Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দুপচাঁচিয়ায় করলা চাষে স্বাবলম্বী

| প্রকাশের সময় : ২৬ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) থেকে মো. গোলাম ফারুক : দুপচাঁচিয়া উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকার মাঠজুড়ে ভরে গেছে করলা। এলাকার কৃষকরা ধান আলুর পাশাপাশি বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন সবজি চাষ করে আসছে। তার মধ্যে অন্যতম করলা। যার চাষ দিন দিন বেড়েই চলছে। ব্যাপক আবাদ আর বেশি সাফল্যের কারণে এলাকাগুলো মানুষের কাছে করলা অঞ্চল হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে।
উপজেলর জিয়ানগর, চামরুল ও গোবিন্দপুর ইউনিয়নের কিয়দংশ এলাকার মাঠে ব্যাপক করলার চাষ হয়। স্থানীয় টিয়া ও গজ করলাসহ বিভিন্ন জাতের হাইব্রিড করলা এ এলাকার কৃষকরা চাষ করে থাকে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৫ হেক্টর জমিতে করলা চাষ করা হয়েছে।
সরেজমিন উপজেলার জিয়ানগর ইউনিয়নে গিয়ে দেখা গেছে, বিত্তীর্ণ মাঠজুড়ে ব্যাপক করলার চাষ হয়েছে। অনেক কৃষকই এই করলা চাষ করে ব্যাপক ভাবে লাভবান হয়েছেন। এদের মধ্যে জিয়ানগর ইউনিয়নের মুর্ত্তুজাপুর খুলু পাড়ার শাহাদৎ হোসেনের ছেলে মনির হোসেন (৪২) দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, তিনি তার ২৫ শতাংশ জমিতে গত প্রায় পাঁচ থেকে সাত বছর যাবত দেশিসহ হাইব্রিড জাতের করলা চাষ করে আসছেন। করলার বীজ ক্রয় জালেঙ্গা (মাঁচা) তৈরির সুতা, বাঁশ ক্রয় ও শ্রমিক (কামলা) সহ তার প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
ইতোমধ্যে সে জমি থেকে করলা উত্তোলন করে তা বিক্রি শুরু করেছে। এরই মাঝে সে প্রায় ২৫ হাজার টাকার করলা বিক্রিও করেছে। প্রতি সপ্তাহে তিন থেকে চার মণ করলা বিক্রির জন্য তুলেন। স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ী ও ঢাকার পাইকাররা তার এ করলা ক্রয় করেন। প্রথম দিকে মন প্রতি এক হাজার ৬০০ টাকা দরে বিক্রি করলে ধীরে ধীরে এ দাম আরো বাড়ছে। এই করলা চাষ করেই তার সংসারে ফিরে এসেছে আর্থিক সচ্ছলতা। তিনি এখন স্বাবলম্বী।
এ এলাকার আরও প্রায় ১৫০ জন কৃষক এ করলা চাষ করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন বলে তিনি জানান। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, এই করলা চাষ করতে কৃষি অফিসের কোনো সহযোগিতা পান নাই। সরকারিভাবে প্রতি ইউনিয়নে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কর্মরত থাকলেও তা কাগজ কলমেই।
এই ইউনিয়নের কর্মরত উপ-সহকারী কর্মকর্তাকে তিনি কোনোদিন দেখা পাননি। ফলে ক্ষেতের পোকামাকড় দমনে নিজের দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতা ও স্থানীয় কীটনাশক দোকানিদের পরামর্শে অদ্যবধি করলা চাষ করে আসছেন। ইউনিয়নের করলা চাষি অনেক কৃষক একই অভিযোগ করেন। তবে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোস্তফা কামাল হোসেন মুঠোফোনে কৃষকদের এ অভিযোগ সত্য নয় বলে জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ