পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পোপ ফ্রান্সিস আজ মিয়ানমারে সফরে যাচ্ছেন। তিনদিনের সফরে তিনি দেখা করবেন দেশটির নেত্রী অং সান সুচি এবং সেনা বাহিনী প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং এর সঙ্গে। কিন্তু মিয়ানমারে সফরের সময় কোন বৈঠকে কিংবা ভাষণে রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার না করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে পোপকে। আর পরামর্শটি এসেছে মিয়ানমারের কার্ডিনাল আর্চবিশপ চার্লস মোং বো’র কাছ থেকে। সাধারণত এ ধরনের পরামর্শে কখনো পোপের কান দেবার নজির নেই। কিন্তু এক সময় বার্মা নামে পরিচিত মিয়ানমারে প্রথমবারের মত কোন পোপের সফরে অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক এড়াতে চায় ভ্যাটিকান। সে কারণে এবার তিনি পরামর্শটি মেনে চলবেন বলেই ইঙ্গিত দিয়েছে ভ্যাটিকান।
পোপকে একই পরামর্শ দিয়েছিলেন সাবেক জাতিসংঘ মহাসচিব কফি আনানও।
‘কূটনৈতিক দিক থেকে এটা বেশ ইন্টারেস্টিং হতে যাচ্ছে’ - বলেন ভ্যাটিকান মুখপাত্র গ্রেগ বার্ক। মিয়ানমার বা বার্মায় এটাই কোন পোপের প্রথম সফর। দেশটিতে ৬ লাখ ৬০ হাজার ক্যাথলিক খ্রিস্টান বাস করে। বুধবার ইয়াঙ্গন শহরে এক উন্মুক্ত সমাবেশে পোপ উপস্থিত থাকবেন। এ ছাড়া তিনি বৌদ্ধ নেতাদের সাথেও দেখা করবেন।
ভ্যাটিকানের কর্মকর্তারা বলছেন, পোপ মিয়ানমার সফরের সময় মৈত্রী পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং সঙ্কট সমাধানের জন্য সংলাপের ওপর জোর দেবেন। মিয়ানমার সেনা বাহিনীর নির্যাতন থেকে বাঁচতে গত তিন মাসে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলমান পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এ সহিংসতাকে জাতিসংঘ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাতিগত শুদ্ধি অভিযান বা ‘এথনিক ক্লেনজিং’ বলে অভিহিত করেছে। মিয়ানমার থেকে পোপ বাংলাদেশে আসবেন।
ভ্যাটিকান থেকে জানানো হয়েছে, পোপের এই সফর মিয়ানমার থেকে জাতিসংঘ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভাষায় ‘জাতিগত নিধনের’ শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন, সঙ্কট নিরসনে আলোচনা এবং আন্তর্জাতিক উদ্যোগ সমূহকে বেগবান করার কাজকে উৎসাহিত করবে।
বাংলাদেশে সফরের সময় শুক্রবার ঢাকায় রোহিঙ্গাদের একটি ছোট প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পোপের দেখা করবার কথা রয়েছে।
পোপের সফর রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে সাহায্য করবে : কারডিনাল
বাংলাদেশে নিযুক্ত ক্যাথলিক প্রধান কর্মকর্তা পাট্রিক ডি’ রোজারিও আশা প্রকাশ করেছেন যে, পোপ ফ্রান্সিসের মিয়ানমার সফর রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অপসারণে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে। প্রতিবেশি দুই রাষ্ট্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্রের মধ্যে রোহিঙ্গা সঙ্কট এখন বৈশ্বিক আলোচনার শীর্ষে। গত সপ্তাহে বাংলাদেশ সীমান্তে বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবিরে অবস্থানরত বিপুলসংখ্যক শরণার্থীর মধ্যে কিছু সংখ্যককে মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে চুক্তি হয়েছে, তবে কার্ডিনাল পাট্রিক ডি’ রোজারিও হুঁশিয়ার করেন যে, পরিস্থিতি ভয়াবহ এবং এর সমাধান বেশ জটিল। ঢাকার আর্চ বিশপ ডি’রোজারিও ফ্রান্সিসের সফর প্রক্কালে এএফপিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।’
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ বিষয়ে প্রত্যাশী এবং হলি ফাদারের সফর অনেককে সেদিকে ধাবিত করবে।’ জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা বলেছে, রোহিঙ্গাদের নিরাপদে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ফিরিয়ে আনার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি এবং বাংলাদেশ তাদের জন্যে প্রকৃতপক্ষে অস্থায়ী আশ্রয় প্রদান করেছে। সূত্র : বিবিসি ও এএফপি।
পোপের বাংলাদেশ সফরে থাকবে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা-ডিএমপি কমিশনার
খ্রিস্ট ধর্মের রোমান ক্যাথলিক শাখার প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস আগামী ৩০ নভেম্বর তিনদিনের সফরে বাংলাদেশে আসছেন। তাঁর (পোপ) আগমন উপলক্ষে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে সবধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। ডিএমপি’র সদর দপ্তরে গতকাল রোববার নিরাপত্তা, আইন-শৃংখলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্তে এক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পুলিশ কমিশনার বলেন, পোপ ফ্রান্সিস বিশ্বের অন্যতম একজন সম্মানিত ব্যক্তি। জাতীয় স্বার্থে তাঁকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেয়া হবে। এজন্য সফরের সকল ভেন্যু, হোটেল ও বিমানবন্দরকেন্দ্রিক থাকবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এসময় পোশাকে এবং সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছড়া স্ট্যান্ডবাই হিসেবে প্রস্তুত থাকবে সোয়াট ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা। তিনি বলেন, ধর্মগুরু পোপের আগমন সফল করতে আগত বিদেশি অতিথিদের জন্য নির্ধারিত হোটেল, সম্মেলনস্থলসহ প্রত্যেকটি ভেন্যু সুইপিংসহ সিসি ক্যামেরা দিয়ে মনিটরিং করা হবে। আর্চওয়ে স্থাপন এবং পরুষের পাশাপাশি নারী স্বেচ্ছাসেবক থাকবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।