পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মুত্তাকি-ঈমানদার শিক্ষার্থী গড়তে মনোযোগী হতে হবে -হুছামুদ্দীন চৌধুরী
দেশে দেউলিয়াপনা, সমাজে অরাজকতা এবং চলমান শিক্ষাব্যবস্থায় নীতি-নৈতিকতাহীনতার বিপরীতে শিক্ষার্থীদের ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষার পাঠ্যসূচিতে জাগতিক ও আধ্যাত্মিকতার সমন্বয় দরকার বলে মন্তব্য করেছেন জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন। তিনি বলেন, লুটেরামুক্ত সমাজ গড়তে ক্লাসে ছাত্রছাত্রীদের নৈতিকতা শিক্ষা দেয়া অপরিহার্য। সে কাজটা করছে মাদরাসাগুলো। মাদরাসা শিক্ষা শুধু চার দেয়ালের মধ্যে নয়; সমাজের সর্বস্তরে পৌঁছে দিতে হবে। মাদরাসা শিক্ষকদের আর্দশ নীতি ও নৈতিকতার পরিচয় দিয়ে প্রমাণ করতে হবে, তারাই সমাজে যোগ্য নাগরিক গড়ার কারিগর। শিক্ষার নামে চলমান দেউলিয়াত্বের বিপরীতে তারা নিরন্তর কাজ করছেন।
এতে মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি সাধারণ মানুষের গ্রহণযোগ্যতা ও নির্ভরতা সৃষ্টি হচ্ছে। আর যারা প্রগতিশীলতার নামে মাদরাসা শিক্ষা নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতে অভ্যস্ত; তারা লজ্জা পাচ্ছেন। গতকাল সিলেটে মাদরাসায় কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান। প্রতিনিধি সম্মেলনে বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ সভাপতি ও আরবী বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সদস্য মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী বলেন, দেশে মানুষকে নৈতিকভাবে সৎ যোগ্য গড়ে তুলতে হবে। মাদরাসা শিক্ষকদের শুধু দাবি-দাওয়ার বৃত্তে সীমাবদ্ধ না রেখে মুত্তাকি-ঈমানদার শিক্ষার্থী গড়তে হবে। আল্লাহর প্রতি ভয় থাকতে হবে; মন্ত্রী-এমপি-ডিসি-এসপিদের ভয়ে অন্তর কাপিয়ে উঠলে আল্লাহর ভয় বলে কি কিছু থাকে?
বর্ণাঢ্য ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশের মধ্যে দিয়ে সিলেটে অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের বিভাগীয় প্রতিনিধি সম্মেলন। মাদরাসায় কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে সিলেট বিভাগের চার জেলার বিপুল সংখ্যক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। এ যেন দেশবরেণ্য আলেমদের মিলনমেলা। উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন শামসুল উলামা হজরত আব্দুল লতিফ চৌধুরী ফুলতলী (র.) স্মৃতি বিজড়িত নগরীর শাহজালাল ডি ওয়াই কামিল মাদরাসা সোবহানীঘাটের কনফারেন্স হলে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন তাঁর (ফুলতলী র.) সুযোগ্য উত্তরসূরী সাহেবজাদা মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী। নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন। তিনি দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্যে দেশ ও বিশ্বের নানামুখী সম্ভাবনা ও সঙ্কটের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমরা হজরত শাহজালাল ও শাহপরান (র.) উত্তরসূরী ও প্রতিনিধি। এই মহান দুই পুরুষের আগমন ও মহতি কর্ম ছিল ইসলামি ইনসাফপূর্ণ সমাজ বির্নিমাণে। তারা সেই সময়কার সোনার ও যোগ্য মানুষ ছিলেন বলেই তাদের দ্বারা সম্ভব হয়েছিল এই অঞ্চলে কল্যাণকামী সমাজ গঠন। আমরা তাদেরই উত্তরসূরী। কিন্তু আমাদের ব্যর্থতার জন্য আজ নানামুখী সঙ্কট পড়েছি। সেই সঙ্কট উত্তরণে এখন নৈতিক ও মেধাবী মানুষ দরকার। সেই মানুষ গঠনে ভ‚মিকা রাখতে হবে আমাদের মাদরাসাগুলোকে। আল্লাহভীরু লোক তৈরি ছাড়া এ পরিবর্তন সম্ভব নয়। শুধু মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি-দাওয়া আদায়ে সোচ্চার হলে হবে না, আমাদের সন্তানদের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে এবং সমাজের নেতৃত্বে নিয়ে আসতে হবে। তা হলেই আমাদের দাবি-দাওয়ার পাশাপাশি গঠন হবে কাক্সিক্ষত ইসলামি সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা। মনে রাখতে হবে, ঈমানদার মুসলমান হিসেবে আমরা চলমান নীতিহীন সমাজব্যবস্থায় বিব্রত।
বিজ্ঞানের সাফল্য ও চলমান সমাজের বাস্তবতা তুলে ধরে এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, অপ্রিয় হলেও সত্য যে, বর্তমানে মানুষে মানুষে বিরাজ করছে আস্থার সঙ্কট। সেজন্য মানুষের বদলে রোবট জায়গা করে নিচ্ছে আমাদের ভরসার স্থানে। নীতিহীনতা ও দেউলিয়াত্বের চরম বাস্তবতায় দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে টিচারলেস ক্লাস চালু হচ্ছে। কারণ টিচারদের নৈতিকতা যদি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠে তাদের কাছে শিক্ষার্থীদের শেখার কি আছে? এই বাস্তবতা আমাদের বুঝে নিয়ে নিজেদের উপযোগী করে, শিক্ষার্থীদের সফল মানুষ হিসেবে আগামী দিনের জন্য গড়ে তোলায় মনোযোগী হতে হবে। সে জন্য শিক্ষাব্যবস্থায় জাগতিক ও আধ্যত্মিকতার সমন্বয় অপরিহার্য। সেই পরিবেশ সৃষ্টি ও চর্চার জন্য মাদরাসা অনন্য ভ‚মিকা পালন করছে। তিনি বলেন, মাদরাসা শিক্ষা, শিক্ষক ও কর্মচারীদের স্বার্থ আদায়ে অতীতের মতো এখন জমিয়াতুল মোদার্রেছীন সোচ্চার। ঐক্যবদ্ধভাবে জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের হাতকে শক্তিশালী রাখলে এমন কোনো দাবি থাকবে না, যা পূরণ হবে না। সে প্রমাণ আমরা পেয়েছি। বর্তমান সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা ও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদসহ সংশ্লিষ্টরা মাদরাসা শিক্ষার আধুনিকায়ণ ও দাবি-দাওয়া পূরণে আন্তরিক। সে জন্য জাতীয়করণে বিষয়টি অপূর্ণ থাকবে না। সময়ের ব্যবধানে এ দাবি আদায় হবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বিশ্ব রাজনীতির প্রেক্ষাপট তুলে ধরে ইসলাম ও মুসলমাদের অবস্থা প্রসঙ্গ টেনে প্রখ্যাত সাংবাদিক এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, পৃথিবীতে সালাফিদের ফেতনার দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে। মিসরে মিলাদুন্নবী (সা:) বিরোধীতাকারীরা বোমা হামলা চালিয়ে সুন্নি মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ করে দিয়েছে। এখন থেকে গোটা মুসলিম বিশ্ব মিলাদুন্নবী পালন করছে, করবে। সালাফিরা কোণঠাসা হয়ে পড়ছে। খোদ সউদী আরব এখন তাদের লাগাম টেনে ধরতে কাজে নেমে পড়েছে। দুনিয়ার সুন্নি মুসলমানরা মডারেট ইসলামের বিকাশ, ধারণ ও লালনে এখন অগ্রগামী হয়ে উঠছে।
বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ সভাপতি ও আরবী বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সদস্য মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী বলেন, আউলিয়া কেরাম ও আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের এ দেশে মানুষকে নৈতিকভাবে গড়ে তুলতে না পারলে আমাদের কোনো উদ্দেশ্য সফল হবে না। দাবি-দাওয়ার বৃত্তে সীমাবদ্ধ না রেখে আমাদের মুত্তাকি-ঈমানদার শিক্ষার্থী গড়তে হবে। তার ভয় করবে একমাত্র আল্লাহকে। মাদরাসায় সৎ নিষ্টাবান নেতৃত্ব উপযোগী শিক্ষার্থী গড়ে তুলতে হবে। সে শিক্ষার্থীরা নৈতিকভাবে দৃঢ় হয়ে যোগ্যতার ভিত্তিতেই সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে পৌঁছে দেশ ও জাতির সেবায় ভ‚মিকা রাখবে। তারা যোগ্যতর হলে কোনো সরকারের কাছে আমাদের ধর্ণা দিতে হবে না। তারাই আমাদের দাবি পূর্ণ করে নতুন সমাজ গঠনে ভ‚মিকা রাখবে। সে জন্য তাদের নৈতিক উন্নতি ও পারিপাশ্বির্ক অবস্থাকে মোকাবেলা করে নিজদের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে প্রস্তুত করা খুবই জরুরি। এই অবস্থা উপযোগী করতে মাদরাসা সংশ্লিষ্টদের ভ‚মিকার বিকল্প নেই।
সংগঠনের মহাসচিব আলহাজ মাওলানা শাব্বির আহমদ মোমতাজী বলেন, মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি-দাওয়া বাস্তবায়নে বর্তমান সরকারপ্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুবই আন্তরিক। একই সাথে সিলেটের সুসন্তান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদও মাদরাসা শিক্ষার উন্নতিতে ব্যাপক ভ‚মিকা রাখছেন। তাদের আন্তরিক সহযোগিতায় সব প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে আমরা কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছে যাচ্ছি। তিনি বলেন, দাবি-দাওয়াসহ মাদরাসা শিক্ষা স্বার্থসংশ্লিষ্ট সব দাবি ক্রমেই আদায় হয়ে যাবে। সেজন্য জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের হাতকে শক্তিশালী করতে সকলকে ঐকবদ্ধ থাকতে হবে। ঐক্যবদ্ধ থাকলে, মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরির বয়স বৃদ্ধি, ইবতেদায় স্বতন্ত্র মাদরসা শিক্ষাব্যবস্থা, চাকরি জাতীয়করণসহ অন্যান্য দাবি পূরণ হয়ে যাবে। তিনি বলেন, আগামী বছরের মাঝামাঝিতে শিক্ষকদের অনেক দাবি রয়েছে যা পূরণে সুখবর পেয়ে যাবেন। মাদরাসার দাবি পূরণের মধ্য দিয়ে সফলতা নয়, সফলতা হবে উন্নত মানসিকতা ও নৈতিকভাবে বলিয়ান শিক্ষার্থী তৈরি করে সমাজের উন্নয়ন অগ্রগতিতে তাদের ভ‚মিকায় রাখায় সচেষ্ট করে তোলা। সেইভাবে উপযোগী করতে আমাদের কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, জমিয়াতুল মোদার্রেছীন নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, সেই ব্যাপারে সবাইকে সর্তক থাকতে হবে।
বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সিলেট জেলার সভাপতি হজরত মাওলানা কমরুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলীর সভাপতিত্বে ও সুনামগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম পারভেজের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের যুগ্ম মহাসচিব হচরত মাওলানা এ কে এম মনোওর আলী, সহকারী মহাসচিব হজরত মাওলানা মোহাম্মদ নোমান আহমদ, কেন্দ্রীয় সদস্য হজরত মাওলানা আব্দুল আলিম, বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন সিলেট মহানগরীর সভাপতি হজরত মাওলানা আবু সালেহ মো: কুতবুল আলম, সুনামগঞ্জ জেলার সভাপতি হজরত মাওলানা আব্দুল আহাদ, হবিগঞ্জ জেলার সভাপতি হজরত মাওলানা ফারুক মিয়া, মৌলভীবাজার জেলার সাধারণ সম্পাদক হজরত মাওলানা শামসুল ইসলাম, হবিগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আলী মোহাম্মদ চৌধুরী, সিলেট মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সৈয়দ কুতুবুল আলম, কাগতিয়া দরবার শরিফ চট্টগ্রামের হজতর মাওলানা কাজী ইসমাইল হোসেন, সহকারী অধ্যাপক মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন। সভার শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত করেন রায়গড় দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা আব্দুর রউফ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ আমিরুল ইসলাম, অধ্যক্ষ লিয়াকত আলী খান, অধ্যক্ষ ছমির উদ্দিন, অধ্যক্ষ শহিদ আহমদ বুগদাদী, অধ্যক্ষ সৈয়দ রেজওয়ান আহমদ, উপাধ্যক্ষ শিহাবুর রহমান চৌধুরী, অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান, উপাধ্যক্ষ আবু আলী শিকন্দর, অধ্যক্ষ আবু বকর সিদ্দিক, অধ্যক্ষ আব্দুল হাকিম, অধ্যক্ষ মোস্তাক আহমদ, অধ্যক্ষ আবু ইউসুফ মো: নোমান, অধ্যক্ষ আবু তাহির মো: হোসাইন, অধ্যক্ষ মো: আব্দুস সবুর, অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান, অধ্যক্ষ আব্দুর নুর, অধ্যক্ষ শুয়াইবুর রহমান, অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ, সুপার মখছুদুল করিম, অধ্যক্ষ সিরাজুল আম্বিয়া ও কামরুজাম্মান চৌধুরী, মাওলানা সুলতান আহমদ, নজারুল ইসলাম, ছালেহ আহমদ, ফয়েজ আহমদ, আব্দুল জব্বার প্রমুখ। সম্মেলনে প্রধান অতিথিকে ব্যাজ পরিয়ে দেন সংগঠনের হবিগঞ্জ জেলা সাধারণ সম্পাদক আলী মুহাম্মদ চৌধুরী ও ফুল দিয়ে বরণ করেন মৌলভীবাজার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শামসুল হক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।