Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আত্মসাতের অভিযোগ : দুদকে তদন্তের নির্দেশ

ময়মনসিংহে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্ধকোটি টাকা

| প্রকাশের সময় : ২৯ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা, ময়মনসিংহ ব্যুরো : ময়মনসিংহে জুট মিলস আদর্শ বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক মো: জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে চাকুরী দেয়ার নামে প্রায় অর্ধকোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এনিয়ে বিদ্যালয়ের ভেতরে-বাইরে তোলপাড় শুরু হয়েছে। সূত্রমতে, এ ঘটনায় গত ১৫ নভেম্বর বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মাবিয়া খন্দকার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
বাদী পক্ষের আনইজীবি মোজাক্ষির হোসাইন জাকির জানান, অভিযোগ তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক ড. মো: আমির উদ্দিন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ময়মনসিংহ দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক মো: জাহাঙ্গীর আলম জানান, আদালতের নির্দেশ মোতাবেক অভিযোগপত্র দুদক প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হবে। পরে অনুমতি স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহ জুট মিলস আদর্শ বিদ্যাপীঠ এ অনুমোদিত ৭টি শাখার প্রতি পদে একজন করে শিক্ষক নিয়োগ রয়েছেন। এরপরও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: জাহাঙ্গীর আলম ভুয়া শাখা দেখিয়ে সৃষ্ট পদে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের নিমিত্তে গত ২০১৩ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রদান করেন। ওই বিজ্ঞপ্তি মূলে মাবিয়া খন্দকার, রুকসানা বেগম ও দিলরুবা আক্তারকে নিয়োগ প্রদান করা হয়। ওই সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: জাহাঙ্গীর আলম প্রতিজনের কাছ থেকে ছয় লাখ টাকা উৎকোচ গ্রহন করেন।
আরো জানা যায়, এরপর ২০১৪ সালের ২মে তাদের এমপিও ভুক্তকরণের জন্য দুই জনের নিকট থেকে আরো তিন লাখ টাকা করে ছয় লাখ টাকা নেন। কিন্তু ভুয়া তথ্যের ভিত্তিতে সহকারী শিক্ষক রুকসানা বেগম ও দিলরুবা আক্তারকে এমপিওভুক্ত করা হয়। পরে অপর সহকারী শিক্ষক মাবিয়া খন্দকার’র কাছ থেকে ২০১৪ সালের ৮ জুন আরো দুই লাখ আশি হাজার টাকা গ্রহন করেও তাকে এমপিও বঞ্চিত করেন। ভুক্তভোগী শিক্ষিকা মাবিয়া খন্দকার আরো জানান, অতিরিক্ত তিনজন শিক্ষক ছাড়াও বাকী সাত জনের নিকট থেকে আরো ২১ লক্ষ টাকা উৎকোচ গ্রহন করেছেন ওই প্রধান শিক্ষক। বিদ্যালয় সূত্র জানায়, প্রধান শিক্ষক মো: জাহাঙ্গীর আলম বিদ্যালয়ের ফান্ডের এক লক্ষ সাতাইশ হাজার অবৈধ ভাবে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করলে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্তে ২০১২ সালের ২৬ নভেম্বর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এবং পরবর্তীতের তদন্ত কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক উক্ত টাকা বিদ্যালয় ফান্ডে ফেরৎ দেওয়ার শর্তে তাকে চাকুরীতে পুর্ন:বহাল করা হয়। কিন্তু এখনোও সেই টাকা বিদ্যালয়ের ফান্ডে জমা হয়নি।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কমিটির দ্ব›েদ্ব একটি পক্ষ এসব করাছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ