Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চলনবিলে রসুন চাষে ব্যস্ত কৃষক

| প্রকাশের সময় : ২৮ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চাটমোহর (পাবনা) থেকে মো. আফতাব হোসেন : পাবনার চাটমোহরসহ চলনবিলে আমন ধান কাটা শেষে সাদা সোনা হিসেবে আখ্যায়িত রসূন আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। কম খরচে বাড়তি লাভের আশায় ব্যাপকভাবে বিনাহালে রসূন আবাদ শুরুও হয়েছে। অপেক্ষাকৃত উঁচু জমিগুলোতে চলছে রসূনের বীজ রোপণের কাজ। রসূন চাষকে কেন্দ্র করে এ অঞ্চলের পুরুষের পাশাপাশি কৃষক বধূরাও ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। কৃষক-কিষাণী, কৃষিশ্রমিক ছাড়াও শিশুরাও এখন রসূন রোপণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। রসূন আবাদকে ঘিরে ’শ ’শ শ্রমিকের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। গত প্রায় এক দশক ধরে এই প্রথায় রসূন চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষক। ফলন ভালো হওয়ায় চলনবিল অঞ্চলে বিনা হালে এই রসূন চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। চলতি মওসুমে চাটমোহরসহ চলনবিলাঞ্চলের ৯ উপজেলায় ২২ হাজারের বেশি হেক্টর জমিতে রসূন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। সার্বিকভাবে চলনবিল অঞ্চলের চাটমোহর, গুরুদাসপুর, সিংড়া, বড়াইগ্রাম, তাড়াশসহ বেশ কয়েকটি উপজেলায় প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে বিনাহালে রসূন চাষের সম্ভাবনা দেখছে কৃষি অধিদফতর। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আমন কাটার পর পরই জমিতে রোপণ করা হচ্ছে রসুনের বীজ। তাছাড়া রসূন চাষকে কেন্দ্র করে গাঁয়ের নারীরা রসূন ভাঙার কাজ করছেন। এতে তাদের প্রতি মণ রসূন ভাঙার মজুরি দেয়া হচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। এক মণ রসূন ভাঙতে সময় লাগে দুই দিন। চলনবিল অঞ্চলের কয়েক হাজার নারী এখন রসূন ভাঙার কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
কৃষকেরা জানান, চলতি মওসুমে প্রতি বিঘা রসূন চাষে কৃষকের ব্যয় হচ্ছে ৩০-৩২ হাজার টাকা। কৃষকদের কাছে বিনাহাল পদ্ধতিতে রসূন চাষ বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে। চাটমোহরে পাঁচ হাজার হেক্টর জমিতে বিনাহালে রসূন আবাদ হবে বলে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে। চাটমোহরের ছাইকোলা গ্রামের কৃষক আ: মমিন ধানকুনিয়া গ্রামের কৃষক তোরাব আলী জানান, তারা চলতি বছর ছয় বিঘা জমিতে রসূন আবাদ করবেন। বিগত কয়েক বছর ধরে রসূনের ভালো ফলন হয়েছে। এবার আশানুরূপ দামও পাওয়ায় আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন তারা। কৃষিতে খরচ বাড়ায় গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে প্রতি বিঘায় কিছুটা বেশি খরচ হচ্ছে। চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হাসান রশীদ হুসাইনী বলেন, গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে চলনবিলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক হারে রসূন চাষের সম্ভাবনা রয়েছে। চাটমোহরে এবার পাঁচ হাজার হেক্টর জমিতে রসূন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। মাঠপর্যায়ে গিয়ে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ