পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আমিরে হিযবুল্লাহ, মুজাদ্দিদে যামান ছারছীনা শরীফের পীর ছাহেব আলহাজ মাওলানা শাহ্ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ বলেছেন, ছারছীনা দরবার আমলের দরবার। নবীর সুন্নতের তরীকায় দাদা হুজুর হযরত নেছারুদ্দীন (রহ.) তিল তিল করে এ দরবার প্রতিষ্ঠাতা করেছেন। মাহফিলের এ তিনদিনে যত ওয়াজ, নসীহত করা হয়েছে। তা আমল করতে হবে। আমল ছাড়া সবই বিফলে যাবে।
আল্লাহ মানবেন, আল্লাহর হুকুম মানবেন না; হুকুম মানলেন তো আল্লাহর নবীর সুন্নত মানবেন না। তা হবেনা। আল্লাহকে পেতে হলে আল্লাহর হুকুম, নবী ও নবীর সুন্নত মানতে হবে। বর্তমান সময় অত্যন্ত কঠিন সময়ে যাচ্ছে। শয়তান বসে নেই। সে নিত্য নতুন সুরাতে নানা বেশে মানুষের দ্বারে দ্বারে হাজির হয় তার গোমরাহীর পসরা সাজিয়ে। সুতারং শয়তান থেকে সাবধান হতে হবে। আর এজন্য এদরবার থেকে যা পেয়েছেন তা বেশি বেশি আমল করতে হবে। আমল ছাড়া কোন মানুষ খাঁটি মুমিন হতে পারেনা।
গতকাল পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার সন্ধ্যা নদীর ক‚ল ঘেষে অবস্থিত ছারছীনা দরবার শরীফের ১২৭তম ঈছালে ছওয়াব মাহফিলের আখেরী মোনাজাত পূর্বে পীর ছাহেব হুজুর মাহফিলে আগত লাখো লাখো ভক্ত, মুরিদানসহ উপস্থিত ধর্মপ্রান মুসলমানদের উদ্দেশ্যে এ কথাগুলো বলেন। পীর ছাহেব আরো বলেন, এদরবার আপনাদের সবার। এ দরবার দেখার দায়িত্ব আমার একার নয়। আমি দাদা হুজুরের খাদেম হয়ে এ দরবার পরিচালনা করছি। এ দরবার দেখার দায়িত্ব আপনাদেরও রয়েছে। কেউ কলম দিয়ে, কেহ মুখ দিয়ে মোট কথা যে যেভাবে পারবেন; দরবারের মঙ্গলের জন্য সর্বদা সজাগ দৃষ্টি রাখবেন। কারণ একদল লোক ব্যাক্তি স্বার্থে সর্বদা দরবারের ক্ষতি সাধনের পায়তারা করে যাচ্ছে। দাদা হুজুরের অনুসারি হতে হলে মুখে দাঁড়ি, মাথায় পাগড়ীসহ গোল টুপি, পাঞ্জাবি পরিধান করে দরবারের সেলসেলায় চলতে হবে।
মাহফিলে মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য একেএমএ আউয়াল, বরিশাল সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. সাইদুর রহমান রিন্টু, বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক সাদিক আব্দুল্লাহ, নেছারাবাদ উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ওয়াহিদুজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবু সাঈদ, স্বরূপকাঠি পৌর মেয়র মো. গোলাম কবির, উপজেরা ভাইস চেয়ারম্যান মো. লাভলু আহম্মেদ প্রমুখ।
পিরোজপুর-১ আসনের এমপি আউয়াল বলেন, এ দরবারে এসেছেন আল্লাহকে পাওয়ার জন্য। পীরকে নয়। পীরের পরামর্শ মেনে চললে আল্লাহকে পাওয়া যাবে। তাই মহান আল্লাহকে পাওয়ার জন্য অব্যশই পীরের পরামর্শ মেনে চলতে হবে। তিনি আরো বলেন, শোনা যাচ্ছে একদল লোক দরবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এ দরবার হল দাদা হুজুরের দরবার। পীর ছাহেব আলহাজ মাওলানা শাহ্ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ হলেন দরবারের কেয়ারটেকর। সুতারং সকল ষড়ন্ত্রকারীরা মিলেও এ দরবারের চুল পরিমান ক্ষতি করতে পারবেনা ইনশাল্লাহ।
উল্লেখ্য, তিন দিনের এ মাহফিলের শেষদিনে আখেরী মোনাজাতে অংশ নিতে দেশের দূর-দূরান্তসহ অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষের যেন ঢল নেমে ছিল। মোনাজাতে অংশ নিতে গত বুধবার বিকাল থেকে বৃহস্পতিবার যোহর নামাজ পূর্বক্ষণ পর্যন্ত দূর-দূরান্তর এলাকা থেকে নৌ ও সড়ক পথে ধর্মপ্রান মানুষের এ ঢল অব্যাহত ছিল। মাহফিল ময়দানে ধর্মপ্রান মুলমানদের আগমনে যেন তিল ধারনের জায়গা ছিলনা। মোনাজাতকালে আমীন আমীন ধ্বনীতে আকাশ বাতাস যেন ভারাক্রান্ত হয়ে উঠছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।