Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

শ্যালায় কয়লাবাহী কোস্টারডুবি : ক্ষতিপূরণ মামলা

প্রকাশের সময় : ২১ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বাগেরহাট জেলা সংবাদদাতা : সুন্দরবনের শ্যালা নদীর হরিণটানা এলাকায় তলা ফেটে ১ হাজার ২৩৫ টন কয়লা নিয়ে সি হর্স-১ কোস্টার ডুবির ঘটনায় ৫ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেছে বন বিভাগ।
আজ সোমবার সকালে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ফরেস্টার সুলতান মাহমুদ বাদী হয়ে সি হর্স-১ কোস্টারের মালিক, কোস্টারের মাস্টারসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে বাগেরহাটের শরণখোলা থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় আসামিরা হলেন কোস্টার মালিক মনিরা কবির, চট্টগ্রাম হালিশহরের সমতা শিপিং ট্রেডার্সের মালিক মো. আজিজুর রহমান, ব্যবস্থাপক জামাল হোসেন, কোস্টারের মাস্টার সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, পাইলট ইসমাইল ফরাজী এবং কোস্টারে সুকানি সাইদুল ইসলাম।
এদিকে সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে নতুন করে দুর্ঘটনা এড়াতে নৌপথটি সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
অন্যদিকে কয়লাবাহী কোস্টার ডুবির ৪০ ঘণ্টা পার হলেও তা উদ্ধারকাজ এখনো শুরু করা যায়নি। কবে নাগাদ তা শুরু করা যাবে, তা এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারছে না বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ।
কোস্টার ডুবির পর জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের গঠিত দুটি তদন্ত কমিটি তাদের তদন্ত কাজ শুরু করেছে। কয়লায় নদীদূষণ, পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করবে ওই কমিটি।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম বলেন, কয়লাবাহী কোস্টার ডুবিতে সুন্দরবনের জলজ প্রাণী, পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতি হয়েছে। তাই কোস্টার মালিক ও কয়লা আমদানিকারকের কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলাটি করা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক (ডিডি) মো. আশরাফ হোসেন বলেন, শ্যালা নদীতে নতুন করে দুর্ঘটনা এড়াতে আজ সোমবার সকাল থেকে সব ধরনের পণ্যবাহী নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শ্যালা নদীর হরিণটানার যে এলাকায় কোস্টারটি ডুবে রয়েছে, সেই স্থানটি মার্কিং করে বয়া দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে।
কোস্টারটির উদ্ধারকাজ শুরুর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যেখানে কোস্টারটি ডুবে রয়েছে সেখানকার পানির গভীরতা ৩০ থেকে ৩২ ফুট। ডুবে যাওয়া সি হর্স কোস্টারের ওজন প্রায় সাড়ে ৭০০ মেট্রিক টন। তারপর কয়লা রয়েছে ১ হাজার ২৩৫ মেট্রিক টন। খুলনা ও বরিশালে আমাদের যে উদ্ধার যান রয়েছে তার উত্তোলন ক্ষমতা মাত্র আড়াই শ মেট্রিক টন। এ কারণে ডুবে যাওয়া কোস্টারটি উদ্ধারে সময় লাগবে। বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। এ ছাড়া আমরা কোস্টার মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।’
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ৯ ডিসেম্বর সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে ওটি সাউদার্ন স্টার-৭ নামে একটি অয়েল ট্যাংকার ডুবে যায়। ওই সময় থেকে সুন্দরবনের এই নৌপথটি দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পরিবেশবাদী সংগঠন দাবি জানিয়ে আসছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ