প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার দত্তপাড়া গ্রামে আজ সোমবার বাবার কবরের পাশেই দাফন করা হয়েছে জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পারভীন সুলতানা দিতিকে।
এর আগে দুপুর পৌনে ২টায় সোনারগাঁয়ের দত্তপাড়ার নিজ বাড়ির সামনের মসজিদ মাঠে শেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
দিতির মামা মাওলানা দেলোয়ার হোসেন জানাজার ইমামতি করেন। জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মা ও বাবার পাশেই তাকে দাফন করা হয়।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁও) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল কায়সার, সোনারগাঁও থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম, সোনারগাঁও ইউএনও আবু নাসের ভূইয়া, সোনারগাঁও থানার ওসি মঞ্জুর কাদের, পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, সনমান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাহাবউদ্দিন সাবু, সোনারগাঁও নাগরিক কমিটির সভাপতি এটিএম কামাল, দিতির ছেলে সাফায়েত হোসেন দীপ্ত চৌধুরী, দিতির বড় ভাই মনির হোসেন, পারভেজ হোসেন, আনোয়ার হোসেন ও টিপু প্রমুখ।
এর আগে ঢাকার এফডিসি ও গুলশানে একাধিক জানাজা শেষে লাশবাহী গাড়িতে করে দুপুর সোয়া ১২টায় দিতির লাশ পৌঁছায় দত্তপাড়া গ্রামে।
জানা গেছে, সোনারগাঁয়ের দত্তপাড়া গ্রামের মৃত আবুল খলিফার চার ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে তৃতীয় হলেন দিতি। দিতি ছোট বেলা থেকেই সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলেন। আশির দশকে বাংলা চলচ্চিত্রে পা রাখেন তিনি।
দিতি ছাড়াও তার বড় ভাই মনির হোসেন ও পারভেজ দুজনেই গান গাইতেন। ছোট বোন নাসরিন এক সময় মডেলিং করতেন। আরেক ভাই আনোয়ার ছবি আঁকার সাথে জড়িত। ১৯৭৪ সালে দিতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেড়িয়ে ভর্তি হন সোনারগাঁও জি আর ইনস্টিটিউশনে। এখানে পড়াশোনার পাশাপাশি দিতি নিয়মিত গান গাইতেন। মূলত গায়িকা হিসেবেই স্থানীয় সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তার পরিচিতি ঘটে। ১৯৭৯ সালে সোনারগাঁও জি আর ইন্সটিটিউশন থেকে এসএসসি পাসের পর দিতি পড়াশোনার সুবাদে চলে যান ঢাকায়। সেখানে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনে গান গাওয়ার পাশাপাশি অভিনয়ে জড়িয়ে পড়েন। এক সময় নায়িকা হিসেবে শক্ত অবস্থান দখল করেন বাংলা চলচ্চিত্রে। একের পর এক ব্যবসা সফল ছবির মাধ্যমে দিতি জয় করে নেন দর্শক হৃদয়। বাংলা চলচ্চিত্রে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়লে তিনি স্বেচ্ছায় বাংলা চলচ্চিত্র থেকে দূরে সরে যান। সর্বশেষ তিনি টিভি নাটকের সাথে জড়িত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।