Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফিরে দেখা বিজয়ের মাস

| প্রকাশের সময় : ২ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

হোসেন মাহমুদ : আজ ২ ডিসেম্বর। সময়ের পথ পেরিয়ে বাংলাদেশের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছিল এই ডিসেম্বরে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে স্বাধীনতাকামী বাঙালির উপর পাশবিক হিং¯্রতায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। প্রতিরোধের সূচনা হয়েছিল তখনি। অচিরেই সে প্রতিরোধ পরিণত হয় সর্বাত্মক মুক্তিযুদ্ধে। লাখ লাখ ছাত্র-তরুণ-যুবক প্রতিবেশী মিত্র দেশ ভারতের সহায়তায় স্বল্প মেয়াদী সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশ নেয়। অতি অল্প সময়ের মধ্যেই গোটা বাংলাদেশই হয়ে ওঠে এক উতপ্ত রণাঙ্গন। আঘাত আর আঘাত। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব তাসের ঘরের মতোই ভেঙে পড়তে থাকে। দেশের বিস্তীর্ণ রণাঙ্গন থেকে ক্রমেই তারা পিছু হটে নির্দিষ্ট কিছু স্থানে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। তারপরও তারা হাল ছাড়েনি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃক্ষের নির্দেশে বাংলার মাটিতে রক্ত¯্রােত প্লাবিত করে চলেছিল তারা। অন্যদিকে গোটা দেশেই মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণাভিযান ক্রমশই তীব্রতর হয়ে উঠছিল। একের পর এক এলাকা হানাদারদের দখলমুক্ত হচ্ছিল। পাশপাশি এটাও স্পষ্ট হয়ে উঠছিল যে, ভারত বিদ্যমান পরিস্থিতিকে আর দীর্ঘায়িত হতে দিতে ইচ্ছুক নয়। অর্থাৎ একটি সামরিক সমাধান যে আসন্ন সে বিষয়টিই ক্রমশ আভাস পাচ্ছিল। এদিকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সাথে বাংলাদেশ ও বাঙালিকে পদানত রাখার তাÐবে সহযোগী হিসেবে সক্রিয় ছিল রাজাকার, আল বদর, আল শামস বাহিনী। সে সাথে সক্রিয় ছিল কয়েকটি জনবিচ্ছিন্ন ক্ষুদ্র রাজনৈতিক দল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ