Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নারায়ণগঞ্জে চাঞ্চল্যকর সাত খুনের পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণ ২৮ মার্চ

প্রকাশের সময় : ২১ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জে চাঞ্চল্যকর সাত খুনের মামলায় একজন ম্যাজিস্ট্রেটসহ ৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। আদালত আগামী ২৮ মার্চ পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা হতে দুপুর সোয়া ২টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে সাত খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ২৩ আসামির উপস্থিতিতে ওই ৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, সোমবার নির্ধারিত সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। এদিন তারেক সাঈদ ও নূর হোসেনের পক্ষে সময় প্রার্থনা করা হয়। পরে আদালত আগামী ২৮ মার্চ শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
তিনি আরো জানান, সোমবার উপস্থিত ২৩ আসামীর মধ্যে ২১ জন ও পলাতক ১২ আসামীর পক্ষের আইনজীবীরা ৭জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
এর মধ্যে রয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কে এম মহিউদ্দিন। তার আদালতে সাত খুনের ঘটনায় ৭ জন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী ও ৩ জন সাক্ষ্য জবানবন্দী প্রদান করেছিলেন।
এছাড়া সোমবার সাক্ষ্য দেওয়া অপর ৬ জন হলেন— পুলিশের এসআই বেলায়েত হোসেন, মিজানুর রহমান, কনস্টেবল রমজান হোসেন, প্রত্যক্ষদর্শী ফখরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর ও আবুল কালাম আজাদ।
শুনানির শুরুতে আদালতে তারেক সাঈদ ও নূর হোসেনের পক্ষে আইনজীবীরা আদালতকে জানান, ৭ খুন মামলা বাতিল ও অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। রিটের নিষ্পত্তি এখনও হয়নি। তাই এখন এ দুইজনের (তারেক সাঈদ ও নূর হোসেন) পক্ষে জেরা করা যাচ্ছে না। সময় প্রয়োজন।
এদিকে, সাক্ষ্য গ্রহণ স্থগিত রাখতে ষষ্ঠবারের মতো আবেদন করেছেন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন ও চাকরীচ্যুত র‌্যাব কর্মকর্তা অবসরে পাঠানো সেনাবাহিনীর লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ।
এছাড়া বাদীপক্ষের আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন খান অভিযোগ করেছেন, পিপি সাক্ষ্যদের তৈরি করা না এনে হঠাৎ করে নিয়ে আসেন। আদালতে শুনানির সময়ে পিঁপিঁর আচরণে প্রতীয়মান হয় যে তিনি নূর হোসেনের লোক।
অন্যদিকে পিপি বলছেন, সাখাওয়াত হোসেনের এসব অভিযোগ সত্য না।
জানা গেছে, সাত খুনের ঘটনায় গ্রেফাতর রয়েছেন ২৩ জন। পলাতক ১২ জন। সাত খুনের ঘটনায় দুটি মামলা হয়। একটি মামলার বাদী বিজয় কুমার পাল হলেন নিহত অ্যাডভোকেট চন্দন সরকারের মেয়ে জামাতা ও অপর বাদী সেলিনা ইসলাম বিউটি হলেন নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী।
দুটি মামলাতেই অভিন্ন সাক্ষী হলো ১২৭ জন করে। একারণে উভয় মামলার সাক্ষীদের একই সঙ্গে দুই মামলায় জেরা করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন ও গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহীম অপহৃত হন। পরে ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের ও ১ মে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরে নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ও আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানায় দু’টি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত শেষে গত বছরের ৮ এপ্রিল কাউন্সিলর নূর হোসেন এবং ৠাবের চাকরীচ্যুত তিন কর্মকর্তা তারেক সাইদ, আরিফ হোসেন ও এমএম রানাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেয় পুলিশ। গত ৮ ফেব্রুয়ারি সাত খুনের দু’টি মামলায় ওই ৩৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) গঠন করেন আদালত।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ