বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নজির হোসেন নজু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে : নীলফামারীর সৈয়দপুরের ১১০টি হরিজন পরিবারের স্বাভাবিক জীবনে ফেরা অনিশ্চিত। খাবারের হোটেল থেকে শুরু করে সেলুনে প্রবেশে করতে দেওয়া হয় না এই স¤প্রদায়ের লোকদের। এমনকি টাকার বিনিময়ে কেউ ভাড়া দেয় না বাসা। মূলত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজের সাথে সম্পৃক্ত এই স¤প্রদায়ের লোকরা। শহরের তামান্না সিনেমা হল সংলগ্ন, পাওয়ার হাউস এলাকা, অফিসার্স কলোনী, সুরকী মহল্লা, নতুন বাবুপাড়া এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের রেল লাইনের রেস্টুরেন্টগুলোতে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না হরিজনদের। রেললাইনের ওপর বসিয়ে গøাসে চা ঢেলে খাওয়ানো হয়। টাকার বিনিময়ে খাবার খেতে হয় রেস্টুরেন্টের বাইরে বসে। এই এলাকাগুলোতে বসবাস করে হরিজন স¤প্রদায়ের প্রায় ১১০টি পরিবার। হরিজনরা শুধু সামাজিকভাবে নির্যাতিত নয়, কাজের ক্ষেত্রেও তাদের পিছিয়ে ফেলা হচ্ছে। ওমরজিৎ নামের এক হরিজন বলেন, সৈয়দপুর হাসপাতালে দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে কাজ করছি। শুধু ঘুষের টাকা দিতে না পারায় স্থায়ী চাকরি হয়নি। এতো সব সমস্যার মধ্য দিয়েও কেউ কেউ ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। থেমে নেই এই স¤প্রদায়ের নতুন প্রজন্মের শিক্ষা গ্রহণ। সৈয়দপুর শহরের সুড়কি মহল্লা এলাকার স্থানীয় কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্র সঞ্জয় বলেন, শিক্ষা গ্রহণে ওইভাবে সমস্যা না থাকলেও এই স¤প্রদায়ের লোকদের ধ্বংস করছে মাদক। প্রতিনিয়ত মদ পান আর পরিচ্ছন্নতা কাজের কারণে মানুষ হিসেবে সমাজে গ্রহণযোগ্যতা পাওয়া যায় না। বিনোদন, খেলাধুলায় নেই অংশগ্রহণ। অতি দরিদ্র বয়স্ক, বিধবা হওয়া সত্তে¡ও মিলছে না কোন ধরনের ভাতা। অবহেলার আক্ষেপ নিয়ে হরিজন রাজেন্দ্র বলেন, ‘আমরা যদি ব্যবসা করতে চাই। সেখানে কেউ কিছু কিনতে আসে না। এরপর কারো কাছে পানি চাইলেও দেয় না। সেলুনে চুল কাটতে গেলে নাপিত তাড়িয়ে দেয়। হোটেলে বসে তো কেউ খেতেই পারে না।’ সৈয়দপুর হরিজন কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মালুয়া বাশফোর বলেন, আমাদের সমস্যার কথা সবাই জানলেও কোন প্রতিকার আসে না কোন মহল থেকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।