বেনাপোল অফিস : ভারত পেয়াজের মূল্য বৃদ্ধি করার পরও বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পেয়াজ আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। আগের দরেই আসছে ভারতীয় পেয়াজ। গত রোববার বেনাপোল বন্দরে ৬০ মেট্রিক টন পেয়াজ আমদানি হয়। আজও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভারত থেকে পিয়াজ আমদানি হযেছে ৫০ মে; টন । পেয়াজ আমদানি স্বাভাবিক থাকা সত্তে¡ও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বেশী মুনাফা লুটতে পেয়াজ গুদামজাত করছে বলে স্থানীয় সুত্রে পাওয়া গেছে। ফলে খুচরা বাজারে বাড়ছে পেয়াজের দাম ।
বেনাপোলের পেয়াজ ব্যবসায়ি রাজু আহম্মেদ, ও আবুল কালাম জানান, পুর্বের দরেই বিক্রি হচ্ছে পেয়াজ। তবে আড়ৎ ব্যবসায়ীরা পেয়াজের সরবরাহ কমিয়ে দেয়ায় খুচরা বাজারে দাম বেড়েছে। দেশীয় মসলা পেয়াজের চাহিদা ও ঘাটতি মেটানো হয় উৎপাদিত পেয়াজসহ আমদানিকৃত পেয়াজ দিয়ে। বেনাপোল ও ভোমরা শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারত থেকে অধিকাংশ পেয়াজ আমদানি করা হয়। হঠাৎ করে পেয়াজের আমদানি মূল্য বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ি ও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। আগে প্রতি মেট্রি টন পেয়াজের আমদানি মূল্য সাড়ে ৩’শ মার্কিন ডলার থেকে বাড়িয়ে করা হয় ৫’শ মার্কিন ডলার ছিল। এবার ভারতের বাজারে প্রতিকেজি পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬২থেকে ৭২ টাকা। ফলে রফতানি মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত সরকার।
প্রতি মেট্রিক টন পেয়াজ ৮৫০ মার্কিন ডলারের নিচে রফতানি করা যাবে না বলে জানায় ভারতের বাণিজ্য দফতর সংশ্লিষ্টরা। তবে গতকাল সোমবার পর্যন্ত পূর্বে এলসিকৃত মূল্যে পেয়াজের চালান আসছে বলে জানান বন্দর সংশ্লিষ্টরা। ভারতের বাজারে পেয়াজের দাম বৃদ্ধিহ পেয়াজ রফতানি মূল্য বেড়ে গেলেও বেনাপোল বন্দরে পূর্বের এলসি মূল্যে সামান্য কিছু পেয়াজ আমাদনি হচ্ছে। ভারতে পিয়াজের দাম বৃদ্ধির কোন নির্দেশনা হাতে পাননি বলে জানান বেনাপোল স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ পরিচালক আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন পেয়াজ আমদানি অব্যাহত আছে। দ্রুত পেয়াজের চালান খালাসে কাজ করছেন তারা।