পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন জন্মলগ্ন থেকেই বাংলাদেশ বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের পাশে আছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায়ে সোচ্চার ছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধ্য না থাকা সত্ত্বেও মায়ানমারের ১০ লক্ষ বাস্তুচ্যুত নিপীড়িত রোহিঙ্গা নাগরিককে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী অঙ্গীকার করেছেন বাংলাদেশের জনগণ খেয়ে থাকলে রোহিঙ্গারাও খাবার পাবে। শুক্রবার তুরস্কের সানলিউরফা প্রদেশের গভর্নর আব্দুল্লাহ এরিন এর সাথে তার কার্যালয়ে মতবিনিময় কালে এ কথা বলেন। তুরস্ক সরকারের আমন্ত্রণে ত্রাণ মন্ত্রী রোহিঙ্গা বিষয় ও তুরস্কে আশ্রয়গ্রহণকৃত শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শনের জন্য তুরস্ক সফরে রয়েছেন।দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব, মোঃ শাহ কামাল মন্ত্রীর সাথে রয়েছেন। মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মায়া চৌধুরী বলেন, প্রত্যেক নাগরিকের নিজনিজ সুবিধা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত মায়ানমারকেও আন্তর্জাতিক সে নীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে রোহিঙ্গা নাগরিকদের উপর নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে এবং বাংলাদেশে আশ্রিত সকল রোহিঙ্গা নাগরিককে ফেরত নিতে হবে।
এসময় সানলিউরফা প্রদেশের গভর্নর বলেন, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে তুরস্ক সাধ্যমত চেষ্টা করবে। রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক জনমত ও তহবিল গঠনে তুরস্ক আন্তরিকভাবে কাজ করছে। তুরস্ক প্রেসিডেন্ট ও সরকার রোহিঙ্গাদের বিষয়ে খুবই দুর্বল। তারই প্রেক্ষিতে এদের দেখতে প্রেসিডেন্ট তার পত্নী ও উপ-প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে পাঠিয়েছেন। তিনি বলেন, বিশ্বের যেকোন স্থানে মুসলমানদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে তুরস্ক তার সোচ্চার অবস্থান অব্যাহত রাখবে। গভর্নর আরও বলেন, তুরস্কে আশ্রয় নেয়া সিরিয়ান শরণার্থী ক্যাম্পের অভিজ্ঞতার আলোকে তুরস্ক বাংলাদেশের রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা করবে। মন্ত্রী পরে সানলিউরফা প্রদেশে অবস্থিত সিরিয়ান শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। এখানে ৪টি ক্যাম্পে সিরিয়া থেকে আগত প্রায় ৮০ হাজার শরণার্থী রয়েছে। মায়া চৌধুরী এসময় শরণার্থীর একটি ছোট্ট শিশুকে কোলে তুলে নিয়ে তাদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা ও সহমর্মিতা জ্ঞাপন করেন। তিনি ক্যাম্পের খাদ্য ব্যবস্থাপনা, পানীয় জলের ব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসা সেবা সরজমিনে পরিদর্শন করেন। সিরিয়ান ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া লোকদের সার্বিক অবস্থা নিয়ে তিনি কথা বলেন। শরণার্থী শিশুদের লেখাপড়া ও কর্মসংস্থানের জন্য প্রশিক্ষণ দেখে মন্ত্রী আবেগে আপুøত হয়ে পরেন। পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন এ ক্যাম্পের সার্বিক ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতা রোহিঙ্গা ক্যাম্প ব্যবস্থাপনায় বিশেষ কাজে লাগবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।