বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
জাহিদুল ইসলাম, কাঠালিয়া (ঝালকাঠি) থেকে : ঝালকাঠি জেলার সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত ও অনেকটা নাগরিক সুবিধা বঞ্চিত জনপদ কাঠালিয়া উপজেলা। এ উপজেলায় প্রায় আড়াই হাজার বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধী রয়েছে। এসব প্রতিবন্ধীরা শিক্ষা ও সাংস্কৃতিতে সুবিধা বঞ্চিত এবং অবহেলিত। স্বাধীনতার পর দীর্ঘ বছর অতিবাহিত হলেও কাঠালিয়ায় সরকারি-বেসরকারি বা ব্যক্তি উদ্যোগে প্রতিবন্ধীদের জন্য কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। বর্তমান সরকার শিক্ষা বান্ধব সরকার। সারাদেশে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মমূখি শিক্ষাসহ নানা ধরনের শিক্ষায় এ সরকার সফলতা অর্জন করেছে। পাশাপাশি এ সরকার প্রতিবন্ধীদের অনেক যুগান্তকারি ও বাস্তবমুখি পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও কাঠালিয়া উপজেলায় প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের কোন ব্যবস্থা নেই।
অবশেষে গত ২০১৫ সালে কাঠালিয়া উপজেলার বীণপাণি গ্রামের শিক্ষানুরাগী ও সংবাদকর্মী মো. শহীদুল আলম কয়েকজন উদ্যোক্তা, স্থানীয় প্রশাসন, শিক্ষানুরাগী ও জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় প্রতিবন্ধীদের মানসিক বিকাশ ও আতœনির্ভরশীল করতে কাঠালিয়া উপজেলার বীণাপাণি-কচুয়া সড়কে দক্ষিণ কৈখালীতে অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘কাঠালিয়া প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়’। বর্তমানে এ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় বিভিন্ন ধরনের ১২১ জন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী অধ্যায়ন করছে। সম্পূর্ণ বিনা বেতনে অধ্যায়ন, বিদ্যালয়ের নিজস্ব ভ্যানে দায়িত্ব সহকারে ফ্রি আনা-নেয়ার ব্যবস্থা। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন মিডডে মিল (নাস্ত) ও শিক্ষা উপকরণ প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা করেন।
কিন্ত এলাকার মধ্যবিত্ত ও অস্বচ্ছল উদ্যোক্তাদের পারিচালিত এ প্রতিষ্ঠানটি আজ নানা সমস্যায় জর্জরিত। নিয়মমাফিক জমি থাকা স্বত্তেও ভবন সঙ্কট রয়েছে। বিদ্যালয় মাঠে চারদিকে সিমানা প্রাচীর প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের থাকার জন্য একটি হোস্টেল খুবই প্রয়োজন। অর্থাভাবে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের নেই পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সেবা ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা। স্কুল ভ্যান স্বল্পতার কারণে সব শিক্ষার্থীকে যথাসময় বিদ্যালয় আনা-নেয়ায় বিঘœ ঘটছে। বিদ্যালয়টি উন্নয়নে সরকারি ও বেসরকারি বা ব্যক্তি উদ্যোগে কেই এগিয়ে আসেনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডা. শরীফ মুহম্মদ ফয়েজুল আলম বলেন কাঠালিয়ায় প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টি বেসরকারীভাবে প্রতিষ্ঠা করায় উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এটি একটি মহতি উদ্যোগ। আশা করি অচিরেই এটি সরকারি স্বীকৃতি পাবে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষরা আসলে প্রতিবন্ধিদের শিক্ষার স্বার্থে সাহায্যে ও সহযোগিতা করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।