Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

তথ্য-প্রযুক্তি খাতে দেশি কোম্পানির নেতৃত্ব চান পলক

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

দেশের গার্মেন্টস ও টেলিকম খাতের মতো তথ্য-প্রযুক্তি খাত যেনো বিদেশি কোম্পানীদের দখলে না যায় সেজন্য সকর্ত হওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, দেশের বাংলাদেশে ব্যাংকিং খাতে নেতৃত্ব দিচ্ছে স্থানীয় ব্যাংকগুলো, কিন্তু টেলিকম খাত বিদেশি কোম্পানিগুলোর দখলে। তবে আমরা ওপেন ইকোনমি ও মার্কেটে বিশ্বাস করি। এজন্য কাউকে আসতে বাধা দিতে পারবো না। কিন্তু দেশিয় কোম্পানি দিয়ে তাদের সাথে প্রতিযোগিতা করতে চাই। গতকাল (রোববার) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সম্মেলন কক্ষে টেলিকম খাতের প্রতিবেদকদের সংগঠন টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের (টিআরএনবি) সদস্যদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
পলক বলেন, আমরা চাই বিদেশি কোম্পানি এসে বাংলাদেশকে যেন গ্রাস করতে না পারে সেজন্য আমাদের একটু সাবধান হতে হবে। ভারতে যেমন লোকাল কোম্পানিগুলো রিল্যায়েন্স, টাটা কিংবা এয়ারটেল লিড করছে। এখানে আমরা যদি সেই পরিবেশ, পলিসি, রেগুলেটরি সৃষ্টি করতে পারি, তাহলে সে সুযোগটা তৈরি করতে পারবো। বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে দেশি কোম্পানির প্রতিদ্বন্ধিতা নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, উবার যেমন মার্কেটে প্রবেশ করে ভেইকল শেয়ারিং থেকে মটরবাইকে চলে আসতে বাধ্য হল কারণ তাকে কমপিট করেছে আমাদের পাঠাও লোকাল প্রডাক্ট। ফুডপান্ডা একটি জয়েন ভেঞ্চার কোম্পানি তাকে কমপিট করছে হাঙ্গরি নাকি। আমরা চাই আমাদের দেশে অ্যামাজন, আলীবাবা, ফ্লিপকার্ডের মতো আজকের ডিল বিডিজবস আস্তে আস্তে গ্রো করবে। বাংলাদেশে মোট মোবাইল ফোন গ্রাহক ১৪ কোটি সাত লাখের বেশি, যার অধিকাংশই বিদেশি বিনিয়োগের বিদেশি নিয়ন্ত্রণাধীন কোম্পানির গ্রাহক। ৬ কোটি ৩৯ লাখ গ্রাহক নিয়ে সবার উপরে আছে গ্রামীণ ফোন, তারপরে রবির গ্রাহক চার কোটি ১২ লাখের বেশি, তৃতীয় অবস্থানে থাকা বাংলালিংকের গ্রাহক সংখ্যা তিন কোটি ২৪ লাখের কাছাকাছি। বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত¡ মোবাইল অপারেটর টেলিটকের গ্রাহক সংখ্যা মাত্র ৩২ লাখের কিছু বেশি।
বাংলাদেশের সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট কোম্পানিগুলো বিদেশে কাজ করছে জানিয়ে পলক বলেন, আইটি খাতে আয় আট বছরে ২৬ থেকে ৮০০ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। পলিসি ইমপ্রæভমেন্টের মাধ্যমে আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে আইটি খাতে দ্রæত প্রবৃদ্ধি হবে, চূড়ান্ত টার্গেট ৫ বিলিয়ন ডলার ২০২১ সালের মধ্যে এবং ২০ লাখ ছেলে-মেয়ের কর্মসংস্থান হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের খসড়া ২৯ নভেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত হওয়ার পর তা খুব শিগগির মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করা হবে।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী, টিআরএনবি সভাপতি রাশেদ মেহেদি ও সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ বক্তব্য রাখেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ