Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

উদ্ধার করতে যাওয়ায় নারীসহ ৩ জনকে কুপিয়ে জখম

চোখ-মুখ বেঁধে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টা

| প্রকাশের সময় : ২৭ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে শাহনাজ আক্তার মুন্নি নামে ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে চোখ-মুখ বেঁধে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করতে যাওয়ায় নারীসহ তিন প্রতিবাদীকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে। শনিবার রাতে উপজেলার গন্ধর্বপুর নামাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শাহনাজ আক্তার মুন্নি উপজেলার গন্ধর্বপুর নামাপাড়া এলাকার আবু সাঈদের মেয়ে। শিক্ষার্থীর মা তহুরা বেগম জানান, তার মেয়ে শাহানাজ আক্তার মুন্নি স্কুলে আসা যাওয়ার সময় একই এলাকার ইসমাইল বিভিন্ন ধরনের কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কু-প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় শাহানাজ আক্তার মুন্নিকে বড় ধরনের ক্ষতি করবে বলে বিভিন্ন ধরনের ভয় ভীতি দেখায় ইসমাইল। শনিবার রাতে তার মেয়ে গন্ধর্বপুর নামাপাড়া তার ননাশের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার সময় লম্পট ইসমাইল রাস্তায় একা পেয়ে শাহানাজ আক্তার মুন্নিকে ওড়না দিয়ে চোখ-মুখ বেঁধে জোরপূর্বক নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। মুন্নির চিৎকার শুনে ভাগিনা মিজানুর রহমান, ননাশ নাসিমা বেগম ও ননাশের স্বামী আক্তার হোসেন গিয়ে বাঁধা প্রদান করলে ইসমাইল ও তার সহযোগী রুস্তম, কাশেম, আজাহার আলীসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের এলোপাথারিভাবে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। এসময় হামলাকারীরা আক্তার হোসেনের কাছ থেকে নগদ ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানিয়েছেন, বাবা রুস্তম আলীর প্রভাব খাটিয়ে ইসমাইল একের পর এক অন্যায় মুলক কাজ করে আসছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ