পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ সারাদেশে বাম রাজনৈতিক দলগুলোর ডাকা হরতালে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে বিএনপি। গতকাল (বুধবার) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে অংশ নিয়ে হরতালে দলের সমর্থনের কথা জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, আমরা মনে করি, জনস্বার্থে এই হরতাল অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত। বৃহস্পতিবার বাম দলগুলো যে হরতাল ডেকেছে, আমি বিএনপির পক্ষ থেকে সেই হরতালকে পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন করছি। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় প্রতি সপ্তাহে হাজিরা দিতে বাধ্য করে হয়রানির প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে স্বাধীনতা ফোরামের উদ্যোগে এই মানববন্ধন হয়। বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আজকে হরতালে ইতিমধ্যে বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, নাগরিক ঐক্যও সমর্থন জানিয়েছে।
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির কঠোর সমালোচনা করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, এই সরকার গণবিরোধী সরকার, এই সরকার মানববিরোধী, মানবতাবিরোধী সরকার। যতদিন তারা সিংহাসন আটকে রাখবে, ততদিন জনগণ পিষ্ট হবে, দলিত হবে, নিষ্ঠুরভাবে তারা দমন করবে। এরা যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন দমনের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকার কায়েম করবে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা তার প্রতিহিংসা পূরণের জন্যই বেগম খালেদা জিয়াকে আইনের নামে, বিচারের নামে হয়রানি করছেন- এটা জনগণের কাছে স্পষ্ট। আমরা বলতে চাই, অনেক জুলুম করেছেন, অনেক মায়ের কোল খালি করেছেন, অনেক মায়ের সন্তানকে গুমের নামে লাল দেয়ালের মধ্যে আটকে রেখেছেন এদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে। এসব বন্ধ করুন।
প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, লাভ হবে না। জনগণের প্রতিরোধের কাছে প্রধানমন্ত্রী আপনার সকল অত্যাচার, নির্যাতন-নিপীড়ন মাটি চাপা দিয়ে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে পতাকা উড়বেই। এখন তো ক্ষমতার ঝাড়বাতি কার্পেট দেখছেন কিন্তু আপনার আশপাশে রয়েছে আর্তনাদ। কারণ আপনি যে দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারা জনগণের কারাগারে বন্দী। কেননা আওয়ামী লীগের শিকড় মাটিতে নয় তাদের শিকড় পানিতে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনি যদি রকিবুলের (সাবেক সিইসি) পথ অনুসরণ করেন ইতিহাসে হয়তো নাম থাকবে তবে তা হবে কলুষিত। জনগণের আওয়াজ শুনুন এবং বোঝার চেষ্টা করুন। যদি তা না করেন তাহলে ধরা খেয়ে যাবেন। তখন আপনার দায়িত্ব পালন করা হবে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান থেকে নয়, আপনি দায়িত্ব পালন করছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সুধাসদন কিংবা বঙ্গভবনের। যদি বাধ্য করেন তাহলে সরকারের বন্দুক বুলেটের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করে হলেও গণতন্ত্র ও অধিকার নিশ্চিত করা হবে বলে মন্তব্য করেন রিজভী।
সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, এবিএম মোশাররফ হোসেন, অ্যাভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, নিপুণ রায় চৌধুরী প্রমুখ মানববন্ধনে বক্তব্য দেন।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।