Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাদরাসা শিক্ষার প্রতি মানুষের নির্ভরতা বাড়ছে : এ এম এম বাহাউদ্দীন

সিলেটে জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত

ফয়সাল আমীন | প্রকাশের সময় : ২৮ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মুত্তাকি-ঈমানদার শিক্ষার্থী গড়তে মনোযোগী হতে হবে -হুছামুদ্দীন চৌধুরী
দেশে দেউলিয়াপনা, সমাজে অরাজকতা এবং চলমান শিক্ষাব্যবস্থায় নীতি-নৈতিকতাহীনতার বিপরীতে শিক্ষার্থীদের ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষার পাঠ্যসূচিতে জাগতিক ও আধ্যাত্মিকতার সমন্বয় দরকার বলে মন্তব্য করেছেন জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন। তিনি বলেন, লুটেরামুক্ত সমাজ গড়তে ক্লাসে ছাত্রছাত্রীদের নৈতিকতা শিক্ষা দেয়া অপরিহার্য। সে কাজটা করছে মাদরাসাগুলো। মাদরাসা শিক্ষা শুধু চার দেয়ালের মধ্যে নয়; সমাজের সর্বস্তরে পৌঁছে দিতে হবে। মাদরাসা শিক্ষকদের আর্দশ নীতি ও নৈতিকতার পরিচয় দিয়ে প্রমাণ করতে হবে, তারাই সমাজে যোগ্য নাগরিক গড়ার কারিগর। শিক্ষার নামে চলমান দেউলিয়াত্বের বিপরীতে তারা নিরন্তর কাজ করছেন।
এতে মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি সাধারণ মানুষের গ্রহণযোগ্যতা ও নির্ভরতা সৃষ্টি হচ্ছে। আর যারা প্রগতিশীলতার নামে মাদরাসা শিক্ষা নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতে অভ্যস্ত; তারা লজ্জা পাচ্ছেন। গতকাল সিলেটে মাদরাসায় কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান। প্রতিনিধি সম্মেলনে বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ সভাপতি ও আরবী বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সদস্য মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী বলেন, দেশে মানুষকে নৈতিকভাবে সৎ যোগ্য গড়ে তুলতে হবে। মাদরাসা শিক্ষকদের শুধু দাবি-দাওয়ার বৃত্তে সীমাবদ্ধ না রেখে মুত্তাকি-ঈমানদার শিক্ষার্থী গড়তে হবে। আল্লাহর প্রতি ভয় থাকতে হবে; মন্ত্রী-এমপি-ডিসি-এসপিদের ভয়ে অন্তর কাপিয়ে উঠলে আল্লাহর ভয় বলে কি কিছু থাকে?
বর্ণাঢ্য ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশের মধ্যে দিয়ে সিলেটে অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের বিভাগীয় প্রতিনিধি সম্মেলন। মাদরাসায় কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে সিলেট বিভাগের চার জেলার বিপুল সংখ্যক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। এ যেন দেশবরেণ্য আলেমদের মিলনমেলা। উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন শামসুল উলামা হজরত আব্দুল লতিফ চৌধুরী ফুলতলী (র.) স্মৃতি বিজড়িত নগরীর শাহজালাল ডি ওয়াই কামিল মাদরাসা সোবহানীঘাটের কনফারেন্স হলে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন তাঁর (ফুলতলী র.) সুযোগ্য উত্তরসূরী সাহেবজাদা মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী। নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন। তিনি দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্যে দেশ ও বিশ্বের নানামুখী সম্ভাবনা ও সঙ্কটের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমরা হজরত শাহজালাল ও শাহপরান (র.) উত্তরসূরী ও প্রতিনিধি। এই মহান দুই পুরুষের আগমন ও মহতি কর্ম ছিল ইসলামি ইনসাফপূর্ণ সমাজ বির্নিমাণে। তারা সেই সময়কার সোনার ও যোগ্য মানুষ ছিলেন বলেই তাদের দ্বারা সম্ভব হয়েছিল এই অঞ্চলে কল্যাণকামী সমাজ গঠন। আমরা তাদেরই উত্তরসূরী। কিন্তু আমাদের ব্যর্থতার জন্য আজ নানামুখী সঙ্কট পড়েছি। সেই সঙ্কট উত্তরণে এখন নৈতিক ও মেধাবী মানুষ দরকার। সেই মানুষ গঠনে ভ‚মিকা রাখতে হবে আমাদের মাদরাসাগুলোকে। আল্লাহভীরু লোক তৈরি ছাড়া এ পরিবর্তন সম্ভব নয়। শুধু মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি-দাওয়া আদায়ে সোচ্চার হলে হবে না, আমাদের সন্তানদের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে এবং সমাজের নেতৃত্বে নিয়ে আসতে হবে। তা হলেই আমাদের দাবি-দাওয়ার পাশাপাশি গঠন হবে কাক্সিক্ষত ইসলামি সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা। মনে রাখতে হবে, ঈমানদার মুসলমান হিসেবে আমরা চলমান নীতিহীন সমাজব্যবস্থায় বিব্রত।
বিজ্ঞানের সাফল্য ও চলমান সমাজের বাস্তবতা তুলে ধরে এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, অপ্রিয় হলেও সত্য যে, বর্তমানে মানুষে মানুষে বিরাজ করছে আস্থার সঙ্কট। সেজন্য মানুষের বদলে রোবট জায়গা করে নিচ্ছে আমাদের ভরসার স্থানে। নীতিহীনতা ও দেউলিয়াত্বের চরম বাস্তবতায় দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে টিচারলেস ক্লাস চালু হচ্ছে। কারণ টিচারদের নৈতিকতা যদি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠে তাদের কাছে শিক্ষার্থীদের শেখার কি আছে? এই বাস্তবতা আমাদের বুঝে নিয়ে নিজেদের উপযোগী করে, শিক্ষার্থীদের সফল মানুষ হিসেবে আগামী দিনের জন্য গড়ে তোলায় মনোযোগী হতে হবে। সে জন্য শিক্ষাব্যবস্থায় জাগতিক ও আধ্যত্মিকতার সমন্বয় অপরিহার্য। সেই পরিবেশ সৃষ্টি ও চর্চার জন্য মাদরাসা অনন্য ভ‚মিকা পালন করছে। তিনি বলেন, মাদরাসা শিক্ষা, শিক্ষক ও কর্মচারীদের স্বার্থ আদায়ে অতীতের মতো এখন জমিয়াতুল মোদার্রেছীন সোচ্চার। ঐক্যবদ্ধভাবে জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের হাতকে শক্তিশালী রাখলে এমন কোনো দাবি থাকবে না, যা পূরণ হবে না। সে প্রমাণ আমরা পেয়েছি। বর্তমান সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা ও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদসহ সংশ্লিষ্টরা মাদরাসা শিক্ষার আধুনিকায়ণ ও দাবি-দাওয়া পূরণে আন্তরিক। সে জন্য জাতীয়করণে বিষয়টি অপূর্ণ থাকবে না। সময়ের ব্যবধানে এ দাবি আদায় হবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বিশ্ব রাজনীতির প্রেক্ষাপট তুলে ধরে ইসলাম ও মুসলমাদের অবস্থা প্রসঙ্গ টেনে প্রখ্যাত সাংবাদিক এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, পৃথিবীতে সালাফিদের ফেতনার দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে। মিসরে মিলাদুন্নবী (সা:) বিরোধীতাকারীরা বোমা হামলা চালিয়ে সুন্নি মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ করে দিয়েছে। এখন থেকে গোটা মুসলিম বিশ্ব মিলাদুন্নবী পালন করছে, করবে। সালাফিরা কোণঠাসা হয়ে পড়ছে। খোদ সউদী আরব এখন তাদের লাগাম টেনে ধরতে কাজে নেমে পড়েছে। দুনিয়ার সুন্নি মুসলমানরা মডারেট ইসলামের বিকাশ, ধারণ ও লালনে এখন অগ্রগামী হয়ে উঠছে।
বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ সভাপতি ও আরবী বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সদস্য মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী বলেন, আউলিয়া কেরাম ও আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের এ দেশে মানুষকে নৈতিকভাবে গড়ে তুলতে না পারলে আমাদের কোনো উদ্দেশ্য সফল হবে না। দাবি-দাওয়ার বৃত্তে সীমাবদ্ধ না রেখে আমাদের মুত্তাকি-ঈমানদার শিক্ষার্থী গড়তে হবে। তার ভয় করবে একমাত্র আল্লাহকে। মাদরাসায় সৎ নিষ্টাবান নেতৃত্ব উপযোগী শিক্ষার্থী গড়ে তুলতে হবে। সে শিক্ষার্থীরা নৈতিকভাবে দৃঢ় হয়ে যোগ্যতার ভিত্তিতেই সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে পৌঁছে দেশ ও জাতির সেবায় ভ‚মিকা রাখবে। তারা যোগ্যতর হলে কোনো সরকারের কাছে আমাদের ধর্ণা দিতে হবে না। তারাই আমাদের দাবি পূর্ণ করে নতুন সমাজ গঠনে ভ‚মিকা রাখবে। সে জন্য তাদের নৈতিক উন্নতি ও পারিপাশ্বির্ক অবস্থাকে মোকাবেলা করে নিজদের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে প্রস্তুত করা খুবই জরুরি। এই অবস্থা উপযোগী করতে মাদরাসা সংশ্লিষ্টদের ভ‚মিকার বিকল্প নেই।
সংগঠনের মহাসচিব আলহাজ মাওলানা শাব্বির আহমদ মোমতাজী বলেন, মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি-দাওয়া বাস্তবায়নে বর্তমান সরকারপ্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুবই আন্তরিক। একই সাথে সিলেটের সুসন্তান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদও মাদরাসা শিক্ষার উন্নতিতে ব্যাপক ভ‚মিকা রাখছেন। তাদের আন্তরিক সহযোগিতায় সব প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে আমরা কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছে যাচ্ছি। তিনি বলেন, দাবি-দাওয়াসহ মাদরাসা শিক্ষা স্বার্থসংশ্লিষ্ট সব দাবি ক্রমেই আদায় হয়ে যাবে। সেজন্য জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের হাতকে শক্তিশালী করতে সকলকে ঐকবদ্ধ থাকতে হবে। ঐক্যবদ্ধ থাকলে, মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরির বয়স বৃদ্ধি, ইবতেদায় স্বতন্ত্র মাদরসা শিক্ষাব্যবস্থা, চাকরি জাতীয়করণসহ অন্যান্য দাবি পূরণ হয়ে যাবে। তিনি বলেন, আগামী বছরের মাঝামাঝিতে শিক্ষকদের অনেক দাবি রয়েছে যা পূরণে সুখবর পেয়ে যাবেন। মাদরাসার দাবি পূরণের মধ্য দিয়ে সফলতা নয়, সফলতা হবে উন্নত মানসিকতা ও নৈতিকভাবে বলিয়ান শিক্ষার্থী তৈরি করে সমাজের উন্নয়ন অগ্রগতিতে তাদের ভ‚মিকায় রাখায় সচেষ্ট করে তোলা। সেইভাবে উপযোগী করতে আমাদের কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, জমিয়াতুল মোদার্রেছীন নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, সেই ব্যাপারে সবাইকে সর্তক থাকতে হবে।
বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সিলেট জেলার সভাপতি হজরত মাওলানা কমরুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলীর সভাপতিত্বে ও সুনামগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম পারভেজের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের যুগ্ম মহাসচিব হচরত মাওলানা এ কে এম মনোওর আলী, সহকারী মহাসচিব হজরত মাওলানা মোহাম্মদ নোমান আহমদ, কেন্দ্রীয় সদস্য হজরত মাওলানা আব্দুল আলিম, বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন সিলেট মহানগরীর সভাপতি হজরত মাওলানা আবু সালেহ মো: কুতবুল আলম, সুনামগঞ্জ জেলার সভাপতি হজরত মাওলানা আব্দুল আহাদ, হবিগঞ্জ জেলার সভাপতি হজরত মাওলানা ফারুক মিয়া, মৌলভীবাজার জেলার সাধারণ সম্পাদক হজরত মাওলানা শামসুল ইসলাম, হবিগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আলী মোহাম্মদ চৌধুরী, সিলেট মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সৈয়দ কুতুবুল আলম, কাগতিয়া দরবার শরিফ চট্টগ্রামের হজতর মাওলানা কাজী ইসমাইল হোসেন, সহকারী অধ্যাপক মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন। সভার শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত করেন রায়গড় দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা আব্দুর রউফ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ আমিরুল ইসলাম, অধ্যক্ষ লিয়াকত আলী খান, অধ্যক্ষ ছমির উদ্দিন, অধ্যক্ষ শহিদ আহমদ বুগদাদী, অধ্যক্ষ সৈয়দ রেজওয়ান আহমদ, উপাধ্যক্ষ শিহাবুর রহমান চৌধুরী, অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান, উপাধ্যক্ষ আবু আলী শিকন্দর, অধ্যক্ষ আবু বকর সিদ্দিক, অধ্যক্ষ আব্দুল হাকিম, অধ্যক্ষ মোস্তাক আহমদ, অধ্যক্ষ আবু ইউসুফ মো: নোমান, অধ্যক্ষ আবু তাহির মো: হোসাইন, অধ্যক্ষ মো: আব্দুস সবুর, অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান, অধ্যক্ষ আব্দুর নুর, অধ্যক্ষ শুয়াইবুর রহমান, অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ, সুপার মখছুদুল করিম, অধ্যক্ষ সিরাজুল আম্বিয়া ও কামরুজাম্মান চৌধুরী, মাওলানা সুলতান আহমদ, নজারুল ইসলাম, ছালেহ আহমদ, ফয়েজ আহমদ, আব্দুল জব্বার প্রমুখ। সম্মেলনে প্রধান অতিথিকে ব্যাজ পরিয়ে দেন সংগঠনের হবিগঞ্জ জেলা সাধারণ সম্পাদক আলী মুহাম্মদ চৌধুরী ও ফুল দিয়ে বরণ করেন মৌলভীবাজার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শামসুল হক।



 

Show all comments
  • শান্তনা ইসলাম ২৮ নভেম্বর, ২০১৭, ১১:১৮ এএম says : 0
    একদম ঠিক কথা বলেছেন। কারণ মাদ্রাসা পার্থিব শিক্ষার পাশাপাশি কোরআন হাদিসের শিক্ষাও দেয়া হয়। তাই তারা জ্ঞানী এবং খোদাভীরু হয়।
    Total Reply(0) Reply
  • সোহরাব ২৮ নভেম্বর, ২০১৭, ১১:১৯ এএম says : 0
    মাদরাসায় কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণে আপনার এই অক্লান্ত পরিশ্রম সফল হোক এটাই কামনা করি।
    Total Reply(0) Reply
  • মিলন ২৮ নভেম্বর, ২০১৭, ১১:২০ এএম says : 0
    ঐক্যবদ্ধভাবে জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের হাতকে শক্তিশালী রাখলে এমন কোনো দাবি থাকবে না, যা পূরণ হবে না। সে প্রমাণ আমরা পেয়েছি।
    Total Reply(0) Reply
  • Mumtaz Ahmad ২৮ নভেম্বর, ২০১৭, ১১:২৮ এএম says : 0
    Madrasa education is deeply embedded in Bangladeshi society and educational culture.Madrasa graduates are an integral part of the larger society and contribute in different spheres of public life. An important strength of madrasa education is that it has a strong support base among the common people, who are always ready to come forward and offer all sorts of assistance to this system of education as it is more akin to their religious beliefs and sentiments.
    Total Reply(0) Reply
  • Mynul Hasan Sagor ২৮ নভেম্বর, ২০১৭, ১১:২৯ এএম says : 0
    Madrasah education was based on religion. The subjects of their teaching were the Quran, the hadith, the duties and responsibilities of a true Muslim. So to Madrasha Education is the duty of all Muslim of the country.
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ জাকির হোসেন ২৮ নভেম্বর, ২০১৭, ১১:৩৪ এএম says : 0
    নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বলছি, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠানে সহকারি গ্রন্হাগারিক পদ থাকলেও দাখিল এবং আলিম মাদরাসায় উক্ত পদের এমপিও নেই কেন?
    Total Reply(0) Reply
  • ইমতিয়াজ ২৮ নভেম্বর, ২০১৭, ১১:৩৬ এএম says : 0
    বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি, দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন সাহেবের অতীতের রেকর্ড খুব ভালো। তিনি যে কাজে হাত দেন সেটা সফল হয়। তাই আমি আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে, জমিয়াতুল মোদার্রেছীন নিয়েও ষড়যন্ত্র হচ্ছে, সেই ব্যাপারে সবাইকে সর্তক থাকতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Wasim Akram ২৮ নভেম্বর, ২০১৭, ১১:৩৭ এএম says : 0
    I would like to say thank you Mr. Bahauddin, editor of The Daily Inqilab. I do believe you and I am sure if you try you could success, I will be with you.
    Total Reply(0) Reply
  • ওবায়েদুর রহমান রাব্বি ২৮ নভেম্বর, ২০১৭, ১১:৩৮ এএম says : 0
    ঐক্যবদ্ধভাবে আলেম সমাজ এবং রাজনৈতিক নেতৃত্ব এগোতে পারলে আগামী দিনে উপমহাদেশসহ বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের নেতৃত্ব আসবে
    Total Reply(0) Reply
  • MD Elias ২৮ নভেম্বর, ২০১৭, ১১:৩৮ এএম says : 0
    Here problem is that, we can't do any thing for us, because we are not united. If we are united, we will the ruler of the world.
    Total Reply(0) Reply
  • তুষার ২৮ নভেম্বর, ২০১৭, ১১:৪১ এএম says : 0
    মাদ্রাসা শিক্ষার জন্য আপনার পিতার অবদান এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা কোন দিন ভুলবে না। আপনিও একইভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা সর্বদাই আপনার এই কাজের সাথে আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো।
    Total Reply(0) Reply
  • কামরুজ্জামান ২৮ নভেম্বর, ২০১৭, ১১:৪২ এএম says : 0
    হে আল্লাহ দ্বীনের জন্য বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন, দৈনিক ইনকিলাব, আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দীন সাহেবসহ সকলের এই প্রচেষ্টাকে তুমি কবুল ও মঞ্জুর করে নেও।
    Total Reply(0) Reply
  • আরাফাত ২৮ নভেম্বর, ২০১৭, ১১:৪৩ এএম says : 0
    হে আল্লাহ পৃথিবীতে যারাই তোমার দ্বীন প্রতিষ্ঠার কাজে নিয়োজিত তাদের সকল ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করে তাদের প্রচেষ্টাকে তুমি কবুল করে নাও।
    Total Reply(0) Reply
  • হেমায়েত উদ্দিন ২৮ নভেম্বর, ২০১৭, ২:১৫ পিএম says : 0
    দেশে দেউলিয়াপনা, সমাজে অরাজকতা এবং চলমান শিক্ষাব্যবস্থায় নীতি-নৈতিকতাহীনতার বিপরীতে শিক্ষার্থীদের ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষার পাঠ্যসূচিতে জাগতিক ও আধ্যাত্মিকতার সমন্বয় দরকার--- এই বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুধাবন করা উচিত।
    Total Reply(0) Reply
  • আবু রায়হান ২৮ নভেম্বর, ২০১৭, ২:১৮ পিএম says : 0
    ছাত্রছাত্রীদের নৈতিকতা শিক্ষা দেয়া গেলে সমাজ থেকে সকল অনিয়ম দুর্নীতি দূর করা সম্ভব।
    Total Reply(0) Reply
  • জাবেদ ২৮ নভেম্বর, ২০১৭, ২:২০ পিএম says : 0
    শুধু মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি-দাওয়া আদায়ে সোচ্চার হলে হবে না, আমাদের সন্তানদের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে এবং সমাজের নেতৃত্বে নিয়ে আসতে হবে। তা হলেই আমাদের দাবি-দাওয়ার পাশাপাশি গঠন হবে কাক্সিক্ষত ইসলামি সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা।
    Total Reply(0) Reply
  • হেলাল উদ্দিন ২৮ নভেম্বর, ২০১৭, ৩:২০ পিএম says : 0
    এখানে সরকার ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের জন্য অনেক দিক নির্দেশনামুলক বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। আশা করি বিষয়টি সবাই আমলে নিবেন ।
    Total Reply(0) Reply
  • Nayan ২৮ নভেম্বর, ২০১৭, ৩:৩০ পিএম says : 0
    জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের হাতকে শক্তিশালী করতে সকলকে ঐকবদ্ধ থাকতে হবে। ঐক্যবদ্ধ থাকলে, মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরির বয়স বৃদ্ধি, ইবতেদায় স্বতন্ত্র মাদরসা শিক্ষাব্যবস্থা, চাকরি জাতীয়করণসহ অন্যান্য দাবি পূরণ হয়ে যাবে। ইনশা আল্লাহ
    Total Reply(0) Reply
  • শমশের আলী ২৮ নভেম্বর, ২০১৭, ৪:১১ পিএম says : 0
    মাদরাসা শিক্ষার প্রতি মানুষের নির্ভরতা বাড়ছে। এই নির্ভরতা কাজে লাগিয়ে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • রোমান ২৮ নভেম্বর, ২০১৭, ৪:১৫ পিএম says : 0
    কারণ মাদ্রাসা শিক্ষিতরাই এই সমাজের মুল স্তম্ভ। আমাদের দেশ যতটুকু শান্তি ও সমৃদ্ধিতে আছে সেক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অবদান তাদের।
    Total Reply(0) Reply
  • মাঈনুল ইসলাম ২৮ নভেম্বর, ২০১৭, ৪:১৫ পিএম says : 0
    দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে এখন মাদ্রাসা শিক্ষাকে এগিয়ে যেতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • রুহুল আমীন ২৮ নভেম্বর, ২০১৭, ৪:১৭ পিএম says : 0
    যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন মাদ্রাসা শিক্ষার অগ্রযাত্রাকে কেউ থামাতে পারবে না। ইনশা আল্লাহ
    Total Reply(0) Reply
  • আনিসুর রহমান ২৮ নভেম্বর, ২০১৭, ৪:১৮ পিএম says : 0
    ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির জন্য শ্রেষ্ঠ শিক্ষা ব্যবস্থা হচ্ছে মাদ্রাসা শিক্ষা।
    Total Reply(0) Reply
  • আলী আকবর ২৮ নভেম্বর, ২০১৭, ৪:১৮ পিএম says : 0
    প্রাইমারী স্কুলের মত এবতেদায়ী মাদ্রাসাগুলোকেও সমান সুযোগ সুবিধা দিতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • মামুন তালুকদার ২৮ নভেম্বর, ২০১৭, ৪:১৯ পিএম says : 0
    এদেশে ইসলাম ও মাদরাসা শিক্ষার বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা আমরা আপনার পাশে আছি।
    Total Reply(0) Reply
  • Shahadat ২৮ নভেম্বর, ২০১৭, ৪:১৯ পিএম says : 0
    ইসলামের বিরুদ্ধে যারা যত ষড়যন্ত্র করুক না কেন তারা কখনও সফল হতে পারবে না। এটা ঐতিহাসিক সত্য
    Total Reply(0) Reply
  • সবুজ ২৮ নভেম্বর, ২০১৭, ৪:২৩ পিএম says : 0
    দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ হচ্ছে ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত আলেম ওলামা মাশায়েখগণ। তাদের হাতেই দেশ সবচেয়ে বেশি নিরাপদ। এজন্যই মাদরাসা শিক্ষার প্রতি মানুষের নির্ভরতা বাড়ছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Hasibur Rahman ২৮ নভেম্বর, ২০১৭, ৪:২৩ পিএম says : 0
    Allah amader sokol prochesta ke kobul koruk & Islam er khedmot korar toufiq dan koruk. Amin
    Total Reply(0) Reply
  • Habibur Rahaman ২৮ নভেম্বর, ২০১৭, ৪:২৭ পিএম says : 0
    এবতেদায়ী মাদরাসা ঠিক করতে না পারলে শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে সবাইকে আন্তরিক ও সজাগ হতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Maruf ২৮ নভেম্বর, ২০১৭, ৭:১৭ পিএম says : 0
    মাদরাসা শিক্ষা ও শিক্ষকদের একটি আদর্শ আছে। জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রতিযোগিতায় তাদের নেতৃত্ব দিতে হবে। মুসলিম জাহানকে পথনির্দেশ করতে পারে এমন গবেষণাপত্র বের করতে হবে। তাহলেই কেবল তার স্বপ্ন পূরণ হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • মানিক ২৮ নভেম্বর, ২০১৭, ৭:১৯ পিএম says : 0
    ইসলাম ও মাদ্রাসা শিক্ষার ঝান্ডা নিয়ে আপনারা এগিয়ে চলুন। এদের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইসলাম ও মাদ্রাসা শিক্ষার সাথে সব সময়ই ছিলো, আছে এবং থাকবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: এ এম এম বাহাউদ্দীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ