প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
একুশে পদকপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী, নৃত্যশিক্ষক ও নৃত্য পরিচালক রাহিজা খানম ঝুনু গুরুতর অসুস্থ হয়ে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধনী। তিনি এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ডায়াবেটিস, কিডনী, ফুসফুস ও হৃদরোগে ভুগছেন। কিছু দিন আগেও অসুস্থতার কারণে এক সপ্তাহ হাসপাতালে ছিলেন। এরপর আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ১৪ নভেম্বর তাকে আবার ল্যাবএইডে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হওয়ায় তাকে সিসিইউতে রাখা হয়েছে। বর্তমানে তিনি ডা. এপিএম সোহরাবুজ্জামানের তত্ত¡াবধানে আছেন। তার ছেলে আহসানুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ফুসফুসে পানি জমার পাশাপাশি আম্মার কিডনীও মারাত্মকভাবে আক্রান্ত। আমরা ল্যাবএইড, ইউনাইটেড, অ্যাপোলোসহ দেশের সব হাসপাতালেই যোগাযোগ করেছি। কিন্তু চিকিৎসকরা বলেছেন, এদেশের কোন হাসপাতালেই আম্মার কিডনীর ডায়ালাইসিস করা সম্ভব নয়। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্যও পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। মায়ের রোগ মুক্তির জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন আহসানুল্লাহ চৌধুরী। এ প্রসঙ্গে তার দীর্ঘদিনের সহকর্মী বুলবুল ললিতকলা একাডেমির সদস্য সচিব নাসির আহমেদ বলেন, রাহিঝা খানম ঝুনু বিভিন্ন অসুখে দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছেন। সব সময়ই তার মনোবল শক্ত ছিল। তবে বার্ধক্য এক সময় মেনে নিতে হয়েছে। তার মতো গুণী মানুষ খুব কমই জন্মে। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত নৃত্য যারা রয়েছেন তাদের বেশিরভাগই ঝুনু আপার হাত ধরে এসেছেন। এদের মধ্যে সেলিনা হক, লুবনা মরিয়ম, মৌ, তারিন, রতন, বাবু, মুনমুনসহ অনেকেই তার শিষ্য। তার মেয়ে বেবিও একজন গুণী নৃত্যশিল্পী। সারা জীবন কাটিয়ে দিয়েছেন নাচ নিয়ে এবং নাচকে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠা করা নিয়ে। দেশ-বিদেশে অনেক সফল নাচের অনুষ্ঠান করে সমাদৃত হয়েছেন। বুলবুল ললিতকলা একাডেমি বাফার প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন। নৃত্যে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি একুশে পদকে ভ‚ষিত হয়েছেন। পেয়েছেন নৃত্যগুরু মাতা উপাধী। তার দুই ছেলে এবং এক মেয়ে সর্বক্ষণিক এখন রয়েছে ল্যাবএইড হাসপাতালে। তারা দেশবাসীর কাছে এই গুণী শিল্পীর জন্য দোয়া চেয়েছেন। বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিশেষ করে নৃত্য শিল্পে বিশেষ ভ‚মিকা রাখা রাহিজা খানম ঝুনুর উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চেয়েছেন ঝুনুর আত্মীয় স্বজনরা। অনেকেই বলছেন বিদেশে উন্নত চিকিৎসা করালে সুস্থ হয়ে উঠবেন রাহিজা খানম ঝুনু। এদিকে দেশের এই নৃত্যগুরুর চিকিৎসা সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য সংস্কৃতিবান্ধব বর্তমান সরকারের সদয় দৃষ্টি কামনা করেছেন দেশের শিল্পীসমাজ। বাংলাদেশ সংস্কৃতি কর্মী সংঘের সাধারণ স¤পাদক ও নাট্যাভিনেতা খন্দকার শাহ আলম বলেন, ঝুনু আপা এদেশের নৃত্যাঙ্গন তথা সমগ্র শিল্পাঙ্গনের গর্ব। তার হাত ধরেই এদেশের অনেক প্রথিতযশা নৃত্যশিল্পীরা এগিয়ে গেছেন। একুশে পদকপ্রাপ্ত এমন একজন নৃত্যশিল্পীর পাশে সংস্কৃতিবান্ধব সরকারের আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসা উচিৎ। কারণ রাহিজা খানম ঝুনু শুধু একজন ব্যক্তি নয়, তিনি একটি প্রতিষ্ঠান। বর্তমান সংস্কৃতিবান্ধব সরকার শিল্পীদের সহযোগিতা, সংস্কৃতির উন্নয়ন ও পৃষ্ঠপোষকতায় সব সময় আন্তরিক। নৃত্যগুরুমাতাখ্যাত একুশে পদকপ্রাপ্ত এই নৃত্যশিল্পীর সহযোগিতায় সরকার এগিয়ে আসবেন এটাই আমাদের গোটা সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষের প্রাণের দাবি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।