বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে যতটুকু জনসমর্থন ও যোগ্যতা দরকার বর্তমানে বিএনপির তার চেয়ে বেশি আছে বলে মন্তব্য করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, এই জনসমর্থনকে কাজে লাগানোর জন্য এখন শুধু সময়মতো সাহসী ভুমিকা নেয়া দরকার। যে পথে হাটলে জনগণ আমাদের সাথে থাকবে সে পথে হাটতে হবে। তবে সেই পথটি ধরার পূর্ব শর্ত হলো বর্তমান সরকারকে বিদায় দেয়া। হতে পারে এটা সম্মানজনক বিদায়। গতকাল (শনিবার) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ঢাকাস্থ ফেনী জেলা জাতীয়তাবাদী ফোরাম আয়োজিত ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুবদল সভাপতি রফিকুল ইসলাম মজনুর মুক্তির দাবিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর বলেন, আগামী নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ পূর্বশর্ত। আজকে দেশে গণতন্ত্র গুম, গণতন্ত্র মৃত। এই গণতন্ত্র যে কোথায় আছে এটি আমাদের সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তা এবং উদ্বেগের বিষয়। বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, জনগণ চায় মুক্তি ও ভোটের অধিকার। তারা কারো ক্ষতি চায়না। এখন যদি সরকার মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে সুষ্ঠু ভোটের ব্যবস্থা নেন তবেই কমফোর্টঅ্যাবল পথ রেডি।
তিনি বলেন, আজকে সবাই বলছে সরকার নাকি নিরাপদে প্রস্থানের পথ খুঁজছে। ইতিমধ্যে আমাদের দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আদালতে বলেছেন তিনি ক্ষমা করে দিয়েছেন। পথের তো একটা সূচনা বেগম জিয়া করে দিয়েছেন। এখন কিছু প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলেই কিন্তু সরকারের বের হওয়ার পথ নিশ্চিত হয়।
খালেদা জিয়ার মামলার বিষয়ে গয়েশ্বর বলেন, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলার রায় কী হতে পারে তা আমরা অনুমান করতে পারছি। কারণ দেশের হাইকোর্ট সুপ্রিম কোর্টসহ সব কোর্ট হাসিনার কোর্ট। সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার বিদায়ে তা প্রমাণিত হয়েছে। জেলের তালা আমাদের ভাঙতে হবে না মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপিকে জেলের তালা ভাঙতে হবে না, শেখ হাসিনাকেই জেলের তালা খুলতে হবে, সেখানে তাদেরও থাকতে হবে। তালা না খুললে সেখানে (আওয়ামী লীগ) তাদের জায়গার সংকুলান হবে না। তিনি আরও বলেন, আমলারা ক্ষমতাসীন সরকারকে ভয়ে জি স্যার জি স্যার বলে থাকেন। যদিও তারা বেশিদিন কারো পক্ষে থাকতে চান না, সব সময় চান পরিবর্তন। কেননা পরিবর্তন হলে তাদের আরও কিছু নতুন সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি পায়।
ঢাকাস্থ ফেনী জেলা জাতীয়তাবাদী ফোরাম সভাপতি ও ছাত্রদল নেতা ওমর ফারুক ডালিমের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, কেন্দ্রীয় নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, আফরোজা আব্বাস, আ ক ম মোজাম্মেল হক প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।