Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রায়পুরে গ্রাহকের অর্ধকোটি টাকা নিয়ে এনজিও লাপাত্তা

| প্রকাশের সময় : ১ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

দুশ্চিন্তায় হতদরিদ্র শত শত গ্রাহক
ল²ীপুর সংবাদদাতা : ল²ীপুরের রায়পুরে শতশত গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা বাংলাদেশ মহিলা সংস্থা নামের একটি এনজিও। হতদরিদ্র ও অসহায় এসব মানুষ সঞ্চয়ের জমানো টাকা না পেয়ে হতাশ। আদৌ টাকা ফিরে পাবে কিনা দুঃচিন্তায় পড়েছেন গ্রাহকরা। টাকা উদ্ধার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলও করছে বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা।
ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাবাসী জানায়, চলতি বছরের ১লা নভেম্বর ল²ীপুরের রায়পুর উপজেলার হায়দারগঞ্জ বাসাবাড়ী রোডে ইউছুফ আলী মিজির কাছ থেকে মাসিক ১৩হাজার টাকায় একটি বাসা ভাড়া নেয় মাসুদ রানা, ইউসুফ ও শাহজাহানসহ তিন যুবক। পরে বাংলাদেশ মহিলা সংস্থা নামে একটি এনজিও খুলে অফিসের কার্যকত্রম চালু করে তারা। সঞ্চয় ও ঋণ আদায়ের জন্য ১০জন মাঠকর্মীও নিয়োগ করা হয়। হত দরিদ্র, জনকল্যান, বেকারত্ব দূরীকরণ, ক্ষুদ্র ঋণ, পরিবার পরিকল্পনা, স্যানিটেশন, আর্সেনিক ও স্বাস্থ্যসেবা মুলকসহ সামাজিক কার্যক্রমের লোভ দেেিখয়ে সাধারণ মানুষের কাছে যায় এ এনজিওটি। এরপর বাড়ির মালিক ইউসুফ আলী মিঝির সহযোগিতায় ৩০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ ঋণ দেয়ার কথা বলে সঞ্চয়ের নামে ৫/১০ হাজার টাকা করে আদায় করে তারা। ওই এলাকার আশ-পাশের প্রায় ৫শতাধিক নারী ও পুরুষের কাছ থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকা আদায় করা হয়। পরে ওই গ্রাহকদেরকে ২১ নভেম্বর ঋণ দেয়ার কথা থাকলেও ১৯ নভেম্বর রাতে অফিসে তালা ঝুলিয়ে উধাও হয়ে যায় ওই তিন যুবক। ২০ নভেম্বর সকালে অফিসে তালা দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা অপরদিকে মোটা অংকের বেতনের লোভ দেখিয়ে প্রত্যেকটি গ্রামে মাঠকর্মীর চাকুরী দিতে জামানত হিসেবে তাদের কাছ থেকে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা করে নেয়া হয়। প্রায় ৫শ’ মানুষের কাছ থেকে অর্ধকোটি টাকা কালেকশন করে দেন ওই মাঠ কর্মীরা। তাদের জামানতের টাকাসহ সকল টাকার দায়ভার নেন বাড়ীর মালিক। কিন্তু এনজিও কর্মকর্তারা পালিয়ে যাওয়ায় এখন মানুষের চাপে বাড়ীতে থাকতে পারেন না মালিক ইউছুফ আলী মিজি।
মাঠ কর্মী তানিয়া ও অভিবাবক নাসির ব্যাপারী
দার দেনা করে ঋণ পাওয়ার আশায় বাড়ির মালিকের কথায় ৩ হাজার, ৫ হাজার ও ১০ হাজার টাকা করে দিয়ে এখন বিপাকে পড়েছেন তারা। কিভাবে এখন ওই টাকা পরিশোধ করবেন তা নিয়ে হতাশায় রয়েছেন এসব ভুক্তভোগী মানুষ। এ দিকে অভিযোগ অস্বীকার করে বাড়ীর মালিক ইউছুফ আলী মিজি বলেন, এ ব্যাপারে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে।
জেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. আইয়ুব খান বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা সংস্থা নামে কোন সংস্থা সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক নিবন্ধিত নয়, এ জাতীয় সংস্থা যদি বেআইনীভাবে কোন কার্যক্রম করে তাহলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ