Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চবিতে ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজের মায়ের ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ

কাফনের কাপড়ে খুনিদের নাম!

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৮ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

হাতে কাফনের কাপড়। তাতে লেখা সন্তানের ‚খুনিদের’ নাম। দু’হাতে সে কাপড়টি ধরে কাঁদছেন তিনি। তিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরী মা জায়েদা আমিন চৌধুরী। গতকাল (সোমবার) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চত্বরে এমন এক ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ জানান তিনি। সেখানে এক ঘণ্টা অবস্থান করে সন্তান হত্যার বিচার চেয়েছেন এ মা। এসময় সন্তানহারা এই মায়ের আহাজারিতে বাতাস ভারী হয়ে উঠে। তিনি বলেন, সব সাক্ষ্য-প্রমাণের পরও খুনিদের বিচার কেন হচ্ছে না? খুনিরা প্রকাশ্যে ঘুরছে। পুলিশ তাদের ধরছে না। নিশ্চয় টাকার কাছে প্রশাসন হার মানছে। আমি যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন ছেলের হত্যাকারীদের বিচার চেয়ে যাব।
দিয়াজের বোন জোবাঈদা সরোয়ার চৌধুরী নিপা জানান, দিয়াজ হত্যার বিচার না পেয়ে তা মা ভেঙে পড়ছেন। শেষ পর্যন্ত নিজেই ব্যানারে খুনিদের নাম লিখে দিয়াজ হত্যার বিচার দাবি করেছেন। দীর্ঘ একবছর দিয়াজের খুনিদের বিচারের দাবিতে আদালত আর রাজপথে ঘুরছেন সন্তানহারা মা জায়েদা আমিন। দিয়াজের আইনজীবী বোনও এই লড়াইয়ে শামিল। টেন্ডারবাজি নিয়ে চবি ছাত্রলীগের বিরোধের বলি হন মেধাবী ছাত্র দিয়াজ ইরফান চৌধুরী। খুন হওয়ার আগে বাংলাদেশ ব্যাংক ও গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইতে চাকরিও হয় তার। চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগেই রাজনৈতিক সহকর্মীদের হাতে নির্মম খুনের শিকার হয় এ ছাত্রলীগ নেতা।
তবে এক বছর পেরিয়ে গেলেও দিয়াজ ইরফান চৌধুরী হত্যা মামলার কোনো আসামি গ্রেফতার হয়নি। আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরছে। তাদের অনেকে মিছিল-সমাবেশে অংশ নিচ্ছে। পুলিশ তাদের ধরছে না। গত বছরের ২০ নভেম্বর রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ ক্যাম্পাসে নিজের বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় দিয়াজের ঝুলন্ত লাশ। তার পরিবারের দাবি তাকে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তবে পুলিশ ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে দাবি করে। পুলিশ বাদী হয়ে মামলার পর দ্রæত লাশের ময়নাতদন্ত করে আত্মহত্যা বলে প্রতিবেদনও বের করে আনে। পরে দিয়াজের মায়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ঢাকা মেডিক্যালের একদল চিকিৎসক পুন: ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। ওই তদন্ত প্রতিবেদনে নিশ্চিত করা হয় আত্মহত্যা নয় দিয়াজকে খুন করে লাশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। গত বছরের ২৪ নভেম্বর দিয়াজের মা বাদী হয়ে আদালতে হত্যা মামলা করেন। তাতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক ১০ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। আসামি করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেনকেও। পরে আদালতে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোনায়া জারি করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ছাত্রলীগ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ