পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সমাজে ‘আদর্শ মা’ তৈরিতে মাদরাসা শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে : এ এম এম বাহাউদ্দীন
মাদরাসা শিক্ষা ভালো মানুষই সৃষ্টি করে এই অভিমত ব্যক্ত করে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ভালো কাজ করতে গেলে ভালো মানুষের প্রয়োজন। মাদরাসাগুলো সে কাজ করে যাচ্ছে। গতকাল কুমিল্লা নাঙ্গলকোটের মৌকারা দরবার শরিফে দারুসসুন্নাত নেছারিয়া কামিল মাদরাসা ময়দানে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তৃতায় ‘মাদরাসা শিক্ষা শুধু ভালো মানুষই নয়, সমাজে ভালো ‘মা’ উপহার দিচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি ও ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন। তিনি বলেন, মাদরাসার শিক্ষক ও দেশের আলেমসমাজ দেশে যোগ্য ও নিবেদিত প্রাণ মানুষ তৈরি করছে। একই সঙ্গে জাতিকে ভালো ‘মা’ উপহার দিচ্ছে। দেশের মাদরাসাগুলোতে প্রায় ৮০ হাজার ছাত্রছাত্রী বর্তমানে পড়ালেখা করছে। দিন দিন মাদরাসাগুলোয় ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এই শিক্ষার্থীদের প্রায় অর্ধেকই ছাত্রী। মাদরাসাপড়–য়া ছাত্রীরা বিবাহিত জীবনে সংসারি হয় এবং মা হিসেবেও তারা খুবই দায়িত্বশীল হয়ে থাকে। সমাজে দায়িত্বশীল মা ছাড়া সন্তানকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা অসম্ভব।
কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাঁদপুর, ফেনী, বি.বাড়িয়া, ল²ীপুর জেলার জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের উদ্যোগে এবতেদায়ীসহ বেসরকারি মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে মৌকারা দরবার শরিফে এই আঞ্চলিক মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। জমিয়াতে কুমিল্লা জেলার সভাপতি ও মৌকারা দরবার শরিফের পীর আলহাজ মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নেছার উদ্দীন ওয়ালি উল্লাহীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান মেহমান হিসেবে বক্তব্য রাখেন আ হ ম মুস্তফা কামাল, প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তৃতা করেন জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি এ এম এম বাহাউদ্দীন, বিশেষ আলোচক হিসেবে বক্তৃতা করেন জমিয়াতের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা শাব্বির আহমদ মোমতাজী, সাবেক এমপি নাছিমুল আলম চৌধুরী নজরুল, নাঙ্গলকোট উপজেলার চেয়ারম্যান সামছুদ্দীন কালু, নাঙ্গলকোট পৌরসভার মেয়র আবদুল মালেক প্রমুখ।
আঞ্চলিক মহাসম্মেলন উপলক্ষে গতকাল মৌকারা দরবার শরিফে আলেম-ওলামাদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। সকাল ১০টার আগ থেকেই কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাঁদপুর, ফেনী, বি.বাড়িয়া, ল²ীপুর জেলার বিভিন্ন মাদরাসার আলেম-ওলামা ও শিক্ষকরা সমাবেশ স্থলে আসতে শুরু করেন। বেলা বাড়ার সাথে সাথেই মৌকারা দরবার শরিফের মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। প্রথমে আট হাজার চেয়ার আনা হয়; পরে আরো চার হাজার চেয়ার বৃদ্ধি করা হয়। তার পরও শত শত মানুষ দাঁড়িয়ে থেকে বক্তাদের বক্তব্য শোনেন। মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারীরা একে অন্যের সাথে মতবিনিময় করেন। উৎসবমুখর পরিবেশে মহাসম্মেলনকে ঘিরে অন্যরকম পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
সম্মেলনে সব বক্তাই সাবেক মন্ত্রী মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান (রহ:) কর্মময় জীবন তুলে ধরেন। তারা বলেন, এই মহান ব্যক্তিটির জন্ম হয়েছিল বলেই বাংলাদেশের মাদরাসা শিক্ষা মর্যাদা পেয়েছে। মাদরাসা শিক্ষার মান, শিক্ষকদের বেতন সম্মানজনক করা হয়েছে। আজ আমরা যারা মাস শেষে বেতন পাই, পরিবার বাবা মাকে সংসার চালাই, তার অবদানের নেপথ্যে রয়েছেন মরহুম মাওলানা মান্নান। মাওলানা মান্নান যেখানে হাত দিয়েছেন, সেখানে সোনা ফলিয়াছে। তারা আরো বলেন, ১৯৩৭ সালে ফুরফুরা, ছারছিনা, মৌকারা, ফুলতলী, ধামতী, সোনাকান্দা, আড়াই বাড়ী, নেছারাবাদ, মোকামিয়া দরবার শরিফের মোর্শেদ কেবলা (রহ:) গণের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন ১৯৭৬ সালে ইসলামি চিন্তাবিদ মাওলানা এম এ মান্নান জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের দায়িত্ব নিয়ে সংগঠনকে সর্বত্রই ছড়িয়ে দেন। মাওলানা মান্নানের সুযোগ্য উত্তরসুরি জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি এ এম এম বাহাউদ্দীন টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া, রুপসা থেকে পাথরিয়া সংগঠনকে ছড়িয়ে দেন। কিছু সুবিধাবাদী জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের বিরুদ্ধে মাঝে মাঝে কথাবার্তা বললেও এ এম এম বাহাউদ্দীনের সুযোগ্য নেতেৃত্বের কারণে তারা সুবিধা করতে পারেনি। মাওলানা মান্নানের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন অনেক বক্তা।
এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, দেশে ডিজিটাল উন্নতি হচ্ছে, কিন্তু সমাজে উশৃঙ্খলাও বাড়ছে। সমাজ এত অনৈতিকতা ঘটছে যে, যা মুখেও উচ্চারণ করা যায় না। শিক্ষিত সমাজ এ থেকে মুক্ত নয়। পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, নতুন প্রজন্মের মধ্যে রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে সন্তান নিশংসভাবে পিতা-মাতাকে হত্যা করছে। এই যে সামাজিক নিষ্ঠুরতা এখন সেটাই বাস্তবতা। পরকীয়ার জন্য স্ত্রীর হাতে স্বামী খুন, স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন এখন স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে গেছে। অনাচার, নৈতিকতা, হীনতায় মেয়েরাই যেন এগিয়ে আছে। একটা সমাজ এভাবে বেশি দিন টিকে থাকতে পারে না। ‘এই সমাজের’ লাগাম টেনে ধরা জরুরি। কিন্তু সেটার দিকে কারোই ভ্রæক্ষেপ নেই। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রগতিশিলতার নামে যা হয়, সে সম্পর্কে আমি কিছুই বলতে চাই না। দেশের আলেমসমাজের সহযোগিতা ছাড়া এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের সুযোগ নেই। কারণ আলেমসমাজ মাদরাসায় সুশিক্ষার মাধ্যমে মানুষ তৈরি করেন।
ইনকিলাব সম্পাদক বলেন, রাষ্ট্রে ড্রাগ-সন্ত্রাস অপরাধ দমন করতে সরকারকে কোটি কোটি টাকা খরচ করতে হচ্ছে। প্রতিদিন পত্রিকার পাতা খুললে সন্ত্রাস, মাদক ব্যবসা, ইয়াবার ব্যবসার খবর পাওয়া যায়। নতুন প্রজন্ম এই ড্রাগ আসক্তিতে ধংস হয়ে যাচ্ছে। নতুন প্রজন্মকে নৈতিকতা শিক্ষা দেয়ার বড়ই অভাব। অথচ মাদরাসাগুলোয় সবচেয়ে নৈতিক শিক্ষাই বেশি গুরুত্ব দেয়া হয় বেশি। মাদরাসার শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণ করা হলে খুব বেশি টাকার প্রয়োজন পড়বে না। মাদরাসার শিক্ষকদের দাবি মেনে নিয়ে তাদের ক্লাসে সুষ্ঠুভাবে পাঠদানে সুযোগ করে দিলে মাদরাসাগুলোয় আরো ভালো লেখাপড়া হবে। ছাত্রছাত্রীরা বিপথে যাওয়ার সুযোগ পাবে না। এতে আইনশৃঙ্খলা ও অপরাধ দমন রক্ষায় সরকারের ব্যয় কমে যাবে।
এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, বিজ্ঞান উন্নতি ঘটাচ্ছে ঠিকই। কিন্তু শিক্ষাই নৈতিকতার অভাব এমন পর্যায়ে গেছে যে, সমাজ পাপ-পঙ্কিলতায় ডুবে যাচ্ছে। বিজ্ঞানের উন্নতির সুযোগ নিয়ে বিজ্ঞানের ব্যবহারের নামে দেশকে ব্রাজিল, মেক্সিকোর মতো না করি। অপ্রিয় হলেও সত্য যে, প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থায় নৈতিকতা পরমতসহিষ্ণুতার চরম অভাব। এদিকে অনেক বিজ্ঞজনেরাও নজর দেয়ার প্রয়োজন মনে করেন না। মাদরাসাগুলোয় সেটাকেই বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়ে থাকে। মাদরাসার ছাত্র মদ-গাঁজা খায় এমন তথ্য কোথাও রয়েছে বলে খবর পাওয়া যায় না। কাজেই আলেমদের সহযোগিতা ছাড়া এর থেকে উত্তরণের কোনো পথ নেই।
আলেমসমাজকে সমাজ গড়ার কারিগর হিসেবে অবিহিত করে প্রখ্যাত এই সাংবাদিক বলেন, এই যে সারা দেশে মাহফিল ও ইসলামি জলসা গুলো হচ্ছে- জনমত গঠনে এই সমাবেশগুলোই গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে। ৫০টি টেলিভিশন দিয়ে যা সম্ভব নয়, ইসলামি মাহফিলগুলো তার চেয়েও বেশি ভ‚মিকা পালন করছে। খানকা ও দরবার শরিফে যে মনন মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হয়, অন্য কিছুতেই সেটা সম্ভব হয় না। পরিকল্পনামন্ত্রীর ভ‚য়সী প্রসংশা করে তিনি বলেন, সমাজে, রাজনীতিতে মাদরাসা শিক্ষকের গুরুত্ব কামাল ভাই ভালোভাবে বুঝেন। আশা করি, উনি মানুষ গড়ার কারিগর মাদরাসায় শিক্ষকদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার কথা প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরবেন। আমরা (মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারী) এখনি সবকিছু চাই না। নীতিগতভাবে সরকার সিদ্ধান্ত নিক সেই খবরটাই জানতে চাই।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বিজ্ঞানের উন্নতিতে অনেক সাফল্য এসেছে। বিজ্ঞান দিয়েছে ‘বেগ’ কিন্তু কেড়ে নিয়েছে মানুষের ‘আবেগ’। সমাজে পিতা-মাতারা যদি একে অপরের প্রতি দায়িত্বশীল না হয়, তাহলে তাদের সন্তান খারাপ হতে বাধ্য। সমাজে ভালো কাজ করতে গেলে ভালো মানুষের প্রয়োজন হয়। আলেম-ওলামারা সমাজে ভালো মানুষই সৃষ্টি করছেন। তিনি আরো বলেন, সোস্যাল মিডিয়া জীবন থেকে বাদ দেয়া যাবে না। ওই মিডিয়ায় ভালো-মন্দ দু-ই আছে। আমাদের উচিত ভালোটা নেয়া, খারাপটা পরিহার করা। অথচ আমরা ভালো-খারাপ দুটোই নিচ্ছি। এটা মানুষের জন্য বিজ্ঞানে অভিশাপ বলা যায়। মানুষকে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে অবিহীত করে তিনি বলেন, ‘আল্লাহ বলেছেন, পৃথিবী বসবাসের উপযোগী হওয়ার পর আমি মানুষকে জমিনে প্রেরণ করেছি। মানুষের কাজ হবে মানুষের উপকার করা।’ মানুষের যদি ‘মানষিকতা’ ভালো না হয় তাহলে সে মানুষ হয় কেমন করে? আমি মানুষের জন্য কাজ করে আল্লাহর সন্তুষ্টি পেতে চাই। আগামী নির্বাচনে আলেমদের প্রতি আ.লীগকে আবার ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমি এই এলাকায় যা করেছি তা মুখে বলতে চাই না; মানুষ জানে। রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ উন্নয়নে কী করেছি সেটা নিজের মুখে বলা উচিত নয়। প্রত্যেক মসজিদে মাইক দিয়েছি। এখন এক মসজিদের আজান হলে সারা এলাকার মুসল্লিরা শোনেন। আমি কারো বিরুদ্ধে কথা বলি না; জীবনে মিথ্যা কথাও বলি না। আরেকবার ক্ষমতায় এলে আলেমদের সব দাবি-দাওয়া পূরণ করা হবে।
জমিয়াতের কেন্দ্রিয় মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা শাব্বির আহমদ মোমতাজী বলেন, এই সরকার মাদরাসা শিক্ষার জন্য অনেক কিছু করেছে। ৮৯ মাদরাসায় অনার্স কোর্স চালু, মাদরাসা ছাত্রছাত্রীদের জন্য বৃত্তি-উপবৃত্তি চালু করেছে। এতে আমরা খুশি। প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতা ছাড়া এগুলো সম্ভব হতো না। এখন এমপিও নন-এমপিওভ‚ক্ত মাদরাসাগুলোকে জাতীয়করণ করতে হবে। তিনি বলেন, জমিয়াতের অর্জন দেখে শিক্ষামন্ত্রী বলতে বাধ্য হয়েছেন ‘মাদরাসার ছাত্ররা ইঞ্জিনিয়ার হলে ব্রিজ-কালভাটে রডের বদলে বাঁশ দেবে না’। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলতে বাধ্য হয়েছেন ‘মাদরাসায় জঙ্গি সৃষ্টি হয় না’। তিনি জমিয়াতের সভাপতি এ এম এম বাহাউদ্দীনের নেতৃত্বে সব আলেম ও মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাহাউদ্দীন ভাই যোগ্য নেতৃত্ব দিয়ে মাদরাসা শিক্ষার উন্নতি ঘটিয়েছেন। তার নেতৃত্বে আমরা দুর্গতদের ত্রাণ দেই, আইলায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করেছি, রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। অতিতে মাওলানা এম এ মান্নানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ ছিলাম, এখন এ এম এম বাহাউদ্দীন নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। কোনো ষড়যন্ত্রই আমাদের বিপদে ফেলতে পারবে না।
শাহ মোহাম্মদ নেছার উদ্দীন ওয়ালি উল্লাহী বলেন, মাদরাসায় আদর্শিকতা ও নৈতিকতা শিক্ষা দেয়া হয়। এখানে সন্ত্রাস নাই, জঙ্গিবাদ নাই, নৈরাজ্য নাই। দেশের সব মাদরাসায় নৈরাজ্য ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার বিরুদ্ধে পাঠ দান করা হয়। ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় গঠন করার জন্য প্রধানমন্ত্রীতে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি আরো বলেন, আমরা ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন একর জমি চেয়েছিলেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী ৩০ একর জমি দিয়েছেন। যিনি মাদরাসা শিক্ষার প্রতি এত অনুরাগী তার উচিৎ শামীম মোহাম্মদ আফজালের মতো ব্যক্তিকে পরিহার করা। শামিম আফজালের মাদরাসা শিক্ষা নিয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নাই। উনি জামায়াতের দালাল আ.লীগের শত্রু। খানকা ও দরবার শরিফের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী শামীম আফজাল নিজের পিঠ বাঁচানোর জন্য আওয়ামী লীগার হয়েছে।
সম্মেলনে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন জমিয়াতুল মোদার্রেছীন চাঁদপুর জেলার সভাপতি ড. এ কে এম মাহবুবুর রহমান, সহ-সভাপতি মাওলানা দেলোয়ার হোসেন, নোয়াখালী জেলার সভাপতি মাওলানা শহিদুল হক, সহ-সভাপতি মাওলানা মফিজুল ইসলাম, কুমিল্লা জেলার সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা শাহ মহিউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল মতিন, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা আহছানুল করিম, দফতর সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা অলি আহাম্মদ, ফেনী জেলার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হোসাইন আহাম্মদ, অধ্যক্ষ মাওলানা নুরুন্নবী রহমানী, অধ্যক্ষ মাওলানা আবু তাহের মোহাম্মদ সালেহ উদ্দীন, অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন ও মাওলানা হাবিবুর রহমান প্রমুখ। নাঙ্গলকোট উপজেলা জমিয়াতের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এস এম জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনে সম্মেলনে আমন্ত্রিত মেহমানদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মৌকারা দরবারের ছোট হুজুর আলহাজ মাওলানা আবদুল হালিম, নাঙ্গলকোট উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবু ইউছুপ ভ‚ঁইয়া, মৌকারা ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের, সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুদ্দিন আলমগীর, চৌদ্দগ্রাম শ্রীপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহ জালাল মজুমদার ও নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দাউদ হোসেন চৌধুরী।
সম্মেলনের শৃঙ্খলা ও তত্ত¡াবধানে বাংলাদেশ ছাত্র ছালেকীনের কেন্দ্রিয় সভাপতি আলহাজ মাওলানা শাহ মোহাম্মদ মাসুদের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম দায়িত্ব পালন করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।