ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী পরিবহন করছেন। রাস্তার বেহাল দশার কারণে গাড়ী ঘনঘন মেরামত করতে হয়। প্রায়ই ঘটে ছোট বড় দুর্ঘটনা। তবুও সংসারের ভরন-পোষনের তাগিদে ঝুঁকি নিয়ে এ ভাঙ্গা সড়ক দিয়ে গাড়ী চালাছেন তারা।
মিরাপারার ৮ নং ওয়ার্ডে মেম্বার সারোয়ার লস্কর ও সাবেক মেম্বার লিটন চৌধুরী জানান, বর্তমান সরকার দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সড়কের ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। তাই সরকারের কাছে আমাদেরও দাবি সড়কগুলোর দ্রæত সংষ্কার করা হোক।
রাজানগর ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন হাদী জানান, আমি থাকাকালীন আমার ইউনিয়নের সব সড়কের কাজ করবো।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী শোয়াইব আজাদ জানান, আমি এখানে নতুন এসেছি, তবে খুব শ্রীঘ্রই সরজমিনে গিয়ে ব্যবস্থা নিব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।