Inqilab Logo

রোববার, ০২ জুন ২০২৪, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

চৌদ্দগ্রামে ফসলি জমিতে ইটভাটা নির্মাণ

| প্রকাশের সময় : ২৬ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

প্রতিবাদে তিন গ্রামবাসীর বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
মোঃ আকতারুজ্জামান, চৌদ্দগ্রাম থেকে : কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের শুভপুর ইউনিয়নের গাছবাড়িয়া গ্রামে ফসলি জমিতে ইটভাটা নির্মাণের চেষ্টা করছে প্রভাবশালী মহল। আর এ অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট সকল দফতরে গ্রামবাসী বারবার অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার না পেয়ে অবশেষে গতকাল শনিবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।
জানা গেছে, শুভপুর ইউনিয়নের গাছবাড়িয়া, কাছিয়াপুস্করণী ও ধনিজকরা গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ কৃষি কাজে জড়িত। গাছবাড়িয়া গ্রামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি আলিম মাদরাসা, দুটি কমিউনিটি ক্লিনিক, চারটি মসজিদ, একটি মন্দির ও কৃষি নির্ভর ছয়টি পোল্ট্রি ফার্ম রয়েছে। এগুলোতে সরকারের অনুদান অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু অসাধু ও স্বার্থান্বেষী মহল কৃষি জমিতে এবং বসবাড়ির পাশে ইটভাটা নির্মাণের চেষ্টা চালাচ্ছে। এজন্য তারা আরেক ইটভাটা থেকে ইট এনে কৃষি জমি ভরাট করছে। যা কৃষি জমিকে অনুর্বর মরুভুমিতে পরিণত করবে। ইটভাটা নির্মাণের বিরুদ্ধে গত বছরের ২৫ আগস্ট তিন গ্রামের ১৮৭ জন স্বাক্ষরিত একটি আবেদন জেলা প্রশাসক বরাবরে দেয়া হয়। জরুরী ভিত্তিতে আবেদনটি বিবেচনার জন্য সুপারিশ করেন রেলপথ মন্ত্রী ও চৌদ্দগ্রামের এমপি মুজিবুল হক। এরপর দীর্ঘদিন ইটভাটা নির্মাণের কাজ বন্ধ থাকে। কিন্তু সম্প্রতি প্রভাবশালী মহল আবারও অন্য একটি ইটভাটা থেকে ইট এনে ভাটা নির্মাণের কাজ চালাচ্ছে। মৌখিকভাবে প্রভাবশালী মহলকে নিষেধ করলেও তারা তাতে কর্ণপাত করছে না। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে তিন গ্রামবাসী গতকাল শনিবার বিকেলে ইটভাটা নির্মাণের স্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে। এসময় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গাছবাড়িয়া গ্রামের আবুল বশর, অহিদুর রহমান, আসলাম মিয়া, খোরশেদ আলম, মাস্টার আবু লায়েস, মমিন মিয়া, রফিকুল ইসলাম, আবদুল করিম, আবদুল খালেক, আবদুল জলিল, আবদুল কুদ্দুস মজুমদার, কাছিয়াপুস্করণী গ্রামের মামুনুল ইসলাম চৌধুরী, হাজী শফিকুর রহমান, নজরুল ইসলাম মোল্লা, আবুল কালাম, শাহজালাল, শাহ পরান, ইদ্রিস মোল্লা, আমিন মিয়া, মনির হোসেন, ধনিজকরা গ্রামের ছকু মিয়া, বাদশা মিয়া, ছেরু মিয়া। এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তরের কুমিল্লার উপ-পরিচালক সামছুল আলম বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। এর চেয়ে বেশি কিছু তিনি বলতে রাজি হননি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ