পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রকৃত খেলাপি ঋণ ২০ শতাংশ হলেও জিডিপিতে দেখানো হয় মাত্র ১২ শতাংশ। খেলাপি ঋণ বাড়ার প্রকৃত কারণ স্পষ্ট না করে অধিকাংশ ব্যাংকে খেলাপি ঋণের তথ্য গোপন করছে। গতকাল রবিবার রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে শুরু হওয়া দুদিনব্যাপী বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলনে-২০১৭ বক্তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে। প্রধান অতিথি হিসেবে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।
এ সময় তিনি বলেন, ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদ, শীর্ষ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের দায়-দায়িত্ব এবং মূলধন সংরক্ষণে বিভিন্ন ধরণের নীতিমালা করে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। তিনি বলেন, এই সম্মেলনে যে সকল পেপার উপস্থাপনা করা হবে তার মাধ্যমে ব্যাংকিং খাতের বিভিন্ন বিষয় উঠে আসবে। যা আমাদের নীতিমালা তৈরিতে ভূমিকা রাখবে।
প্যানেল আলোচনায় ট্রাস্ট ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক মঈনউদ্দিন আহমেদ বলেন, অধিকাংশ ব্যাংকে খেলাপি ঋণের তথ্য গোপন করে থাকে। জিডিপিতে খেলাপি ঋণ ১২ শতাংশ দেখানো হয়ে থাকে। যদিও জিডিপিতে প্রকৃত খেলাপি ঋণ ২০ শতাংশ।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, খেলাপি ঋণের উপযুক্ত কোনো কারণ স্পষ্ট নয়। কি কারণে খেলাপি ঋণ বাড়ছে সেটি তুলে আনতে হবে। ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদ নাকি ব্যবস্থাপনা কমিটির কারণে খেলাপি ঋণ বাড়ছে সেটা দেখতে হবে।
বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি প্রফেসর মো. ইয়াসিন আলী বলেন, শরীয়াভিক্তিক ব্যাংকগুলো সঠিকভাবে তাদের নিয়ম পালন করছে না। এই ব্যাংকগুলোর জন্য একটি আইন প্রনয়নের সময় হয়ে গেছে। এছাড়া বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে ব্যাংকারদের চাকুরীর কোনো নিরাপত্তা নেই।
সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধূরী। তিনি ব্যাংকিং খাতের উপর বিভিন্ন সেশনে আলোচনার বিষয়বস্তুর রিভিউ পাঠ করেন। মূল প্রবন্ধে বলা হয়, বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর উচিত সঠিকভাবে অডিট কমিটি গঠন করা এবং অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সদস্যবৃন্দ নিয়ে বোর্ড গঠন করা যা সুষ্ঠু ঝুঁকি ব্যাবস্থাপায় সহায়ক হবে। স্বাগত বক্তব্য দেন বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলন ২০১৭ বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর শাহ মো. আহসান হাবীব।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর মাইক্রো ব্যাংকিং এনভায়রনমেন্ট শীর্ষক অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক শিবলি রুবাইয়াতুল ইসলাম।
বিআইবিএমের মহাপরিচালক তৌফিক আহমদ চৌধূরীর সভাপতিত্বে সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের উদ্বোধনী অধিবেশনে ব্যাংকিং খাতের বিভিন্ন বিষয়ে নয়টি প্রবন্ধ আলোচিত হয়েছে। এই সেশনটির সভাপতি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অর্থ মন্ত্রালয়ের সচিব (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ মোসলিম উদ্দিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। ড. ফয়সাল আহমেদ, প্রধান অথনীতিবিদ, বাংলাদেশ ব্যাংক, হেলাল আহমদ চৌধুরী, সুপার নিউমারারি অধ্যাপক, বিআইবিএম, মোখলেছ উদ্দীন আহমেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, এনসিসি ব্যাংক লিমিটেড এবং ড. সরওয়ার উদ্দিন আহমেদ, ডিন স্কুল অব বিজনেস, ইনডিপেন্টডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ।
এক প্রবন্ধে ইডিফের গুরুত্ব, বর্তমান অবস্থান, এবং ভবিষ্যত প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে ব্যাখা করা হয়েছে। প্রবন্ধটির লেখকরা এতে কিছু বিশেষ কার্যক্রমের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। যেমন-ইডিএফ পাওয়ার লিড টাইম, ইডিএফ ফান্ডের ভিন্নমুখীকরণ ঝুঁকি কমানো, ইডিএফের উপর্যুক্ত পর্যবেক্ষণ স্টকহোল্ডারদের একীভূতকরণইত্যাদি বিবেচনার মাধ্যমে ইডিএফ সুবিধার উত্তম সদ্ব্যব্যবহার করা। দ্বিতীয় প্রবন্ধে গবেষকগণ অবিজ্ঞতা বেতন, বেতন ব্যতিরেকে আর্থিক সুবিধা, কর্মনিশ্চয়তা, কর্মপরিবেশ, কর্মসময়, স্বায়ত্বশাসন, সময়োপযোগী অবকাশ, কর্মক্ষমতা মূল্যায়ন, পুরস্কার বিতরণী এবং প্রচারমূলক সুযোগ ইত্যাদি উপাদানসমূহকে কর্ম সন্তুষ্টির সাথে সুনিশ্চিত ও গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে প্রস্তাবিত করেচেন। সেশনের তৃতীয় প্রবন্ধে বলা হয়েছে যে, কর্মচারীদের বর্তমান চাকুরীতে ধরে রাখার পেছনে সবচেয়ে শক্তিশালী প্রভাব হিসাবে কাজ করে বেতনভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা , একইভাবে যদি কর্মচারীদের প্রভূত হয় যে, তাদের বর্তমান কর্মসংস্থানের অনুশীলন তাদেও পেশাগত অগ্রগতিকে সমর্থন করে, তবেই তারা সেই ব্যাংকে থাকতে আগ্রহী হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।