বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আওয়ামী লীগ জিয়া পরিবার ও জনগণকে সবচেয়ে বেশি ভয় পায়। এ জন্যই তারা আগামী নির্বাচন নিয়ে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ সিনিয়র নেতাদের নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু এ কথা স্পষ্টভাবে বলছি- এই সরকারে অধীনে এবং খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে কোনো নির্বাচন হবেনা। গতকাল ( রোববার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জিয়া পরিষদের উদ্যোগে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৩ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘গণতন্ত্র ও উন্নয়নে তারেক রহমান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ প্রসঙ্গে বলেন, তাকে আমি ভালোভাবে চিনি। ভদ্রলোককে আমি ভালোই জানতাম, কিন্তু তিনি সেদিন হঠাৎ করে বললেন জিয়াউর রহমানকে চেনেন না! তখন মনে হল এই তোফায়েল সাহেবকে তো আমিও চিনি না। সম্ভবত এমন হতে পারে তার বার্ধক্যজনিত কারণে সামান্য স্মৃতিভ্রম হয়েছে। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানকে আওয়ামী লীগের চেনার দরকার নাই। কারণ তাকে চিনলে অনেক কিছু মেনে নিতে হবে। আওয়ামী লীগ সবসময় মিথ্য কথা বলে। আমাদের দেশে এতো ভালো ভালো দল আছে তার মধ্যে একটা মিথ্যাবাদী দল থাকাও দরকার। তোফায়েল সাহেব কি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন যে তিনি জিয়াউর রহমানকে চেনেন না? পারবেন না। কাউকে খুশি করতে ইতিহাস বিকৃতি করে তিনি এ কথাটা বলেছেন। যা অপ্রত্যাশিত।
মির্জা আব্বাস বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান তো আজকের আওয়ামী লীগের জন্মদাতা। কারণ তিনি বাকশালের গর্ভ থেকেই এই আওয়ামী লীগকে বের করেছিলেন। একদলীয় বাকশাল ছিল তখন আওয়ামী লীগ ছিল না। তিনি বাকশাল উঠিয়ে দিলেন এবং এই আওয়ামী লীগের লাইসেন্সও দিলেন। তো সেই তোফায়েল জিয়াউর রহমানকে চেনেন না! ভুল বলে ফেলছেন ভাই, উনার পক্ষ থেকে আমি ক্ষমা চাচ্ছি।
‘দেশে দুর্নীতির অর্ধেকই করছে রাজনীতিবিদরা’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মির্জা আব্বাস বলেন, এটাই যদি হয় দয়া করে আপনারা দুর্নীতি বন্ধ করে দেন, তাহলে, দেশে দুর্নীতি পুরোটাই বন্ধ হয়ে যাবে। আজকে আওয়ামী লীগের দুর্নীতির কারণে দেশ ডুবতে চলেছে।
তিনি বলেন, তারেক রহমান দেশের মানুষের প্রয়োজনেই বাংলাদেশে ফিরবেন। কেউ তাকে ঠেকাতে পারবেনা। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এই সরকার প্রমাণিত করতে পারেনি। আজকে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তিনি জাতির জন্য যোগ্য নেতা। আওয়ামী লীগ যুদ্ধের সময় দেশ ছেড়ে পালিয়েছিল। আর সেদিন শহীদ জিয়া যুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে দেশবাসীকে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে লড়াই করে দেশ স্বাধীন করেছেন।
জিয়া পরিষদের সভাপতি কবির মুরাদের সভাপতিত্বে এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল্লাহিল মাসুদের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, জিয়া পরিষদের নেতা ড. মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, জে. কিউ মোস্তাফিজুর রহমান, প্রফেসর ড. এমতাজ হোসেন, প্রফেসর ডা. আলিমুজ্জামান, প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ, রুহুল আলম, খন্দকার শফিকুল হাসান (রতন), ড. মোস্তফা কামাল পাশা, আক্তার হোসেন ও শহীদুল ইসলাম শহীদ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।