Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সৈয়দপুরে আগাম জাতের আলু চাষে ব্যস্ত কৃষক

| প্রকাশের সময় : ১ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে নজির হোসেন নজু : নীলফামারী সৈয়দপুরে আলুসহ বিভিন্ন রবিশস্য চাষে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন এলাকার কৃষকরা। এ অঞ্চলে বিশেষ করে আগাম জাতের আলু একটি লাভজনক ফসল। তাই কৃষকরা অন্যান্য বছরের মতো এবারো আগাম জাতের আলু চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর আবহাওয়া অনুক‚লে থাকার কারণে গত বছরের তুলনায় এবার আলু চাষ করে কৃষকদের লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গত বছর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে প্রায় দুই হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের আলু চাষ করা হয়েছিল। এবার গত বছরের তুলনায় বেশি জমিতে আগাম জাতের আলু চাষ করা হবে বলে মনে করছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ।
সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের কাঙ্গালপাড়া গ্রামের কৃষক তৌহিদুল ইসলাম জানান, এবার পাঁচ বিঘা জমিতে তিনি আলু চাষ করেছেন। বীজের কোনো প্রকার রোগবালাই পচা ও ছত্রাক ধরার সম্ভাবনা নেই। আলু লাগানোর জমিতে প্রতিদিন পাঁচ-ছয় জন করে শ্রমিক আলুর জমি তৈরির কাজ করছেন। তবে আবহাওয়া ভালো থাকলে গত বছরের তুলনায় এবার বেশি লাভের আশা করছি। উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের দলুয়া গ্রামের কৃষক এহসান জানান, এবার আশা করছি প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অতিবৃষ্টি না হলে আলুতে খরচের চেয়ে দ্বিগুণ লাভ হবে। এবারে ১৫ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি।
অপরদিকে, খাতা মধুপুর ইউনিয়নের কৃষক আলমগীর বলেন, হিমাগারে বীজের জন্য ২০ বস্তা আলু রেখেছিলাম। বীজে কোনো ধরনের পচন সমস্যা দেখা দেয়নি। বাড়ির পাশাপাশি হিমাগার না থাকায় আমাদের প্রতি বছর অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। আলু চাষের জন্য আমাদের এলাকার মাটি খুবই উপযুক্ত।
উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের ল²ণপুর গ্রামের কৃষক গামা বলেন, কার্ডিনাল জাতের আলু ৬০-৬৫ দিনে হয়। এবার আমি সাত বিঘা জমিতে লাগিয়েছি।
আশা করছি, গতবারের তুলনায় এবার বাজারে দাম ভালো পাবো। খরচ বাদ দিয়ে মোটামুটি লাভের মুখ দেখা যাবে।
সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হোমায়রা মন্ডল জানান, আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রত্যেকটি কৃষক আলু চাষ করে বেশি মুনাফা লাভ করতে পারবেন। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের যথাযথ পরামর্শ ও পরিচর্চার বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এবারে আলু চাষের জমিগুলো উর্বরতা বেশি থাকায় কৃষকরা ইরি-বোরো চাষেও এর সুফল পাবে।
তিনি আরো বলেন, আগাম জাতের আলুর মধ্যে সাগিতা, পেট্রোনিজ, কার্ডিনাল ও সাইটা জাতের আলুর বীজ লাগিয়ে ভালো ফলন পাওয়া যায়। এতে সময়ও কম লাগে, বেশি ফলনও পাওয়া যায় এবং বিরূপ আবহাওয়ার মধ্যে টিকে থাকতে পারে। রোগবালাই কম হয়।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ