Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০২৪, ২৫ আষাঢ় ১৪৩১, ০২ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

টেকনাফে লবণ মাঠে নেমেছেন চাষিরা

| প্রকাশের সময় : ২৬ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মুহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান, টেকনাফ (কক্সবাজার) থেকে : সীমান্ত উপজেলা টেকনাফ পৌরসভাসহ নাফ নদী উপক‚লীয় চার ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে ১৮ লাখ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মাঠে নেমেছেন লবণ চাষীরা। টেকনাফ উপজেলার পৌরসভা, হোয়াইক্যং, হ্নীলা টেকনাফ সদর, সাবরাং ও শাহপরীরদ্বীপ ২৮৫০ একর মাঠে লবণ উৎপাদন করবেন ২ হাজার ৬শ’ ৮৫ প্রান্তিক চাষি। আমন মৌসুম শেষে ধান কাটার পর ইতিমধ্যে লবণ উৎপাদনের মাঠ তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
টেকনাফ উপজেলা বিসিক অফিসে দায়িত্বে নিয়োজিত মিজানুর রহমান বলেন, উপজেলার পৌরসভাসহ চার ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে ২ হাজার ৮শ’ ৫০ একর জমিসহ জেলার ১৮ লাখ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মাঠে নেমেছেন প্রান্তিক চাষিরা। চলতি মাসের মাঝামাঝি থেকে লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যে মাঠ পরিচর্যা পুরোদমে শুরু করেছেন। ডিসেম্বর নাগাদ লবণ উৎপাদন শুরু হবে এবং আগামী ২০১৮ সালের এপ্রিল পর্যন্ত। টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মৌলভী পাড়ার ৩শ’ কানির লবণ মাঠের মালিক ফজল করিম বলেন, গত ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে লবণের মৌসুমে দাম মানানসই ও আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় চাষিরা আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছিল।
শাহপরীরদ্বীপের এজাহার মেম্বার জানান, বর্তমান সরকার প্রান্তির পর্যায়ে লবণের দাম নির্ধারণ করে দেয়ায় টেকনাফে ২ হাজার ৬শ’ ৮৫ লবণচাষীদের মধ্যে স্বস্থি ফিরে এসেছে নাজির পাড়ার ফজল করিমের ৭ কানি জমি লবণ চাষ করছেন হোয়াইক্যং কাঞ্জর পাড়ার সিরাজুল ইসলাম। গত ২ বছর যাবৎ প্রতি মৌসুমে ৬০ হাজার টাকা দিয়ে এবার লবণ মাঠে আগাম লবণ উৎপাদনে নেমেছেন। লবণের মূল্য বৃদ্ধির কারণে অতি উৎসাহিত হয়ে মাঠে কাজ করছেন। অপরদিকে সাবরাং ইউনিয়নের আলী আহমদ ৩২ কানি লবণ মাঠে অগ্রীম চাষিরা মাঠে নেমেছে। মৌসুম অনুক‚লে থাকলে লবণ উৎপাদনে লাভমান হবেন এমন তার প্রত্যাশা। প্রান্তিক লবণ চাষিরা জানান, গত দুই মৌসুমে সরকার বিদেশ থেকে লবণ আমদানি না করায় এবং সরকারি ভাবে উপক‚লীয় এলাকার লবণ চাষিদের বাঁচাতে লবণ নীতিসালাসহ দমে বৃদ্ধি করায় আমরা লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী নিয়ে মাঠে নেমেছি। সম্পূর্ণ আধুনিক পদ্ধতিতে (পলিথিনের) মাধ্যমে সাদা লবণ উৎপাদিত হচ্ছে।
টেকনাফ উপজেলার লবণ উৎপাদনকারী সমিতির সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ শফিক মিয়া জানান, পলিথিন পদ্ধতিতে লাভবান হওয়ায় এখন এ পদ্ধতির চাষ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। দীর্ঘদিন পর বর্তমানে মাঠ পর্যায়ে লবণ মনপ্রতি প্রায় ৩৫০ থেকে ৪শ’ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এ দাম স্থির থাকলে এবং বিদেশ থেকে বলণ আমদানি না হলে স্থানীয় চাষিরা পুরোদমে লবণ উৎপাদনে আরো সক্রিয় হবে। এমন আশা প্রকাশ করছেন, সচেতন লবণ চাষীরা। প্রবল বর্ষণ, পাহাড়ী ঢলে নাফ নদীর জোয়ারের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি এবং রোহিঙ্গা আগমনের ভারে নাফ নদীর উপক‚ল রক্ষাকারী বেড়ীবাঁধ ভাঙন ও প্যারাবন নিধনের প্রেক্ষিতে বিস্তীর্ণ উপক‚লীয় এলাকা এখন চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ