Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফেনীর পুরাতন সড়কে সীমাহীন দুর্ভোগ

খানাখন্দে ভরা

| প্রকাশের সময় : ২৯ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ফেনী জেলা সংবাদদাতা : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর অংশে স্টারলাইন পাম্প হতে ছালাউদ্দিন মোড় পর্যন্ত এবং শহরের দাউদপুর থেকে হাজারী কলেজ পর্যন্ত খানাখন্দে ভরা সড়কে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চালক ও যাত্রীদের। জেলা শহরে প্রবেশের এ সড়কটির বর্তমান অবস্থায় যে কোন মানুষ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করবেন। সড়কটি ফেনী সওজের অধীন বলে জানা গেছে। দীর্ঘ ৫ বছর ধরে কোন সংস্কার না করার কারণে বর্তমানে সড়কটি যেন খানা খন্দ আর মাটি বালির স্তুপে পরিণত হয়েছে।
প্রথম দেখাতে এটিকে সড়ক না ভেবে অনেকে ক্ষতবিক্ষত গ্রামীণ ফুটবল খেলার মাঠ মনে করে ভুল করতে পারেন। যিনি একবার এ সড়ক ব্যবহার করেছেন তিনি আর গাড়িতে করে দ্বিতীয়বার যেতে চাইবেন না।
এ সড়কটিতে বর্তমানে ইটের সলিং দেখা গেছে। পাকা রাস্তায় নিম্নমানের ইটের সলিং ব্যবহার করায় তা ভেঙ্গে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া ইটের সুরকি আর বালি দিয়ে গর্তগুলো ভরাট করায় তা সরে গিয়ে পুনরায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে যান চলাচলে ধুলাবালিতে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
এদিকে মহাসড়কের মহিপালে ফ্লাইওভার ও রেলওয়ে ওভারপাচের নির্মাণ কাজ চলায় সড়কটি দিয়ে প্রতিনিয়ত ভারী যান চলাচল করে। এছাড়া শহরের দূরপাল্লার গাড়িগুলো এ সড়ক দিয়ে যায়। ফলে যান চালক এবং যাত্রীদের দুর্ভোগের অন্ত থাকে না। বিষয়টি ফেনী পৌর মেয়র, সদর আসনের এমপি এবং বর্তমান সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নজরে থাকলেও ফেনী সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ করিম কোন উদ্যোগ নিচ্ছেন না। ফেনীর ঐ সড়কটি ছাড়াও ঠিকাদারবিহীন জোড়াতালির বেশকিছু কাজ করেছেন মাসুদ করিম। ইটভাটা থেকে পুরনো নিম্নমানের ইট, পোড়া মবিল আর নিম্নমানের বালি দিয়ে বিভিন্ন সড়কে জোড়াতালি দিতে গিয়ে ফেনী সড়ক বিভাগের ২০১৬-১৭/২০১৭-১৮ সালের ব্যয় প্রায় কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে যা দিয়ে অনেক উন্নতমানের সড়ক সংস্কার করা যেতো বলে জানা গেছে।
এসব বিষয়ে জানতে নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ করিমের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক প্রভাবে কাজ হয়। তার বাইরেও একটি প্রভাবশালী চক্র কাজ করছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। জোড়াতালির কাজের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন রকমে জনদুর্ভোগ নিরসনের চেষ্টা করছেন বলে জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দুর্ভোগ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ