Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ২৪ বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি পাঠাগার ও দাতব্য চিকিৎসালয়

| প্রকাশের সময় : ২৮ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মোঃ আকতারুজ্জামান চৌদ্দগ্রাম থেকে : বাংলাদেশের প্রথম মুক্তাঞ্চল ‘জগন্নাথদীঘি মুক্তাঞ্চল’ দিবস আজ । স্বাধীনতাযুদ্ধের এই দিনে মুক্তিযোদ্ধাদের নিরলস প্রচেষ্টায় সীমান্তবর্তী কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের জগন্নাথদীঘির উভয় দিকে প্রায় ১০ কিলোমিটার শত্রুমুক্ত হয়েছিল। প্রথম মুক্তাঞ্চলের স্মৃতিকে অমর করে রাখতে জগন্নাথদীঘির পাড়ে স্মৃতিচারণ, পাঠাগার, সমাজকল্যাণ কেন্দ্র ও দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপনের স্বপ্ন ২৪ বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি। ১৯৯৩ সালে এখানে ওইসব প্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হলেও এখনো এর কোনো কার্যক্রমই শুরু হয়নি। এলজিউডির তত্ত¡াবধানে এগুলো স্থাপন হবার কথা ছিল। জগন্নাথদীঘি মুক্তাঞ্চল স্মৃতি পরিষদের নেতাদের মতে, সরাসরি যুদ্ধের মাধ্যমে এটিই বাংলাদেশের প্রথম মুক্তাঞ্চল। স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে (১৯৭১ সালের ১১ নভেম্বর) চৌদ্দগ্রামের জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের বেতিয়ারায় মুক্তিবাহিনীর ৯ গেরিলা যোদ্ধা শহীদ হলে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর আক্রমণ তীব্র হয়। ফলে ২৭ নভেম্বর শেষ রাতে সম্মুখযুদ্ধে জগন্নাথদীঘির পাড়ে অবস্থিত পাক বাহিনীর ক্যাপ্টেন জংয়ের ঘাটির পতন ঘটে। জংয়ের ঘাটির পতনের মাধ্যমে জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের উত্তর দক্ষিণে ১০ কিলোমিটার বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম শত্রুমুক্ত হয়। পরদিন সকাল ১০টায় মুজিবনগর সরকার নিয়ন্ত্রিত ভারতের ত্রিপুরায় অবস্থিত বড় টিলা ক্যাম্পে মুক্তিযোদ্ধা জসিম উদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে আরও ১৬ জন মুক্তিযোদ্ধাসহ তৎকালীন কুমিল্লার ৪ গণপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট মীর হোসেন চৌধুরী, আবদুল আউয়াল, হাজি আলী আকবর মজুমদার ও জালাল আহমেদের উপস্থিতিতে জংয়ের ঘাঁটি ইপিআর ক্যাম্প বর্তমানে জগন্নাথদীঘি বিজিবি ক্যাম্পও আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা উত্তোলন করে কার্যকরভাবে দখল গ্রহণ করেন মুক্তিযোদ্ধারা। মুজিবনগর সরকার তাৎক্ষণিক ওই এলাকাকে মুক্তাঞ্চল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
এ ব্যাপরে জগন্নাথদীঘি মুক্তাঞ্চল স্মৃতি পরিষদের সভাপতি ও বড়টিলা ক্যাম্পের সাবেক চিফ বীর মুক্তিযোদ্ধা জসিম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, প্রতি বছর জগন্নাথদীঘি মুক্তাঞ্চল দিবস পালন করা হয়। এর স্মৃতিকে ধরে রাখতে শিগগিরই পাঠাগার, সমাজকল্যাণ কেন্দ্র ও দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপনের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ